মশিউর মিলন, পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি:
পটুয়াখালীর বাউফল সদর ইউনিয়নের বিলবিলাস-১ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষককেরা পাঠদান ফাঁকি দিয়ে ঘুমিয়ে সময় কাটান বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এমনকি শ্রেণীকক্ষে তাদের আরাম করে ঘুমানোর জন্য সাজিয়ে রাখা আছে বিছানা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বিলবিলাস-১ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মোট ২৩০ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। তাদের পাঠদানের জন্য ৭জন শিক্ষক কর্মরত থাকলেও অধিকাংশ শিক্ষক ২-১টি ক্লাস শেষ করে বিদ্যালয়ের আইসিটি ও নামাজের কক্ষসহ বিভিন্ন শ্রেণীকক্ষে গিয়ে ঘুমিয়ে সময় কাটান। এমনকি তারা আরাম করে ঘুমানোর জন্য বিদ্যালয় শ্রেণীকক্ষে বাড়ি থেকে বিছানা ও বালিশ এনে সাজিয়ে রেখেছেন। শিক্ষকরা স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী হওয়ায় প্রধান শিক্ষকের নিষেধ ও নির্দেশনা আমলে নেন না বলেও অভিযোগ রয়েছে। এমনকি এসব কর্মকান্ডের প্রতিবাদ করায় একবার একজোট হয়ে সব শিক্ষকরা মিলে প্রধান শিক্ষককে অফিস রুমে দীর্ঘ সময় আটকে রেখেছিলেন বলে জানা গেছে।
ছবির সত্যতা স্বীকার করে সহকারী শিক্ষিকা নুরজাহান বেগম কালবেলাকে বলেন, সবাই যখন খেতে খেছে তখন আমি বুকে ব্যথায় অসুস্থ হয়ে এখানে চেয়ারে উপরে শুয়েছিলাম তখন এক ম্যডাম এসে আমার ছবি তুলেছিলো। আমার পাসপোর্ট করছি নভেম্বরে আমি বাহিরে চলে যাবো।
অপর সহকারী শিক্ষিকা মোসা. হোসনেয়ারা বুলবুল বলেন, আমি অসুস্থ পায়ে ব্যথা হাঠতে পারি না,স্কুল বিরতির সময় আমি একটু রেষ্ট নিয়েছিলাম।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে প্রধান শিক্ষক রেহেনা বেগম বলেন, আমি শিক্ষকদের অনৈতিক কর্মকান্ডের প্রতিবাদ করলে আমাকে নাজেহাল করা হয়। বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীত দেখানো হয়। একবার প্রতিবাদ করায় আমাকে অফিস রুমে দীর্ঘ সময় আটকে রাখা হয়েছিল। আমাকে চিকিৎসার জন্য পাবনা যেতে বলে অপমান করা হয়। আমি এসব বিষয় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবগত করেছি।
এবিষয়ে উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার মো. ওয়ালীউল ইসলাম কালবেলাকে বলেন, অভিযোগের বিষয়ে খতিয়ে দেখে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।