মোঃরইস উদ্দীন রিপন স্টাফ রিপোর্টারঃ
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয়েছে সরকার বনাম সরকার।নৌকা ও সরকারী-স্বতন্ত্র ও সরকারী।মনে হচ্ছে দেশটা একটি একদলীয় শাসনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।বুধবার(১০ই জানুয়ারি)দুপুরে এডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার তার এক নির্বাচনী এজেন্টের বাসায় হামলার অভিযোগ নিয়ে পুলিশ সুপারের সাথে সাক্ষাৎ শেষে গণমাধ্যমকে এসব কথা বলেন।এডভোকেট তৈমূর বলেন-তৃণমূল বিএনপি রাজনীতি করবে।তবে,ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কথা জনগনের কাছে তুলে ধরেছিলেন।আমরা ও এগুলো পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখবো।আমরা এরকম সাজানো নির্বাচনে আর যাবো না।আমরা বিস্তারিত আলোচনা করবো এবং আমাদের সকল প্রার্থীদের ঢাকা ডাকবো।তাদের সঙ্গে কথা বলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে রিপোর্ট দেব।তিনি আরো বলেন-রূপগঞ্জের ভূমিদস্যুরা মনে করছে যে তৈমূর আলম খন্দকার এমপি হয়ে আসলে,আমাকে তারা নিয়ন্ত্রন করতে পারবো না।যাদের জমি-জমা নিয়ে গেছে,তারাও তো ভয়ে এগিয়ে আসে না।আমি মনে করি-আমাদের জন্যে দেশে সুষ্ঠু রাজনীতি সম্ভব না।আগামী প্রজন্মও পারবে না।যদি সম্ভব হয় তৃতীয় প্রজন্ম হয়তো পারবে।তৃণমূল বিএনপির এই মহাসচিব বলেন-সরকার চিন্তা করে,আমরা ক্ষমতা ছাড়লে আমাকে জেলে যেতে হবে। এদেশে যে দলই ক্ষমতায় যায়,তার প্রতিপক্ষকে জেল খাটতে হয়।সেকারণেই ওরা নির্বাচন কুক্ষিগত করে।আপনারা সিইসির সচিবের বক্তব্য শুনেছেন-তিনি বলেছেন ডিসিদের কাছে মেসেজ চলে গেছে। সে অনুযায়ী রেজাল্ট হবে।তিনি আরো বলেন-আমরা সবসময় রাজপথে ছিলাম। বাকি জীবনও আমাকে রাজপথেই থাকতে হবে।যখন চোখের সামনে দেখলাম এই ব্যারিস্টার সুমন বলেছেন সরকার বনাম সরকার নির্বাচন।এটা তাদের মুখেরই কথা।উল্লেখ্য-দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-১(রূপগঞ্জ)আসন থেকে কেটলি প্রতীকে এমপি প্রার্থী ছিলেন তৈমূর আলম খন্দকার।নৌকার কাছে সূচনীয় পরাজয়ের কারণে জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে।