বিপ্লব সরকার স্টাফ রিপোর্টার, নওগাঁ
নওগাঁর পত্নীতলায় আল আমিন মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিঃ সমিতির নামে সমবায় অফিস থেকে অনুমোদন নিয়ে সমিতির সদস্যদের নিকট হতে শেয়ার ও সঞ্চয় আদায় এবং ঋণদানের মাধ্যমে অর্থ ও আর্থ নির্রভরশীল করে গড়ে তোলা ও সদস্যদের ভাগ্য উন্নয়ন করার জন্য জেলার নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলায় শাখা স্থাপন করে এলাকার তিনশত গ্রাহকের প্রায় চৌদ্দ কোটি টাকা নিয়ে আত্মসাথ ও আত্মগোপনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত আল আমিন মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সমিতির সভাপতি ও পত্নিতলা উপজেলার ৯নং ঘোষনগর ইউনিয়নের ইউনিয়নের জোক্সিপুর গ্রামের আলিম বাবু চক শ্রীপুর গ্রামের আলহাজ্ব আলিম আলরাজি (বাবু)র বিচারসহ পাওনা টাকা ফেরতের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন ভুক্তভোগীরা। বুধবার সকাল সাড়ে ১১টায় নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলার নতুনহাট মোড়ে মাল্টিপারপাস অফিসের সামনে এ মানববন্ধন করেন।
অপর দিকে গত ২৯/০৭/২৫খ্রিঃ রোজ মঙ্গলবার সকাল ১০ ঘটিকায় সময় নতুনহাটে গ্রাহকের টাকা আত্মসাৎ করে যে একটি বিলাসবহুল ফ্ল্যাট এবং অফিস তৈরি করেছে সেই অফিসে গ্রাহকেরা ভিড় জমায়েত হয় এবং অফিসে কাউকে না পেয়ে আল আমিন মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ লিঃ সভাপতি আলিম আলরাজী (বাবু) কয়েক মাস যাবত অফিসে অনুপস্থিত থাকার কারণে গ্রাহকেরা দিশাহারা হয়ে পড়েন। বর্তমানে সে অফিস তালাবদ্ধ করে আত্মগোপনে আছেন।
ভুক্তভোগী জনসাধারণের ব্যানারে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে মোঃ মাজেদ আলী আকন্দ র সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য দেন পত্নীতলা উপজেলার নজিপুর পৌরসভার হরিরামপুর গ্রামের রেজাউল ইসলাম, আশরাফুল ইসলাম,মোঃ খোরশেদ আলম, মাহফুজ হোসেন,মমতাজ উদ্দীন।
বরহটটি গ্রামের অন্ধ সুলতান মাহমুদ সে বলেন আমি ভিক্ষা ভাঙ্গন করে কষ্ট করে এক লক্ষ টাকা সঞ্চয় করেছিলাম। আমার মত অন্ধ মানুষের টাকাও সে আত্মসাৎ করে চলে গেছেন। ভুক্তভোগীরা বলেন আমাদের প্রতি লাখে দুই হাজার থেকে আড়াই হাজার টাকা লোভ্যাংশ দেওয়ার কথা বলে অত্র সমিতিতে সঞ্চয় রাখার উৎসাহ প্রদান করে আমাদেরকে তার মাল্টিপারপাসের সঞ্চয় করিয়ে নেন।
সঞ্চয়ের টাকা উত্তোলনের সময় হলে আমরা সঞ্চয়ের টাকা উত্তোলন করতে চাইলে আজ নয় কাল পরশু আসেন বলে বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে কাল ক্ষেপন করতে থাকেন আলীম আলরাজি (বাবু)।
এমন নানা অজুহাতে নির্ধারিত সময়ে টাকা দেওয়ার কথা থাকলেও তিনি টাকা না দিয়ে পালিয়ে আত্মগোপন করেছেন।
পত্নীতলা উপজেলার হরিরামপুর গ্রামের আশরাফুল আলম বলেন, মাসে মাসে লভ্যাংশ পাওয়ার জন্য এক বছর আগে আল আমিন মাল্টি পারপাস সমিতির সভাপতির হাতে ১০ লক্ষ টাকা দিয়েছিলাম। আমাকে এখন আর লভ্যাংশ দেন না টাকা ও ফেরত চাইলে বিভিন্ন তালবাহানা করেন। বার বার অফিসে ধরনা দিয়েও কোন কাজ হয়নি। এখন এই মাল্টিপারপাস অফিস তালা বদ্ধ। টাকা না পেয়ে আমি এখন পরিবার পরিজন নিয়ে পথে বসার উপক্রম হয়েছি।
এ ব্যাপারে প্রতিকার চেয়ে জেলা প্রশাসক ও জেলা সমবায় অফিসার এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিবেন বলেন ভুক্তভোগীরা।
এ বিষয়ে আল আমিন মাল্টিপারপাসের মালিক আলীম আলরাজী (বাবু)র মুঠোফোনে বারংবার যোগাযোগ করা হলে মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় তার কোন বক্তব্য পাওয়া যায় নাই।