বিপ্লব সাহা, খুলনা ব্যুরো:
সাম্প্রতিক অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে আলোচনার কেন্দ্রস্থলে থাকা ১১ টি বিরোধীদল অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয়েছে ৭ জানুয়ারি সারা দেশব্যাপী ২৯৯ টি আসনের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন।
তার মধ্যো খুলনা জেলার ৬ টি আসনের প্রার্থীদের প্রার্থিতা বহাল রেখে নির্বাচনের মাঠে থাকলেও শেষ পর্যন্ত জামানত রক্ষা করতে পারেনি ৩৯ জনের মধ্যো ৩০ জনই।
বিশেষ করে খুলনা ছয়টি আসন এর মধ্যি আলোচনার বিষয়বস্তুু হিসেবে উঠে এসেছে খুলনা সদর-২ আসনের ভোটার উপস্থিতির সংখ্যা নিয়ে। যদিও এ জেলার সবকটি আসনে নৌকা প্রার্থীর বিপুল ভোটের ব্যবধানে বিজয় অর্জন এর সাপেক্ষে
আশানুরূপ সন্তুষ্টু জনক ভোট পড়েনি খুলনা-২ আসনে।
উল্লেখ্য খুলনা সদর-২ আসন থেকে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করেছে শেখ সালাউদ্দিন জুয়েল যিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের কনিষ্ঠ ভ্রাতা শেখ শহীদ আবু নাসেরের পুত্র।
অতএব এ আসনে মোট ভোটার সংখ্যা রয়েছে ৩ লক্ষ ২০ হাজার ২২০ জন। এবং ভোট কেন্দ্র রয়েছে ৩১০ টি তার মধ্য মোট প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা ৩২ হাজার ৯ শত ৪১টি মাত্র অর্থাৎ পার্সেন্টিজের দিক থেকে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ গ্রহণকারী ৭ প্রার্থী মিলে ভোট প্রাপ্তির সংখ্যা ৯ দশমিক ৭২ শতাংশ।
এ আসনে থেকে ৭ জন প্রার্থীর মধ্যে রয়েছে দেবদাস সরকার তার প্রতীক (ডাব) সে ভোট পেয়েছে মোট ১৫৭ টি, বাবু কুমার রায় প্রতীক (ছড়ি) তিনিও ভোট পেয়েছেন ১১০ টি, মোঃ আব্দুল্লাহ আল আমিন তার প্রতীক (নোঙ্গর) তানার ও প্রাপ্তি ভোটের সংখ্যা ২৩৬ টি, মোঃ গাউসুল আজম প্রতীক (নাঙ্গল) তানার প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা ১১০৮ টি, মোঃ মতিয়ার রহমান প্রতীক (কবুতর) তানার ব্যালটে ছাপ দিয়েছেন মোট ২৩০ জন, মোঃ সাইদুর রহমান প্রতিক (ঈগল) তিনি ভোট পেয়েছেন ৫০৫টি,
শেখ সালাউদ্দিন জুয়েল প্রতীক (নৌকা) বিজয়ী প্রার্থী হিসেবে তানার প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা সর্বোচ্চ ৩০ হাজার ৫ শত ৯৫ টি।
এতে করে একটি ন্যাশনাল পার্লামেন্টারি ইলেকশনে এত কম পারসেন্ট ভোট কাষ্ট হওয়া মানেই শাসক দল বিরোধীদের সমালোচনার তপের মুখে থেকে সমালোচিত হতে হচ্ছে।
এদিকে খুলনার ৬ টি আসনের ১১ টি রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্র মিলে ৩৯ জনের মধ্যে যে ৩০ জন জামানত হারিয়েছে তানারা নির্বাচনে ঘোষিত ফলাফলের প্রদত্ত বৈধ ভোটের ৮ ভাগের ১ ভাগ ভোট না পাওয়ায় নৌকা ব্যতীত বাকি ১০ টি দলও অধিকাংশ স্বতন্ত্র প্রার্থী খুয়াচ্ছে তাদের জামানত।
তবে জামানতে টিকেছে তিন শতন্ত্র প্রার্থী।
এ বিষয়ে খুলনা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ফারাজি বেনজির আহমেদ বলেন কোনো প্রার্থীকে জামানত রক্ষা করতে হলে মোট প্রদত্ত বৈধ ভোটের আট ভাগের এক ভাগ ভোট পেতে হবে। তিনি আরো বলেন নির্বাচন কমিশনের বিধিমালা অনুযায়ী কোনো প্রার্থীকে জামানত রক্ষা করতে হলে মোট প্রদত্ত বৈধ ভোট এর ৮ ভাগের এক ভাগ বা ১২ দশমিক ৫ শতাংশ ভোট পেতে হবে।
সে ক্ষেত্রে এবারের নির্বাচনে খুলনা ছয়টি আসনে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থীরা। এরমধ্য খুলনা- ১ আসনের ননীগোপাল মণ্ডল, খুলনা- ২ আসনে শেখ সালাউদ্দিন জুয়েল, খুলনা -৩ আসনে এস এম কামাল হোসেন, খুলনা-৪ আসনে আব্দুস সালাম মুর্শেদী, খুলনা- ৫ আসনে নারায়ণ চন্দ্র চন্দ, খুলনা-৬ আসনে মোঃ রশিদুজ্জামান।
জেলার এই ছয় আসন থেকে শেষ পর্যন্ত নির্বাচনের মাঠে টিকে থেকেও তিনজন স্বতন্ত্রপ্রার্থী তাদের জামানত টিকিয়ে রাখতে সক্ষম হয়েছেন তারা হলেন খুলনা -৪ আসনের এস এম মোস্তফা রশিদী দারা যার প্রতিক কেটলি,খুলনা- ৫ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী শেখ আকরাম হোসেন প্রতীক ঈগল, ও খুলনা-৬ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী জিএম মাহবুব আলম প্রতীক ঈগল।
তাছাড়া জামানত হারানোর তালিকায় রয়েছেন খুলনা -১ দাকোপ- বটিয়াঘাটা আসনে জামানত হারিয়েছেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী কাজী হাসানুর রশিদ লাঙ্গল,তৃণমূল বিএনপির সৌমিক চন্দ্র প্রামাণিক প্রতীক সোনালী আঁশ, ও স্বতন্ত্র প্রার্থী প্রশান্ত কুমার রায় প্রতীক ঈগল। খুলনা- ২( সদর- সোনাডাঙ্গা) জাতীয় পার্টির মোঃ গাউসুল আজম প্রতীক নাঙ্গল, বাংলাদেশ কংগ্রেস পার্টির প্রার্থী দেবদাস সরকার প্রতীক ডাব,সাংস্কৃতিক মুক্তি জোট (মুক্তি জোট) বাবু কুমার রায় ছড়ি প্রতীক,গণতন্ত্রী পার্টির প্রার্থী মতিয়ার রহমান কবুতার প্রতীক, (বিএনএম) প্রার্থী মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল আমিন প্রতীক নোঙ্গর, এবং স্বতন্ত্রপ্রার্থী মোহাম্মদ সাইদুর রহমান প্রতীক ঈগল।
খুলনা -৩(দৌলতপুর-খালিশপুর-
খানজাহান আলী) আসনের জাতীয় পার্টির মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন নাঙ্গল, জাকের পার্টির এস এম সাব্বির হোসেন গোলাপ ফুল, এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী ফাতেমা জামান সাথী ঈগল, খুলনা ৪- (রুপসা- তেরোখাদা- দিঘলিয়া) এলাকায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন জাতীয় পার্টির মোঃ ফরহাদ হোসেন প্রতীক নাঙ্গল, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি
(এনপিপি) মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান প্রতীক আম, তৃণমূল বিএনপির শেখ হাবিবুর রহমান প্রতীক সোনালী আঁশ, এবং বাংলাদেশ কংগ্রেসের মনিরা সুলতানা প্রতীক ডাব, ইসলামী ঐক্য জোটের রিয়াজ উদ্দিন খান প্রতিক মিনার,(বিএনএম) প্রার্থী এস এম আজমল হোসেন প্রতীক নোঙ্গর, স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ জুয়েল রানা প্রতি ট্রাক, স্বতন্ত্র প্রার্থী এমডি এহসানুল হক সোফা প্রতীক, স্বতন্ত্র প্রার্থী এইচ এম রওশন জামির প্রতীক ঈগল। খুলনা-৫ (ডুমুরিয়া- ফুলতলা) আসনে জাতীয় পার্টি মোঃ শাহেদ আলম নাঙ্গল,বাংলাদেশ কংগ্রেসের এস এম এ জলিল ডাব, বাংলাদেশ ওয়াকার্স পার্টির শেখ সেলিম আখতার হাতুড়ি,।
খুলনা- ৬( কয়রা- পাইকগাছা) আসনে মোঃ সফিকুল ইসলাম মধু জাতীয় পার্টি নাঙ্গল, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি) মোঃ আবু সুফিয়ান আম, বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থী মির্জা গোলাম আজম ডাব,(বিএনএম) প্রার্থী এস এম নেওয়াজ মোরশেদ নোঙ্গর, তৃণমূল বিএনপির মোঃ নাদির উদ্দিন খান সোনালী আঁশ।
এরা সকলেই জামানত হারাচ্ছেন।