মিলন হোসেন বগুড়া জেলা প্রতিনিধি –
ঈদ বিনোদন ও বৈশাখী মেলার অনুমোদন নিয়ে রাতভর জমজমাট জুয়ার আসর।
প্রশাসনের তৎপরতা না থাকায় এলাকার উঠতি বয়সের শত শত যুবকরা ঝুঁকে পড়ছে এসব জুয়া খেলায়। জুয়া খেলায় অংশগ্রহণকারী যুবকরা টাকা পয়সা হারিয়ে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই সহ নানা রকম অপরাধ কর্মকাণ্ডে জড়িত পড়ছে। এ ঘটনা এখন বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার গাংনগর এলাকার নিত্যদিনের সঙ্গী।
সোমবার ১৫ এপ্রিল গভীর রাতে জুয়ার আসরের ছবি তুলতে গিয়ে জুয়ার আসর আয়োজকদের হাতে শারীরিকভাবে লাঞ্ছনার শিকার হন তিন-চারজন গণমাধ্যম কর্মী। এসময় তাঁরা সাংবাদিকদের মোবাইল ফোন কেড়ে নেয় এবং মারধর করে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন সাংবাদিক জানান, গাংনগর মেলায় বিনোদন মূলক সার্কাস শো এর পাশাপাশি জমজমাট জুয়ার আসর চলছে এমন অভিযোগ পেয়ে কয়েকজন সাংবাদিক মহাস্থান থেকে রাতে গাংনগর মেলায় গিয়ে ঘটনার সত্যতা পান। এসময় তাঁরা জুয়া আয়োজকদের জুয়া বন্ধ করার অনুরোধ করেন। এরপরেও জুয়া বন্ধ না করায় সাংবাদিকরা তাদের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে জুয়ার আসরের ভিডিও ধারন শুরু করেন। এসময় জুয়ার আসরের লোকজন সাংবাদিকদের উপর চড়াও হয় এবং শারিরীকভাবে লাঞ্ছিত করে। এক পর্যায়ে তারা সাংবাদিকদের মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়।
পরে স্থানীয় একজন যুবলীগ নেতা ও মেলা আয়োজক কমিটির লোকজন এসে জুয়াড়ীদের নিকট থেকে ছিনিয়ে নেয়া মোবাইল ফোন উদ্ধার করে দেয়। তবে কোনভাবেই সেখানে জুয়ার আসর বন্ধ করা সম্ভব হয়নি।
তবে এ ব্যাপারে শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তহমিনা আক্তার বলেন, শুধু বিনোদমূলক সার্কাস চালানোর জন্য ঈদের দিন থেকে সাতদিনের অনুমোদন দিয়েছে জেলা প্রশাসন। তবে কোনভাবেই সেখানে জুয়া চালানো যাবে না। জুয়া চালানোর অভিযোগ পাওয়া গেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি ।