মোঃরিপন রেজা স্টাফ রিপোর্টার নারায়ণগঞ্জ
প্রাক্তন ছাত্র ছাত্রী ও সুশীল সমাজের উদ্যোগে প্রতিবাদ সভা হয়েছে।নারায়ণগঞ্জ সোনারগাঁও উপজেলার নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ের সামনে বুধবার সকালে উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষিকা,অধ্যাপক ও অধ্যাপিকাদের জোরপূর্বক অপসারণ ও লাঞ্চিত করার প্রতিবাদে প্রতিবাদসভা করেছেন প্রাক্তন ছাত্রছাত্রী ও সুশীল সমাজের লোকজনেরা।প্রতিবাদ সভায় উপস্থিত হয়ে প্রাক্তন ছাত্র ও সুশীল সমাজের পরিবেশ সুরক্ষা ও উন্নয়ন কমিটির সভাপতি মোঃহোসাইন বলেন-শিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড,শিক্ষা ছাড়া যেমন সমাজ অচল,তেমনি শিক্ষক ছাড়া ছাত্র অচল।শিক্ষকদের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা সঠিক শিক্ষা নিয়ে দেশ ও সমাজ পরিচালনা করেন।তাই শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের মধ্যে বন্ধুসুলভ আচরণ থাকতে হবে।তিনি আরো বলেন-শিক্ষকরা যদি কোন ভুল করে থাকে,তাহলে দেশের প্রচলিত আইনে বিচারের আওতায় আনা হউক।যাহাতে আর কোন শিক্ষক,শিক্ষিকা,অধ্যাপক ও অধ্যাপিকারা লাঞ্ছিত না হয়,সেদিকে স্কুল,কলেজের শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানান।সুশীল সমাজের মহাসিন তার বক্তব্য বলেন-কাজী নজরুল ইসলামের ভাষায়,বল বীর চির উন্নত মম শির।অন্যায়ের কাছে মাথা নত নয়।অন্যায় যে করবে,তার শাস্তি অবশ্যই পেতে হবে।তবে অন্যায় অপরাধীদের জন্যে দেশের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী রয়েছে।পিত্র তুল্য শিক্ষকদের যাহাতে কোন প্রকার হেনস্তা না করা হয়,সেদিকে সকল শিক্ষার্থীদের খেয়াল রাখতে হবে।আমাদের সকলেরই উচিত শিক্ষকদের সম্মান করা।শিক্ষক সমাজকে কলুষিত করা যাবেনা।প্রাক্তন ছাত্র মোক্তার হোসেন মুক্তাদী বলেন-সারা দেশের ন্যায় আমাদের সোনারগাঁয়েও শিক্ষকদের অপমান অপদস্থ করে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে শিক্ষকদের জোরপূর্বক ভাবে প্রত্যাহার করানো হচ্ছে,এগুলো মোটেই কাম্য নয়।আমরা চাই,ছাত্রদের স্বাধীন দেশে কোন বিশৃঙ্খলা হবে না।সকল কিছুই দেশের আইনের মাধ্যমে হতে হবে।কোন শিক্ষক যদি অপরাধমূলক কোন কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকে,তাহলে উপজেলা প্রশাসক,শিক্ষা অফিসার এবং পুলিশ বাহিনীর মাধ্যমে সঠিক তদন্তের মাধ্যমে তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে।তিনি আরো বলেন-সোনারগাঁও সরকারী ডিগ্রী কলজের অধ্যাপককে অপসারণের কথা শুনতেে পেয়ে,সেখানে তিনি যেয়ে দেখেন শিক্ষার্থীরা জোরপূর্বক ভাবে পদত্যাগ করাচ্ছেন।তিনি তখন কিছু কিছু শিক্ষার্থীদের সাথে কথাবার্তা বলেন,এক শিক্ষার্থীকে তিনি জিজ্ঞাসা করেছিলেন তুমি কোথায় লেখাপড়া করো,ওই শিক্ষার্থী উত্তরে বলেছিলো নবম শ্রেণী দ্বিতীয় বর্ষে।তিনি তখন বুঝলেন আমাদের দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা কোন দিকে যাচ্ছে।তখন তিনি কলেজ প্রাঙ্গনে অবস্থান না করে চলে আসেন।পরবর্তীতে তিনি সকল কিছু বিচার বিশ্লেষণ করে বুঝতে পারেন-শিক্ষকদের সাথে খারাপ ব্যবহারের জন্য আজকে ছাত্রদের এই করুন পরিনতি।তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন এ সকল আন্দোলন না করে সুন্দর মতো লেখাপড়া করে সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়ার জন্য ছাত্রদের আহ্বান জানান।কবি পনির হোসেন প্রাক্তন ছাত্র হিসেবে বলেন-শিক্ষকদের অসম্মান করা যাবে না,শিক্ষকদের সাথে বেয়াদবি করা যাবেনা,শিক্ষকদের সাথে জোরপূর্ব কোনরকম আচরণ করা যাবে না।শিক্ষকরা কোনরকম দুর্নীতির সাথে জড়িত থাকলে শিক্ষার্থীরা আইন হাতে না নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নিতে পারেন।শিক্ষকদের জোরপূর্বক ভাবে অপসারণ করানো আইনের বহির্ভূত।তিনি আরো বলেন যে সমস্ত শিক্ষকদের আন্দোলনে চাপের মুখে অপসারণ করানো হয়েছে,তাদেরকে সম্মানের সহিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ফিরিয়ে আনা হোক।প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও সুশীল সমাজের লোকজন আরো বলেন-৫ ই আগস্ট বৈষম্য ছাত্র আন্দোলনের পর সারা দেশের ন্যায় সোনারগাঁয়ের যে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অরাজকতা সৃষ্টি হয়েছে আইনের মাধ্যমে আমরা তার সমাধান চাই।শিক্ষকদের পদত্যাগ আর না আর না,অধ্যক্ষের পদত্যাগ আর না আর না এসব শ্লোগানে মুখরিত হয় উপজেলা প্রাঙ্গণ।প্রতিবাদ সভায় প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রী ও সুশীল সমাজের দাবি-প্রধান উপদেষ্টা ডঃ ইউনূস যেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষকদের প্রতি সুদৃষ্টি দিয়ে আইনের মাধ্যমে সকল কিছু সমাধান করেন।