মো: আতিকুর রহমান আজাদ মাদারীপুর প্রতিনিধি:
মাদারীপুর জেলার ডাসার উপজেলার ৩টি ইউনিয়নের অর্ধশতাধীক পরিবার সহ কয়েক হাজার হেক্টর ফসলি জমি জলাবদ্ধতা সৃষ্টির ফলে ভোগান্তিতে পড়ছেন।
সরকারি খালের উপর নির্মানাধীন অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে খালটির স্বাভাবিক পানি প্রবাহের দাবি করেন এলাকাবাসী।
জানা যায়, উপজেলা যুবলীগের সহসভাপতি সৈয়দ বেলায়েত হোসেন ও আওয়ামী লীগ নেতা সৈয়দ শাহআলম ক্ষমতার অপব্যবহার করে উপজেলার ডাসার ইউনিয়নের ৩৩ নং ধামুসা মৌজার ৭২১ নং দাগের কাঠালতলা বাজারের সরকারি খালের মুখ সহ প্রায় (৬০০ মিটার) ভরাট করে পাকা ভবন ও স্থাপনা নির্মান করায় পানির স্বাভাবিক প্রবাহ বন্ধ করে দেয়ায় ফলে উপজেলার ৩টি ইউনিয়ন বালিগ্রাম, কাজীবাঁকাই এবং ডাসার ইউনিয়নের সর্বত্র জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। বন্ধ হয়ে যায় পানি চলাচল।
বিলুপ্তির পথে দেশীয় প্রজাাতির মাছ এবং শামুক সহ বিভিন্ন জলজ উদ্ভিদ ও প্রাণী দেখা মিলছেনা এসব এলাকায়।
বিষয়টি নিয়ে ইতিপূর্বে বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশ করায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ,মিডিয়া কর্মী ও সাধারণ জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সীমানা নির্ধারন করে চিহ্নিত করেন ভুমি অফিস ও জেলা সার্ভেয়ার এবং কানুরগো। এরই ধারাবাহিকতায় বালিগ্রাম ইউনিয়নের পাথুরিয়ার পাড় হতে কাজি বাঁকাই ইউনিয়নে খালের উপর নির্মিত অবৈধ বাঁধ ও স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। তবে অদৃশ্য কারণে ৩৩ নং ধামুসা মৌজার ৭২১ নং দাগের সরকারি খালের উপর অবৈধ ভাবে নির্মিত স্থাপনা অপসরন করা হয়নি।
ফলে জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি হলে বিষয়টি নিয়ে সর্ব মহলে আলোচনা পূর্বক, আজ ভুক্তভোগী এলাকাবাসীর গণস্বাক্ষর সহ এলাকাবাসীর পক্ষে ডাসার উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি সাংবাদিক আতিকুর রহমান আজাদ এলাকাবাসীদের নিয়ে জেলা প্রশাসক বরাবর একটি আবেদন করেন। যাহাতে অতি দ্রুত ডাসার উপজেলার ৩৩ নং ধামুসা মৌজার ৭২১ দাগের কাঠালতলা বাজার সংলগ্ন সরকারি খালের উপর অবৈধভাবে নির্মিত অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে কৃষকের ফসলি জমিতে পানি সেচের ব্যবস্থা করা হয়।
উল্লেখ থাকে যে,সাংবাদিকরা সরকারি খাল ভরাট করে অবৈধ ভাবে স্থাপনা নির্মাণ হচ্ছে শিরোনামে নিউজ প্রকাশ হলে,সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন দখলকারী উপজেলা যুবলীগের সাবেক সহসভাপতি সৈয়দ বেলায়েত হোসেন ও আওয়ামী লীগ নেতা সৈয়দ শাহআলম।
মিথ্যা ও মানহানিকর তথ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করায় ওই সাংবাদিকরা আদালতে দুটি, দুই কোটি টাকার মানহানি মামলা দায়ের করেন। মামলাটি বিচারধীন রয়েছে।