মশিউর মিলন,পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি:
পটুয়াখালীর বাউফলে পলাশ গাজী ও আব্দুল্লাহ আল মামুন ওরফে পলাশ নামের দুই ব্যক্তিকে ইয়াবাসহ গ্রেফতার করেছে বাউফল থানা পুলিশ। রবিবার (৩মার্চ) সকালে তাদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। এরআগে শনিবার দুপুরে পৌর বাজার রোড থেকে আব্দুল্লাহ আল মামুনকে এবং গার্লস স্কুল সড়ক থেকে পলাশ গাজীকে আটক করে বাউফল থানার উপপরিদর্শক মনমথ হালদার। ওই রাতেই তাদের বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা দায়ের করেন মনমথ হালদার। মামলা নং-০২।
অন্যদিকে পুলিশের এসআই মনমথ হালদারের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে আব্দুল আল মামুন ওরফে পলাশের নিকট থেকে ৬০ পিচ ইয়াবা এবং পরবর্তীতে তার দেয়া তথ্য মতে পলাশ গাজীর নিকট থেকে ২৫০ পিচ ইয়াবা উদ্ধার করে। কিন্তু কিছু প্রভাবশালীদের যোগসাজশে পুলিশ সদস্য মনমথ হালদার মামলার এজাহারে আব্দুল্লাহ আল মামুন ওরফে পলাশের কাছে ১০ পিচ ইয়াবা পাওয়া গেছে এবং পলাশ গাজীর কাছ থেকে ৬০ ইয়াবা পাওয়া গেছে উল্লেখ করেছেন। ১ লাখ টাকার বিনিময়ে ইয়াবার সংখ্যা কমিয়ে দেয়ার অনুরোধ ও কথোপকথনের একটি অডিও রেকর্ড প্রতিবেদকের কাছে সংরক্ষণে আছে।
এ বিষয়ে মাদক মামলার সাক্ষী পৌর বাজারের ওষুধ ব্যবসায়ী সুখ সাহা বলেন, পুলিশ পলাশের গাড়ির গতরোধ করলে সে পলিথিনে মোরানো কিছু একটা ছুড়ে মারে। ওই পলিথিনের পোটলা থেকে পুলিশ কি উদ্ধার করছে আমি জানি না। এসআই মনমথ আমার পূর্ব পরিচিত সে সাক্ষ্য দিতে বলায় আমি সাক্ষী হিসেবে স্বাক্ষর করেছি।
অপর স্বাক্ষী একই স্থানের ওষুধ ব্যবসায়ী সুমন বলেন, আমি কিছুই জানি না। পুলিশ সাক্ষী হিসেবে আমার সাক্ষর দিতে বলায় আমি স্বাক্ষর দিয়েছি।
অবশ্য অভিযোগ অম্বীকার করে বাউফল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শোনিত কুমার গায়েন বলেন, এ বিষয়টি আমার সার্কেল সাহেব জানেন, আমার তদন্ত সাহেব জানেন। প্রথম ছেলের কাছ থেকে ১০ পিস, দ্বিতীয় ছেলের কাছ থেকে ৬০ পিস ইয়াবা তার বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়ছে। ৩১০ পিস ইয়াবা উদ্ধারের বিষয়টি সত্য নয়। অপর এক প্রশ্নের জবাবে ওসি আরও বলেন, বহিরাগত কিছু ব্যক্তি দরকসাকসিতে ব্যর্থ হয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে এ গুজব ছড়িয়ে দিয়েছে।
উল্লেখ্য, মামলার আসামী পলাশ গাজী একজন নিয়মিত মাদক ব্যবসায়ী। তার বিরুদ্ধে বাউফল থানার একাধিক মাদক মামলা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।