মোঃরইস উদ্দিন রিপন স্টাফ রিপোর্টারঃ
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ভূমি দস্যুরা টাকার বস্তা নিয়ে নেমেছেন।তাদের প্রার্থীদের জিতানোর জন্যে ভোট কিনছেন। আমার দাবি তাদেরকে প্রতিহত করা হোক। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানী যে আমলাতন্ত্র কায়েম করেছিল,বাংলাদেশে এখন সেই প্রথাই চলছে।খবরের কাগজে টাকা বিতরণের ঘটনা আসছে।তাদের প্রার্থীতা তো এখনও বাতিল হয় নাই।নির্বাচন কমিশন এ ব্যাপারে কিছুই করতে পারছে না।রূপগঞ্জে অর্থের ছড়াছড়ি খুবই ন্যাক্কারজনক।নির্বাচন কমিশনকে আমি বলবো-এই অর্থ বিলি বন্ধ হয় এবং তাদের প্রার্থীতা বাতিল হয় সেই ব্যবস্থা করবেন।শনিবার (৬ই জানুয়ারি) দুপুরে রূপগঞ্জের রূপসী এলাকায় নিজ বাড়িতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন নারায়ণগঞ্জ-১ আসনের তৃণমূল বিএনপির মনোনীত প্রার্থী ও দলটির মহাসচিব এডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার।সংবাদ সম্মেলনে তৈমুর আলম খন্দকার বলেন- বিএনপি নির্বাচনে আসে না,নির্বাচন ঠেকাতেও পারে না।সরকার গঠন করা ঠেকানো যায় না।
নতুন সরকার গঠন হয়,সেই সরকারের সাথেই বিদেশীরা চুক্তি করে।সেই সরকার আনুযায়ী যে আইন নির্ধারণ করা হয় তাই কায়েম করা হয়।২০১৮ সালে নির্বাচন করবে না বলে তারা গেল,৬-৭ টা সিট পেল।এর পর বললো যে সংসদে যাবে তাকে বহিস্কার করা হবে।ঠাকুরগাঁও এর এক এমপি গেলেন তাকে বহিস্কার করলো।পরের দিন অন্য সব এমপি গিয়ে সংসদে উঠলো।মানুষের রাজনীতিতে কথা ও কাজে সমন্বয় থাকতে হয়।নির্বাচনে অংশ নিলে একটা দল দাঁড় করানো যায়। দল কোন প্রকার নির্বাচনে আসে না,দল রাজনীতি করতে চায়।তবে নেতাকর্মীদের প্রটেকশন কোথায়।আমি খালেদা জিয়ার মুক্তি চাচ্ছি,বিএনপি নেতারা গণহারে সে সাজার শিকার হচ্ছেন তার প্রতিবাদ করছি। আমি নির্বাচন করছি বলেই এগুলো করতে পারছি।নির্বাচনে না আসলে সরকারকে ব্ল্যাংক চেক দেওয়া হয়।আমি রাজনীতি করতে গিয়ে কষ্ট করবো,জেল খাটবো,গুলি খাবো,আমি কেন সরকারকে ব্ল্যাংক চেক দেব।আমি নির্বাচনের শেষ দেখবো।সব কিছুর রেকর্ড আছে আমাদের কাছে।আমরা বিশ্ববাসীকে তা দেখাবো।নৌকার প্রার্থী গোলাম দস্তগীর গাজীকে ইঙ্গিত করে তৈমুর আলম বলেন-উনি বিভিন্ন অহেতুক অভিযোগ তুলেন।আমি যে অভিযোগ তুলি তার এভিডেন্স আছে।নির্বাচন কমিশন যদি রূপগঞ্জে টাকার প্রভাব বন্ধ করতে না পারে,তাহলে জনগণের কাছে এই নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না।সারা বাংলাদেশের জরিপে দেখা যায়-রূপগঞ্জের নির্বাচন কারো মনে ঝুকিপূর্ণ,কারো মনে প্রচারমুখি,কারো মনে এটা একটা জমজমাট নির্বাচন হচ্ছে। কিন্তু আমি একজন প্রার্থী হিসেবে বলতে চাই-এই রূপগঞ্জে শকুনের থাবা পড়েছে। ভূমি দস্যুদের শকুনি থাবা নির্বাচনকে নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করছে। এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে টাকা বিলি হচ্ছে। সরকারী দলের সরকারের অনুগত ৫ জন প্রার্থী আছে।এই ৫ জনের মধ্যে নৌকা ও নৌকার ছেলে সহ ৪ জন রয়েছে।এছাড়া নৌকার প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে স্বতন্ত্র প্রার্থী আছে।