বিপ্লব সাহা খুলনা ব্যুরো:
খুলনা নগর ভবনের নবনিযুক্ত কর্মকর্তাদের উদ্যোগে নগরজুড়ে অবৈধ উচ্ছেদ অভিযান অব্যাহত রয়েছে ধারাবাহিকভাবে উচ্ছেদ করছে অপরিকল্পিত ও অবৈধ স্থাপনা দখল মুক্ত করছে ফুটপাত । এলাকার ভুক্তভোগী ও নরগর ভবনের সম্প্রতি দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের অভিযোগ বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে কতিপয় নেতাদের পকেট ভারি করার লক্ষে নগর ভবনের অসাধু কর্মকর্তাদের সাথে আঁতাতের মাধ্যমে ভুয়া নথি তৈরি করে নগরীর বিভিন্ন এলাকার অলিগলি জন চলাচলের ফুটপাত বিভিন্ন হকারদের কাছে লিজ আকারে বরাদ্দ দেয়, তাছাড়া রাস্তার কোল ঘেঁষে যে সকল বাড়িঘর ও ফুটপাত গড়ে উঠেছিল তাদেরও সুবিধা দিয়েছিল সাবেক শাসনামলের পাতিনেতা থেকে শুরু করে ওয়ার্ড পর্যায়ের সভাপতিরা পর্যন্ত।
তবে তারা দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ার পর বিভিন্ন এলাকার ভুক্তভোগীদের অভিযোগসূত্রে কেসিসির পক্ষ থেকে মাঠ পর্যায়ে তদন্তে নামলে তদন্ত কমিটির নজরে আসে ফুটপাতে সরকারি জায়গা দখলের রাম রাজত্ব। নগরীর বিভিন্ন ফুটপাত সহ অলিগলি কতিপয় ব্যক্তিরা দখল করে আছে অবৈধভাবে আর সেই সব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করার লক্ষ্যে নগর ভবনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাগণ কয়েক ধাপে আলোচনার মাধ্যমে প্রায় মাস খানেক সময় ধরে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা শুরু করে তারই ধারাবাহিকতায় গত মাসে খালিশপুরের দীর্ঘদিনের পুরাতন বাস্তহারা কলোনিটি কেসিসির এক্সকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের সাথে নিয়ে উচ্ছেদ করতে গিয়ে সাধারণ জনগণের তোপের মুখে পড়তে হয় তা সত্ত্বেও বস্তিটি উচ্ছেদ করতে সক্ষম হয় কেসিসি। পরে একের পর এক নগরীর বিভিন্ন এলাকা জুড়ে যে সকল অবৈধ ফুটপাত ও স্থাপনা রয়েছে সেগুলো নগরভবনের প্রশাসনিক কর্মকর্তাগণ জোর তাগিদে উচ্ছেদ অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
সাধারণ জনগণের চলাচলের ক্ষেত্রে ভিঘ্ন না ঘটুক সেদিকে লক্ষ্য রেখে প্রথমেই নগরীর উল্লেখযোগ্য ফুটপাতগুলো উচ্ছেদ করছে।
তবে এরই মধ্য খালিশপুর হাউসিং স্টেটে আরেকধাপ অভিযান চালিয়ে ১৬৪ নং সড়ক ও সড়ক সংলগ্ন ড্রেনের উন্নয়নকল্পের জমির ওপর অবৈধভাবে নির্মিত ভবন হাসপাতাল সহ আংসিকভাবে অপসারণ করা হয়েছে। তাছাড়া ইতোপূর্বক কেসিসির পক্ষ থেকে সড়কের ওপর নির্মিত স্থাপনা সমূহ অপসারণের জন্য সকলকে বলা হলে অধিকাংশ মালিকগণ অবৈধ অংশ নিজ উদ্যোগ অপসারণ করেন, কিন্তু যে সকল মালিকগণ নিজ উদ্যোগে অপসারণ করেননি গতকালকেসিসির উদ্যোগে তাদের স্থাপনা সমূহ অবৈধ অংশ অপসরণ করা হয়। এছাড়া অপসারণ কার্যক্রম পরিচালনাকালে হাউজিং স্টেট এর ১৮ নং সড়ক ফুটপাতের ওপর ফ্রিজসহ অন্যান্য মালামাল রেখে জনসাধারণের চলাচলের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করার অপরাধে আমিন স্টরের স্বত্বাধিকারী আমিনুল ইসলাম কে এক হাজার টাকা এবং ডিপার্টমেন্টাল স্টোর হাটবাজারে স্বত্বাধিকারী ইমরান খানকে এক হাজার টাকা জরিমানা করে তাৎক্ষণিক আদায় করা হয়। কেসিসির স্টেট অফিসার গাজী সালাউদ্দিনসহ মেট্রোপলিটন পুলিশের সদস্য গণ অপসারণ এর কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন।এ সময় গাজী সালাউদ্দিন গণমাধ্যমকে বলেন খুলনা শহরে যত অবৈধ স্থাপনা ও ফুটপাত রয়েছে সেগুলো আমরা লিস্ট করেছি আর সেগুলো যতদিন পর্যন্ত আমরা পরিপূর্ণভাবে উচ্ছেদ না করতে পারতেছি ততদিন পর্যন্ত আমাদের এই উচ্ছেদ অভিযান কার্যক্রম চলমান থাকবে।
পাশাপাশি কেসিসির এমন উদ্যোগকে খুলনা নাগরীক সমাজ ও সাধারণ জনগণ ভূয়সী প্রশংসা করে পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছে।

