নজরুল ইসলাম:
ছোনগাছায় মেয়েদের ইভটিজিং করায় দুই বখাটে যুবককে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয় লোকজন ও মেয়ের পরিবার। ছেলেদের বেঁধে মারধরের খবর শুনে ছেলের পরিবার ছুটে যান । বেধড়ক মারধরের অসুস্থ হওয়ায় ছেলে ও মেয়ের পরিবারের সাথে বাকবিতন্ডা শুরু হয়। কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে মেয়ের পরিবার থানা পুলিশে খবর দিলে পুলিশ এসে ওই বখাটে দুই যুবক ও উভয়ের পরিবারকে থানায় নিয়ে যায়।
ঘটনাটি ঘটেছে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার ছোনগাছা ইউনিয়নের পশ্চিম গুপিরপাড়া গ্রামে।
এলাকার গুড়ের ব্যবসায়ী হান্নানের মেয়ে মুন (১৩) ও ভাতিজি মাহি (১৪) একই ওয়ার্ডে শাহানগাছা গ্রামের রাতুল ও তার বন্ধুর সাথে সম্পর্কের জের ধরে ঘটনাটি ঘটেছে। তারা উভয়ই ঘোড়াচড়া উচ্চ বিদ্যালয় ও যমুনা কারিগরি ইন্সটিটিউটের ছাত্রছাত্রী।
স্থানীয়রা জানান, গতকাল সন্ধ্যার পর এলাকার মন্ডল পাড়া এলাকায় ওই চারজন ছেলে মেয়েদের অশ্লীলতায় দেখতে পেয়ে ধাওয়া করে এলাকার স্থানীয়রা। পরে মেয়েরা বাড়ীতে পৌছালে ওই দুই ছেলে আবার তাদের বাড়ীতে যায়। মেয়েেদে বাবা ও চাচারা দেখতে পেয়ে শোবার ঘরে তুলে দুইজনকে বেধেঁ মারার চেষ্টা করলে মেয়ে দুইজন প্রথমে বাধা দেয়। পরে মেয়েদের চর থাপ্পড় দিয়ে শান্ত করে ছেলে দুজনকে বাবা ও চাচা মিলে মারতে থাকে। ছেলের পরিবার এ খবর শুনে এলাকার ১৪০-১৫০জন লোকজন নিয়ে আসতে থাকে মেয়েদের বাড়ীতে। বাবা-চাচারা বুঝতে পেরে পুলিশে খবর দেয়ে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে এক যুবকের মাথার পিছনে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পায়। পরে পুলিশ মেয়ের বাবা ও চাচাদের সাথে একাধিক বৈঠক করে দুই যুবকদের আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
গুপিরপাড়া গ্রামের মোহাম্মদ আলী বলেন, দীর্ঘদিন এদের সাথে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। মাঝে মধ্যে মেয়ের বাড়ীতে আসতো তারা। তবে অনেকেই বলছেন প্রেম না ইভটিজিং! এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শাহানগাছা ও গুপিড়পাড়া গ্রামে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলাম জানান, দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্কের জের ধরে গতকাল ধরা পড়ছিল। পরে পুলিশে খবর দিয়ে তাদের উদ্ধার করে নিয়ে যায়। বিষয়টি মিমাংসা করার জন্য থানায় যাওয়া হয়েছিল। ওসি স্যার আজ সকালে ওই দুই ছেলেদের ছেড়ে দেওয়ার কথা।
এ ঘটনায় সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সিরাজুল ইসলাম জানান, ৯৯৯ ফোন পেয়ে তাদেরকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। উভয় পক্ষের অভিভাবকদের ঢেকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছিল। দেখি কি করা যায় বলে তিনি ফোন রেখে দেন।