বিপ্লব সরকারঃ স্টাফ রিপোর্টার, নওগাঁ।
আজ বুধবার (২৮শে মে ) বিকালে নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে উপজেলার পাটি আমলাই গ্রামে এই মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়। এসময় রসুন (বারি রসুন -১) আদা (বারি-১)হলুদ( বারি-১)পিঁয়াজ (বারি-১)পিঁয়াজ জাত গ্রীষ্ম কালীন এর প্রদর্শন করা হয়।
পত্নীতলা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ সোহরাব হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নওগাঁ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো. আবুল কালাম আজাদ।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বদলগাছী উপজেলা হার্টিকালচার সেন্টারের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ নজরুল মিল্লাদ।
পত্নীতলা উপজেলা অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা মোহাইমিনুল ইসলাম,পত্নীতলা উপজেলা প্রেসক্লাবের সাংবাদিক বৃন্দ , এছাড়া পত্নীতলা উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে এক শতাধিক কৃষক কৃষাণীরাসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।
এসময় অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কৃষি কর্মকর্তা মশিউর রহমান।
বদলগাছী হার্টিকালচার সেন্টারের উপ-পরিচালক নজরুল মিল্লাদ বলেন, সরকারের পাশাপাশি কৃষকের আগ্রহ থাকলে আগামীতে মসলা জাতীয় ফসলের উৎপাদন করে নিজেদের চাহিদা নিজেরাই পূরণ করতে পারবে।
মাঠ দিবস অনুষ্ঠানে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ সোহরাব হোসেন বলেন, আমাদের দেশ বেশকিছু খাদ্য স্বয়ংসম্পূর্ণ হলেও মসলা জাতীয় খাদ্য উৎপাদনে এখনো স্বয়ংসম্পন্ন নয়। এখনো বিদেশ থেকে অনেক মসলা জাতীয় খাদ্য আমদানি করতে হয়। বিদেশ থেকে আমদানি কমাতে মসলা জাতীয় ফসলের উৎপাদন বাড়াতে সরকার প্রণোদনাসহ বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ করেছে। সরকার চাইছে আমাদের কৃষকেরা নিজেরাই আবাদ করে, মসলা জাতীয় ফসল উৎপাদনে সফল হবে। তাহলে অনেক বৈদেশিক মুদ্রা বেঁচে যাবে। কৃষকের মসলা জাতীয় ফসল উৎপাদনে আগ্রহ বাড়াতেই এই মাঠ দিবসের আয়োজন করা হয়েছে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, পিঁয়াজ, আদা, হলুদ, মরিচসহ বেশ কিছু মসলা আমদানি করতে হয়। সামনের দিনগুলোতে আমদানি কমাতে এবং মসলা জাতীয় ফসল উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হবার জন্য আজকের এই আয়োজন গ্রহণ করা হয়েছে। সকল কৃষককে খাদ্যশস্য উৎপাদনের পাশাপাশি মসলা জাতীয় ফসলের উৎপাদন বাড়াতে হবে। তাহলে আমাদের বিদেশের উপর আর নির্ভর করতে হবে না।