আব্দুল্লাহ আল মামুন পিন্টু,টাঙ্গাইল প্রতিনিধিঃ
টাঙ্গাইলের সখীপুর-রতনগঞ্জ সড়কের বহেড়াতৈল এলাকায় পুরোনো বেইলি ব্রিজ ভেঙে সেতু নির্মাণ করা হচ্ছে। সম্প্রতি বৃষ্টির কারণে নির্মাণকাজ বন্ধ হয়ে গেছে। অন্যদিকে সেতুটির বিকল্প সড়ক পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন দুই উপজেলার মানুষ। মালবাহী যানবাহন আটকে গিয়ে মাঝেমধ্যেই বন্ধ হয়ে যাচ্ছে স্বাভাবিক চলাচল। গত দুই সপ্তাহ ধরে এমন অবস্থা চলায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা। তবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ডাইভারশন (বিকল্প চলাচল) সড়কটি অল্প সময়ের মধ্যে উঁচু করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে।
সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ) এবং স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কয়েক মাস আগে দীর্ঘদিনের পুরোনো বেইলি ব্রিজ ভেঙে সখীপুর-রতনগঞ্জ সড়কের বহেড়াতৈল বাজারের পশ্চিম পাশে সেতু নির্মাণকাজ শুরু হয়। ৭ কোটি ১৫ লাখ টাকার নির্মাণকাজের দায়িত্ব পেয়েছেন হাসান টেকনো লিমিটেড নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। চলতি বর্ষায় সেতুটির নির্মাণকাজ বন্ধ হয়ে গেছে। এদিকে সেতুর উত্তরপাশ দিয়ে বিকল্প সড়কটি নিচু করে তৈরি করায় দুই থেকে তিন ফুট পানির নিচে ডুবে আছে।
সেখানে গিয়ে দেখা গেছে, ডুবন্ত বিকল্প সড়কটি ঝুঁকি নিয়ে অতিক্রম করছে মোটরসাইকেল, অটোরিকশা, ট্রাকসহ নানা যানবাহন। এদিকে জুতা, কাপড় ভিজিয়েই পার হচ্ছেন স্থানীয় পথচারী ও বহেড়াতৈল বাজারে অবস্থিত পাঁচটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীরা।
পানিতে ডুবে থাকা সড়ক অতিক্রম করছে মোটরসাইকেল ও পথচারীরা
পানিতে ডুবে থাকা সড়ক অতিক্রম করছে মোটরসাইকেল ও পথচারীরা।
স্থানীয় বাসিন্দা শাওন ও আঃ হালিম জানান, দীর্ঘদিন ধরে সেতুটির কাজ চলছে। ঠিকাদার ইচ্ছে করলে বর্ষার আগেই কাজ শেষ করতে পারতেন, কিন্তু তা না করে সময়ক্ষেপণ করায় এমন দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে। ইতিমধ্যেই যানবাহন উল্টে গিয়ে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
বিকল্প সড়কে আটকে যাওয়া ট্রাক চালক রফিক শিকদার বলেন, পাঁচ ঘণ্টা ধরে পার হওয়ার চেষ্টা করছি, কিন্তু কোনোভাবেই পার হতে পারছি না। এখানে এত পানি হবে জানা ছিল না।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হাসান টেকনো লিমিটেডের তত্ত্বাবধায়ক সোহেল রানা ওরফে জনি মোবাইল ফোনে বলেন, বর্ষার পানির কারণে সেতুর কাজ বন্ধ আছে। দুর্ভোগ কমাতে ডাইভারশন (বিকল্প চলাচল) সড়কটি অল্প সময়ের মধ্যে উঁচু করে দেওয়া হবে।
সড়ক ও জনপথ বিভাগের মির্জাপুর উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, কার্যাদেশ অনুযায়ী সেতুটির নির্মাণকাজের এখনো অনেক সময় বাকি রয়েছে। আগামী জুন মাসে এ সেতুর কাজ বুঝে নেওয়া হবে। বিকল্প সড়কটি উঁচু করে নির্মাণের জন্য ঠিকাদারকে তাগিদ দেওয়া হয়েছে।