মোঃ রিপন রেজা স্টাফ রিপোর্টার নারায়ণগঞ্জঃ
দ্বাদশ জাতীয় সংসদের পর নতুন করে সীমানা নির্ধারণের উদ্যোগ নিয়েছে নির্বাচন কমিশন(ইসি)।এরই অংশ হিসেবে নারায়ণগঞ্জ জেলার ৫টি আসনের মধ্যে ২ টি আসন রূপগঞ্জ ও আড়াইহাজারের সীমা অপরিবর্তিত রেখে বাকি ৩টি আসনের জন্য পূর্ণ সীমানা নির্ধারণের সুপারিশ করেছে কমিশন।এ সুপারিশ বাস্তবায়ন হলে পরিবর্তন আসতে যাচ্ছে নারায়ণগঞ্জ-৩(সোনারগাঁও),নারায়ণগঞ্জ-৪(ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ),নারায়ণগঞ্জ-৫(বন্দর- সদর)আসনে।এ জেলার সোনারগাঁ উপজেলা নিয়ে গঠিত নারায়ণগঞ্জ-৩ আসন।পরে ইসির সুপারিশে সোনারগাঁয়ের সঙ্গে বন্দর উপজেলাও যুক্ত করা হয়েছে।
এক্ষেত্রে সোনারগাঁয়ের ১০টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার সঙ্গে বন্দরের আরো ৫টি ইউনিয়ন যুক্ত হবে।তবে বন্দরের এ পাঁচটি ইউনিয়ন এখনো নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের আওতায় রয়েছে।নতুন সুপারিশে এ আসনের আরো ২টি ইউনিয়ন সদর উপজেলার গোগনগর ও আলীরটেক ইউনিয়ন বাদ পড়বে।তবে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের সিদ্ধিরগঞ্জ অঞ্চলের ৯ টি ওয়ার্ড যুক্ত হবে এ সংদীয় আসনের এলাকা হিসেবে।নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ২৭টি ওয়ার্ডকেই কেবল নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের এলাকা হিসেবে নির্ধারণের সুপারিশ করেছে ইসি।অন্যদিকে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের সিদ্ধিরগঞ্জ অঞ্চলের ৯টি ওয়ার্ড ও সদর উপজেলার ফতুল্লা,কুতুবপুর,কাশিপুর,এনায়েতনগর ও বক্তাবলী ইউনিয়ন এলাকা নিয়ে গঠিত নারায়ণগঞ্জ-৪ আসন।তবে সুপারিশে এ আসনে সদরের অপর ২টি গোগনগর ও আলীরটেক ইউনিয়নকে যুক্ত করার কথা বলা হয়েছে।তবে,সেক্ষেত্রে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের সিদ্ধিরগঞ্জ অঞ্চলের ৯টি ওয়ার্ড বাদ পড়বে।এই ওয়ার্ডগুলো নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের এলাকা হিসেবে গন্য করা হবে।আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সীমানা পুননির্ধারণের খসড়া অনুমোদন দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
এতে ৪২টি আসনে পরিবর্তনের প্রস্তাব করেছে কারিগরি কমিটি। এর মধ্যে ৩৯টি আসনে সীমানা সামান্য পরিবর্তনের অনুমোদন দিয়েছে ইসি।যে ৩৯টি আসনে ছোট-বড় সংশোধনীর প্রস্তাব করা হয়েছে তারমধ্যে নারায়ণগঞ্জের তিনটি সংসদীয় আসন রয়েছে।বুধবার বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের নিজ কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে নির্বাচন কমিশনার মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম সরকার জানান-কমিশনের অনুমোদনের পর প্রস্তাবিত ৩০০ আসন নিয়ে ১০ আগস্টের মধ্যে দাবি-আপত্তি জানানোর সুযোগ রাখা হয়েছে।নতুন সীমানা নির্ধারণে নারায়ণগঞ্জ-৩,৪ ও ৫ আসনের কিছু ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন একটির সঙ্গে অন্যটিতে যুক্ত হয়েছে,আবার কিছু বাদ পড়েছে।এতে করে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রচার কৌশল,সম্ভাব্য প্রার্থী নির্বাচন এবং ভোটারদের চাহিদা বিশ্লেষণে পরিবর্তন আসতে পারে।তবে এ পরিবর্তনকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যেই রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা শুরু হয়েছে।রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে নতুন সীমানা ভোটের মাঠে নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি করবে।জনপ্রতিনিধিদের এখন শুধু পুরনো ভোট ব্যাংক নয়,বরং নতুন ভোটারদের আস্থা অর্জনেও কাজ করতে হবে।উল্লেখ্য,নির্বাচন কমিশন চূড়ান্ত গেজেট প্রকাশের পরই এই সীমানা কার্যকর হবে। তখন থেকেই রাজনৈতিক দলগুলো নতুন হিসাব-নিকাশে ব্যস্ত হয়ে পড়বে।