বিপ্লব সাহা খুলনা ব্যুরো:
খুলনা জেলার বেশ কিছু অঞ্চল জুড়ে অবৈধ ইটভাটা মালিকদের গ্রাসে যেমন দখল হচ্ছে সরকারী খাস জমি তেমন হুমকির মুখে প্রকৃতি পরিবেশের ভারসাম্য ফলে বিলুপ্তির পথে জীববৈচিত্র্য।
যদিও এ বিষয়ে সরকারের বন ও পরিবেশ সংরক্ষণ মন্ত্রণালয়ের পক্ষে দেশের সর্বোচ্চ আদালত হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী দেশের সকল অবৈধ ইটভাটা উচ্ছেদের অভিযান অব্যাহত থাকা সত্ত্বেও খুলনা জেলার বেশ কিছু অঞ্চল জুড়ে প্রভাবশালী ব্যক্তিরা তাদের পেশি শক্তির দাপটে সরকারি সকল বিধি নিষেধ উপেক্ষা করে
পরিবেশ ও প্রকৃতি বিধ্বংসকারী ইটভাটার রাহু গ্রাসের কবলে রেখেছে খুলনা জেলার ডুমুরিয়া, ফুলতলা, রুপসা, আইজগাতী, বটিয়াঘাটা, পুটিমারি, লবণচোরাসহ জেলার অধিকাংশ এলাকা তার মধ্যে অধিক ভয়ানক রূপ ধারণ করেছে ডুমুরিয়ার বিস্তীর্ণ এলাকা ভদ্রা ও হরিনদীর কোলজুড়ে তাছাড়া উল্লেখযোগ্য এলাকাবাসীর অভিযোগ করে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন এখানকার অসংখ্য সরকারি খাস ও দুর্বল অসহায় মানুষদের হাজার হাজার বিঘা জমি বহুকাল যাবৎ দখল করে প্রভাবশালী ব্যক্তিদের ক্ষমতার বাহুবলে প্রশাসনের সখ্যতায় ইটভাটা চালিয়ে প্রতিনিয়ত ধ্বংস করছে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং পাশাপাশি চলছে দুর্যোগ বিধ্বংসী ঝড়ের কবল থেকে অসংখ্য জীব বৈচিত্র ও সাধারণ মানুষদের আগলে রাখা বহু প্রাচীন আমলের বৃক্ষ নিধনের মহোৎসব
আর এতে করে দিন দিন প্রকৃতি তার নিজস্ব ভারসাম্য হারাতে বসেছে ফলে ঝড় ঝঞ্ঝা দুর্যোগের কবলে জীব বৈচিত্র ও প্রকৃতি।
যদিও পরিবেশ বিধ্বংসকারী অসংখ্য ইটভাটা বিরুদ্ধে খুলনার বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনগুলো তাদের ব্যানারে একাধিকবার আন্দোলন সংগ্রাম মানববন্ধন করে দেশের সরকার প্রধান তথা স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করার চেষ্টা করলেও তাতে কোন সুফল হয়নি বলেও অভিযোগ করেছেন বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের দায়িত্বপ্রাপ্ত ঊর্ধ্বতন নেতা কর্মীগণ।
এবং সকল নেতাকর্মীগণ অভিযোগ করে আরো বলেন উল্লেখিত এলাকার ভুক্তভোগী প্রভাবশালী ব্যক্তিদের কর্তৃক নির্যাতিত অসহায় মানুষদের আহাজারি আমরা সরজমিনে গিয়ে দেখেছি তাদের বাস্তবিক জীবনে কতটা কষ্টে জীবন কাটাচ্ছে।
সে ক্ষেত্রে আমরা সাংগঠনিকভাবে অসহায় মানুষদের পাশে থেকে বছরের পর বছর সরকারের বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের কর্তাদের বিষয়টি অবহিত করে সামাজিকভাবে পরিবেশ বিনষ্টকারী অসংখ্য অবৈধ ইটভাটা বন্ধ করার দাবি জানানো হয়েছিল এবং ইটভাটার কালো ধোয়া সাথে হেক্টরের পর হেক্টর জমির মাটি কর্তন ও হাজার হাজার প্রাণীর আবাসস্থান সবুজ বনাঞ্চল উজাড় করে বৃক্ষ নিধন সহ পরিবেশ ও মানুষের জীবন হুমকির দিকে ঠেলে নিচ্ছে অবৈধ ইটভাটা অব্যাহত থাকার কারণে।
তবে তারই পরিপ্রেক্ষিতে দেশের সর্বোচ্চ আদালত হাইকোর্ট দেশের সকল অবৈধ ইটভাটা বন্ধের রুল জারি করে জেলা প্রশাসক বরাবর প্রজ্ঞাপন আদেশ দিয়ে এবং তানাদের হাইকোর্টে তলপ করে বলেছিলো দেশের সকল অবৈধ ইটভাটা গুলো বন্ধ করা হচ্ছে না কেন এবং সকল জেলা প্রশাসকদের নির্ধারিত সময় বেঁধে দিয়ে হাইকোর্টের জ্যেষ্ঠ বিচারক বলেছিল ৯০ দিনের মধ্যে ডুমুরিয়া ভদ্রা নদীর কুল ঘেঁষে যত অবৈধ ইট ভাটা আছে সেগুলো আনতিবিলম্বে উচ্ছেদের ব্যবস্থা করবেন।
তবে হাইকোর্টের নির্দেশ অনুসারে যথাসময়ে জেলা প্রশাসক তানার বেশ কিছু প্রশাসনিক কর্মকর্তাসহ ভ্রাম্যমান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক সরজমিনে অভিযান চালিয়ে তড়িঘড়ি করে কিছু ইটভাটা তাৎক্ষণিকভাবে উচ্ছেদ করলেও বছর ঘুরতে না ঘুরতে আবারও বহাল তবিয়তে চলছে অবৈধ ইটভাটার রমরমা ব্যবসা।
আর এ সকল অবৈধ ইটভাটা পরিচালনার অন্তরালে প্রকাশ্য জড়িত রয়েছে স্থানীয় থানার প্রশাসনিক কর্তা সহ প্রভাবশালী ব্যক্তিবর্গগণ আর এ সকল প্রভাবশালীদের দাপট বহু প্রসারিত থাকার কারণে এলাকার মানুষ সর্বদা থাকে আতঙ্কে।
তবে এক্ষেত্রে পরিবেশ সংরক্ষণ এর বিশেষজ্ঞদের অভিমত ব্যক্ত করে স্পষ্ট বলেছেন বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার্থে এবং দেশের সকল বনাঞ্চলের প্রাণিকুল বাঁচিয়ে রাখতে হলে বৃক্ষ নিধন প্রতিনিয়ত জমি থেকে মাটি কর্তন গাছ টায়ার প্রাকৃতিক উদ্ভিদ পুড়িয়ে ইট পোড়ানো থেকে বিরত থেকে ইট ভাটার চুলার ধোয়া বন্ধ করে পরিবেশ দূষণমুক্ত রেখে আধুনিক পদ্ধতি অর্থাৎ ডিজিটাল প্রক্রিয়া
ইট প্রস্তুুত প্রণালী শুরু করে পরিবেশ প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষা করার দায়িত্ব আমাদের নিজেদেরই বহন করতে হবে। তা না হলে দেশ প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলে পড়ে ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা থাকবে যতক্ষণ পর্যন্ত এর প্রতিকারের ব্যবস্থা না নিতে পারছি।
এ লক্ষে সরকারের পদক্ষেপের পাশাপাশি প্রশাসনের কর্মকর্তাদের স্বচ্ছ মনোভাব ও স্হানীয় জনপ্রতিনিধিদের নৈতিকতার সাথে কাজ করতে হবে বলে তিনি প্রশাসনসহ সকল শ্রেণীর মানুষদের কাছে প্রত্যাশা করেন।