মোঃরিপন রেজা স্টাফ রিপোর্টার নারায়ণগঞ্জ :
আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।নারায়ণগঞ্জ সোনারগাঁ উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের কান্দারগাঁও এলাকার যুবলীগের সভাপতি জাকির হোসেন ও বজলু গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে পারভেজ নামের ১ যুবককে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।এসময় লিটন মিয়া,রুহুল আমিন,আক্তার হোসেন,হৃদয় হোসেন,মোতালেব মিয়া,শামীম সরকার ও আলম সরকারসহ ১০ জনকে কুপিয়ে আহত করা হয়েছে।শুক্রবার বিকাল থেকে এই সংঘর্ষের সুত্রপাত শুরু হয়।টানা তিন ঘন্টা দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়।এ সময় নিহত পারভেজ গ্রুপের লোকজন প্রতিপক্ষের প্রায় ২০টি বাড়ি ভাংচুর ও লুটপাট করে।নিহত পারভেজ পশ্চিম কান্দারগাঁও গ্রামের মোতালেব মিয়ার ছেলে এবং জাকির গ্রুপের লোক বলে জানাযায়।এলাকাবাসীর সুত্রে জানাযায়-শুক্রবার সকালে পিরোজপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি জাকির হোসেন তার বাড়িতে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করতে যায়।এসময় প্রতিপক্ষ বজলূ গ্রুপের জসিম বাঁধা প্রদান করে।এ নিয়ে জাকিরের সাথে বাকবিতন্ডতার ঘটনা ঘটে।পরবর্তীতে বিকেলেবেলা জাকিরের নেতৃত্বে ৪০-৫০ জনের একটি সঙ্ঘবদ্ধ দল বজলুর বাড়িতে হামলা চালায়।এ নিয়ে দুই গ্রুপের সাথে দফায় দফায় সংঘর্ষে জাকির গ্রুপের পারভেজকে ঘটনাস্থলে কুপিয়ে হত্যা করে। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে জাকিরের লোকজন বজলুর বাড়িতে হামলা করে ভাংচুর ও লুটপাট করে।টানা তিন ঘন্টা দফায় দফায় সংঘর্ষে আরো ১০ জন আহত হয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।খবর পেয়ে সোনারগাঁ থানা পুলিশের কয়েকটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।সোনারগাঁ থানার ওসি অপারেশন সাইফুল ইসলাম সোহাগ জানান-দু গ্রুপের সংঘর্ষের খবর পেয়ে সোনারগাঁ থানা পুলিশের কয়েকটি টিম ও ডিবি পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।বর্তমানে এলাকায় ধমধমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।