আব্দুল গাফ্ফার
শেরপুর বগুড়া প্রতিনিধি
বগুড়ার শেরপুরে নিজ বাড়িতে ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায় আগুনে পুড়ে এক ব্যক্তির মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। নিহতের নাম বদিউজ্জামান বদি (৫৫)। সেইসঙ্গে বসতবাড়িটিও আগুণে পুড়ে গেছে। বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) ভোররাতে উপজেলার সুঘাট ইউনিয়নের চকপাহাড়ী গ্রামে এই অগ্নিকান্ডের ঘটনাটি ঘটে। নিহত বদিউজ্জামান বদি ওই গ্রামের মৃত মোকছেদ আলীর ছেলে। শেরপুর ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের কর্মকর্তা নাদের হোসেন এই তথ্য নিশ্চিত করে জানান, অন্যান্য দিনের ন্যায় বুধবার (১১অক্টোবর) রাতে খাবার খেয়ে বসতবাড়ির একটি কক্ষে ঘুমিয়ে পড়েন বদিউজ্জামান বদি। আর পরিবারের অন্য সদস্যরা পাশের আরেকটি কক্ষে ঘুমিয়ে পড়েন। একপর্যায়ে ভোররাতে বদিউজ্জামানের ওই কক্ষটি থেকে আগুনের লেলিহান শিখা বের হতে থাকে। পরে ঘুম থেকে জেগে পরিবারের সদস্যরা বিষয়টি দেখতে পেয়ে চিৎকার শুরু করেন। এসময় আশপাশের লোকজন এসে আগুন নেভানোর চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়। পরবর্তীতে ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের খবর দেওয়া হয়। এরপর দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে ঘন্টাব্যাপি চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। কিন্তু আমরা ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগেই শয়নকক্ষে ঘুমিয়ে থাকা বদিউজ্জামান বদি অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যান বলে ওই ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা জানান। অপর এক প্রশ্নের জবাবে কর্মকর্তা নাদের হোসেন বলেন, শয়নকক্ষে মশা নিধনের জন্য লাগানো কয়েল থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। এছাড়া অগ্নিকান্ডে বসতবাড়ি টিন, চালা ও সেখানে থাকা মূল্যবান আসবাবপত্র পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে আড়াই থেকে তিন লাখ টাকার মতো ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে বলে জানান তিনি।
জানতে চাইলে শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাবু কুমার সাহা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বগুড়ায় শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। নিহত ওই ব্যক্তি ঘরের মধ্যে একাই ছিলেন। অন্যরা পাশের ঘরে ছিলেন। তাই তিনি ছাড়া বাকিরা কেউ হতাহত হননি বলে জানান। এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) দুপুরের দিকে সংশ্লিষ্ট সুঘাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান জিন্নাহ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। সেইসঙ্গে শোকাহত ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যদের শান্তনা দেওয়ার পাশাপাশি আর্থিক সহযোগিতা দেওয়ার আশ্বাস দেন।