আব্দুল গাফফার শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি
বগুড়ার শেরপুরে ধান কেটে মজুরি না পাওয়ায় থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন পাঁচ দিনমজুর। মঙ্গলবার থানায় হাজির হয়ে এই অভিযোগ করেন তারা। এই ঘটনায় এলাকায় বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। অভিযোগকারী শ্রমিকরা হলেন- উপজেলার কুসুম্বী ইউনিয়নের বাগড়া গ্রামের মৃত মোজাম্মেল হকের ছেলে আব্দুল হান্নান, মির্জাপুর ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর নামাপাড়া গ্রামের মৃত মনসুর মন্ডলের ছেলে হাফিজুর রহমান, একই গ্রামের মৃত সাহেব আলী প্রামাণিকের ছেলে আশরাফ আলী, মোহাম্মদ বেলাল হোসেনের ছেলে রিপন ও আবির হোসেন আকন্দের ছেলে হুমায়ুন কবির।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সোমবার সকালে প্রতিদিনের মতো কাস্তে ও বাঁশের তৈরি বাঙ কাঁধে নিয়ে শেরপুর শহরের রণবীবালা ঘাটপাড় সংলগ্ন শ্রমিক হাটে কাজের সন্ধানে যান ওইসব শ্রমিকরা। সেখান থেকে মির্জাপুরের রাজেক আলীর ছেলে আব্দুল কুদ্দুস তাদের পাঁচজনকে প্রতিজন ৭০০ টাকা মজুরি দেওয়ার শর্তে দেড় বিঘা জমির ধান কাটার কাজে নিয়ে যান। দিনভর ধান কেটে মালিকের বাড়ি উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের সরকারপাড়া গ্রামে পৌঁছে দেওয়ার পর কাজের মান খারাপ হয়েছে অভিযোগ তুলে আব্দুল কুদ্দুস শ্রমিকদের গালাগালি করেন এবং মজুরি না দিয়ে তাড়িয়ে দেন।
ভুক্তভোগী কৃষি শ্রমিক আব্দুল হান্নান বলেন, কাজ করেও টাকা না পেয়ে আমরা দিশাহারা হয়ে পড়ি। উপায় না দেখে গতকাল থানায় লিখিত অভিযোগ করি। এ বিষয়ে অভিযুক্ত জমির মালিক আব্দুল কুদ্দুসের মোবাইলে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
স্থানীয়রা বলেন, কাজ করিয়ে শ্রমিকদের পারিশ্রমিক না দেওয়াটা অন্যায়। এমন ঘটনায় দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হলে ভবিষ্যতে কেউ গরিব মানুষের শ্রমের মূল্য মেরে খেতে সাহস পাবে না।
শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শফিকুল ইসলাম জানান, শ্রমিকদের অভিযোগ আমরা পেয়েছি। বিষয়টি মানবিক বিবেচনায় গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে। তদন্তের জন্য সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের পুলিশ কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।