বিপ্লব সাহা, খুলনা ব্যুরো:
উদ্ভাসিত হোক সকল শিক্ষার্থীর হৃদয় এবং সুশিক্ষার আলোয় আলোকিত।
তাই একটি জাতি শিক্ষার অবকাঠামগতভাবে পুঁথিগত বিদ্যার জ্ঞানের মাধ্যমে নিজেকে বিকশিত ও উন্মোচন করা হচ্ছে একটি অন্যতম মাধ্যম।
আর প্রত্যেকটি শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে বই যেমন অপরিহার্য তেমন ঠিক সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও পাশাপাশি প্রত্যেক অভিভাবকদের রয়েছে একটি বড় ভূমিকা।
বই পুঁথিগত জ্ঞানে ভূষিত করে আর বাহ্যিক জ্ঞানে আলোকিত করে শিক্ষক ও অভিভাবকগণ
তাই ১ জানুয়ারী সোমবার ২০২৪ সারা দেশব্যাপী বই উৎসব তারই ধারাবাহিকতায় খুলনা জেলা স্কুল প্রাঙ্গণে নতুন বছরের নব সূর্য উদয়ের মধ্য দিয়ে খুলনা জেলা স্কুলের আয়োজনে জেলা শিক্ষা অফিসার ফারহানা নাজ এর সভাপতিত্বে সকাল ১০ টায় বই উৎসব ২০২৪ অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ হেলাল মাহমুদ শরীফ কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মাঝে নতুন বছরের নতুন বই হাতে তুলে দেওয়া কালে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি তানার বাস্তবিক জীবনের শিশু কালের নতুন বই প্রাপ্তিতে যে আনন্দ উদ্দেলতা এবং উপলব্ধি ব্যক্ত করে বলেন যদিও আমরা তখন নতুন বই সরকার কর্তৃক বিনামূল্যে পেতাম না
তাসত্বেও পরীক্ষার রেজাল্ট বের হলে পাশ করার পর বুক লিস্ট নিয়ে বাবা-মা বই কিনে এনে দিলে তার একটা অনুভূতি ছিল অন্যরকম।
অথচ ২০১০ সাল থেকে দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিক্ষা খাতে অন্যরকম দৃষ্টি রেখে অদম্য অগ্রযাত্রায় সুশিক্ষা হোক জাতির মেরুদন্ড আর শিক্ষাকে সর্বক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে বাংলাদেশকে নিরক্ষরমুক্ত দেশ গড়ে তুলতে প্রধানমন্ত্রী নিরলসভাবে দেশের প্রাথমিক পর্যায়ের সকল শিক্ষার্থীদের প্রতি সজাগ দৃষ্টি রেখে একটি সৃজনশীল আত্মমর্যাদা পূর্ণ দেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে তিনি সর্বদাই এগিয়ে যাচ্ছেন।
তিনি বাংলাদেশকে নিরক্ষর মুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত, ক্ষুধামুক্ত, মাদক মুক্ত এবং দুর্নীতিমুক্ত একটি সুন্দর দেশ গড়ে তোলার অঙ্গীকারে দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
এসময় তিনি আরো বলেন এবার বই উৎসবে আয়োজনের রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গরা উপস্থিত না থাকার মুখ্য কারণ হচ্ছে দেশজুড়ে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণার একটা চাপ রয়েছে সে ক্ষেত্রে কোন রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ ছাড়াই অনানুষ্ঠানিকভাবে বই উৎসব অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
তবু যেন নতুন বই হাতে পেয়ে শিক্ষার্থীদের আনন্দ উচ্ছ্বাসের কোন কমতি নাই।
আর এই নতুন বইপ্রাপ্তির আশায় অধীর অপেক্ষায় সকাল থেকে প্রহর গুনছে কোমলমতি সকল শিক্ষার্থীরা।
উল্লেখ্য সরকার ২০১০ সাল থেকে শিক্ষাবর্ষের প্রথম দিন সারাদেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোয় বই উৎসব করে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে শিক্ষার্থীদের হাতে বিনামূল্যে বই তুলে দিচ্ছে।
শিক্ষার্থীরা খালি হাতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে নতুন বই হাতে নিয়ে খুশি মনে বাড়ি ফেরে। এটি এখন রেওয়াজে পরিণত হয়েছে।
এদিকে এনটিসি সূত্রমতে এবার প্রাথমিক বই ৯ কোটি ৩৮ লাখের বেশি এবং মাধ্যমিক স্তরে বই ২১ কোটি ৩২ লাখের বেশি।
পাশাপাশি সরকার ২০১০ সাল থেকে এ পর্যন্ত সারাদেশে মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের মাঝে সত্যি কটি ৭৮ লাখ ২৯ হাজার ৮৮৩ কপি বই বিনামূল্য বিতরণ করেছেন। এবং ২০১৭ সাল থেকে সরকার ক্ষুদ্র জাতীগোষ্ঠীর হাতে মাতৃভাষায় অধ্যায়নের জন্য চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, গারো ও সাদ্রী ভাষায় বই বিতরণের পাশাপাশি অন্ধ শিক্ষার্থীদের মধ্যে বই বিতরণ করছে।
বছরের প্রথম দিনে খুলনা জেলা স্কুল মাঠে বই উৎসব আয়োজন অনুষ্ঠানে যে সকল সম্মানিত অতিথিবৃন্দ উপস্থিত উপস্থিত ছিলেন তানারা হলেন মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক খুলনা পুলিশ কমিশনার( বিপিএম বার) বিপিএম সেবা,খন্দকার ইয়াসির আরেফিন খুলনা জেলা প্রশাসক, মোঃ সাইদুর রহমান পুলিশ সুপার খুলনা,
এবং বই উৎসব অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন শ্রী সুনীল দাস প্রধান শিক্ষক খুলনা জেলা স্কুল।
এর আগে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি সহ সম্মানিত অতিথিবৃন্দদের খুলনা জেলা স্কুলের স্কাউট বাহিনীর সদস্যগণ বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্র ও জাতীয় পতাকা উত্তোলন ফেস্টুন বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে অতিথিবৃন্দদের সম্মান প্রদান করেন।