বিপ্লব সাহা, খুলনা ব্যুরো:
খুলনা আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিজ্ঞ কর্তা আমিরুল আজাদ বলেছেন শীত শুরুর থেকে খুলনা দক্ষিণ অঞ্চল জুড়ে উল্লেখযোগ্যভাবে শীতের প্রভাব লক্ষ্য করা না গেলেও হঠাৎ করে গতকাল গভীর রাত থেকে শীতল হাওয়া বৈতে শুরু করার মধ্য দিয়ে শীতের প্রভাব জেঁকে বসেছে যার কারণে আজ সকাল থেকে খুলনার আকাশে কোথাও রোদ ওঠেনি কুয়াশায় আবৃত করে রেখেছে খুলনা জেলার বেশ কিছু অঞ্চল।
রোদ না ওঠায় কুয়াশা এবং শীতল হাওয়া থাকার কারণে জনজীবন বিপর্যয়ের মধ্য পড়েছে।
আর এই শীতের সৈতপ্রবাহর প্রভাব আরো দুই থেকে তিন দিন তীব্র রূপে কনকনে ঠান্ডাকে সাথে নিয়ে ঘাপটি মেড়ে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
তবে এতে অতি কষ্টে শরীর কাঁপানো ঠান্ডার মধ্যে শীত বস্ত্রহীন রেলস্টেশন ফুটপাতে খোলা আকাশের নিচে রাস্তায় পড়ে থাকা অসহায় ছিন্নমূল মানুষেরা রয়েছে অতি কষ্টে।
গভীর রাতে নগরীর বেশ কিছু এলাকা ঘুরে দেখা গেছে বয়বৃদ্ধ ছিন্নমূল মানুষেরা কোনরকম যৎসামান্য কাপড়-চোপড় শরীরে পেচিয়ে গুটিসুটি মেরে শীতে কাতরাচ্ছে। আবার অনেকে খোলা আকাশের নিচে ফুটপাতে ও রেললাইনের পাশে কাগজ খড়কুটো কাঠ কুরিয়ে এনে কোনরকম সারারাত আগুন জ্বালিয়ে সামান্য আগুনের উত্তাপে শীত নিবারণ করে রাত কাটিয়েছে ভোরের সূর্যের উত্তাপ এর প্রত্যাশায়।
এদিকে আবহাওয়া অফিস আজ খুলনা বিভাগের চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে ৯ দশমিক ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস যা গতদিনের তুলনায় অপরিবর্তিত।
কনকনে শীতের সাথে উত্তর দিগন্তের বাতাস প্রবাহিত হওয়ার কারণে শীতে কাতর করছে মানব জীবন।
পাশাপাশি আজ সরকারী ছুটির দিন থাকা সত্বেও রাস্তায় বা বিনোদন কেন্দ্রগুলি এমনকি স্বাভাবিক কাজের জন্য ঘর থেকে অনেকে বের হয়নি।
এতে করে একেবারেই জনশূন্য ফাঁকা নগরীতে রূপ নিয়েছে।
তবে অতি শীতের তীব্র প্রভাবে বেচা বিক্রি জমে উঠেছে গরম কাপড় বিক্রেতাদের।
ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ করা গেছে খুলনা নিক্সন মার্কেট রেলওয়ে মার্কেট ও ফুটপাতে ঢেলে দেওয়া গরম কাপড়ের দোকানে।
পাশাপাশি ব্যস্ত সময় পার করছে লেপ তোষকের দোকানের দোকানিরা।
তবে শীতবস্ত্রের দোকানে ভিড় বাড়লেও ক্রেতাদের রয়েছে বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে অধিক দাম নেওয়ার অভিযোগ।
এদিকে মানুষের পাশাপাশি জীব বৈচিত্র গবাদি পশু পাখিরাও শীতে কাতর
খুলনা ডিসি অফিস সংলগ্ন কোটপাড়া, জেলা স্কুল, ফরেস্ট ঘাট এলাকায় বহু প্রাচীন বৃক্ষে পাখিরাও সন্ধ্যা নামার অনেক আগে থেকেই গুটিসুটি মেরে নিশ্চুপ রয়েছে ফলে শোনা যায়নি পাখিদের কলোতানী।