মোঃ মশিউর রহমান সুমন।
মেহেন্দিগঞ্জ, বরিশাল, প্রতিনিধি।
ইলিশের প্রজনন মৌসুমে মাছ ধরা ও বিক্রির উপর নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার ধুমধামে চলছে ইলিশ শিকার।জেলেদের দাবি সরকারি সহযোগিতা না পেয়েই বেঁচে থাকার তাগিদে করছেন ইলিশ শিকার। মৎস্য অফিস বলছে বেশি বরাদ্দ না থাকায় সব জেলেকে সরকারি প্রনোদনা দেয়া সম্ভব হয়নি।তবে মাঝে মধ্যে উপজেলা প্রশাসন, মৎস্য কর্মকর্তা নৌ-পুলিশের যৌথ উদ্যোগে চলছে অভিযান।অভিযানের মধ্যেও টাকায় মিলছে ইলিশ ধরার অনুমতি।
১২ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত ইলিশের প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ আহরন, পরিবহন, বাজারজাতকরন, ক্রয় -বিক্রয় ও বিনিময় সম্পুর্ন নিষিদ্ধ এবং দন্ডনীয় অপরাধ ঘোষণা করা করেছে সরকার।
সরেজমিনে মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, নদীর পাড়ে, রাস্তার পাশে দাড়িয়ে কিছু লোকজন পথযাত্রীদের ডেকে বলছেন ভাই মাছ লাগবে না কি?অনেকেই তাদের সাথে গিয়ে জেলেদের বাড়ি থেকে দামদর করে মাছ কিণে আনছে। অথচ ৩ কিলোমিটার দুরে রয়েছে মেহেন্দিগঞ্জ থানা।
জেলে ও স্থানীয় লোকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তিকে প্রতিরাতে জন্য টাকা উৎকোচ দিয়ে নদীতে মাছ ধরার অনুমতি দিচ্ছেন।
এছাড়াও একটি দালাল চক্রের সাথে সমন্নয় না করলে জেলেদের নদীতে মাছ ধরার অনুমতি মিলে না। আবার যে সকল জেলেরা নৌ-পুলিশের অগোচরে নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে পুলিশের হাতে ধরা পড়ছেন তাদের আবার ৫ থেকে ১০ হাজার টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দিচ্ছেন বলে জানা যায়।
ইলিশের ক্রেতা হিসেবে এক প্রতিবেদক চর এককরিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে গেলে দেখা যায় পুরো গ্রামটিই যেন ইলিশ বিক্রির হাট। গ্রামটি গজারিয়া নদীর পাশে হওয়ায় জেলেরা নদী থেকে মাছ শিকার করে সরাসরি এই গ্রামেই প্রবেশ করে। গ্রামের প্রতিটি বাড়ি থেকেই সকালে এবং রাতে বিক্রি হয় মনকে মন ইলিশ।
এদিকে মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী আনিসুল ইসলাম বলেন, মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযানের শুরু থেকেই উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। শেষ মুহূর্তে ইলিশ একটু বেশি ধরা পরছে একারনে আমাদের অভিযান আরো জোড়ালো ভাবে পরিচালনা হবে।