মাসুদ মীর। বাগেরহাট প্রতিনিধিঃ
বাগেরহাট সদর উপজেলার বমরতা ইউনিয়নের ছোট বিষ্ণুপুর এলাকার লামিয়া আক্তার (২৩) নামে এক প্রবাসীর স্ত্রীকে অপহরন করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় লামিয়া আক্তারের পিতা খান মনির (৪৮) বাদী হয়ে বাগেরহাট নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন মামলা দায়ের করছেন। সদর উপজেলার শহিদুল মাঝির ছেলে তাওহীদ হাসান পলক ও তার লোকজন স্বর্নালংকার, নগদ অর্থসহ লামিয়া আক্তারকে অপহরন করেছে ।
মামলার বাদি খান মনির জানান, সদর উপজেলার বমরতা ইউনিয়নের ছোট বিষ্ণুপুর এলাকার তাওহীদ হাসান পলক ৫/৬ বছর পূর্বে থেকে লামিয়া আক্তারকে বিভিন্ন ভাবে উত্যাক্ত করে আসছে। ২০১৮ সালে শরীয়তপুর এলাকার মোঃ অলিল এর সাথে লামিয়া আক্তারকে পারিবারিকভাব বিবাহ দেন। বিবাহের পরও তাওহীদ হাসান পলক মোবাইলসহ পিতার বাড়িতে বেড়াত আসলে বিভিন্ন ভাবে বিরক্ত করে। গত ৪ঠা অক্টোবর লামিয়া আক্তার শশুর বাড়ি থেকে পিতার বাড়িতে জমি ক্রয়ের জন্য আসার পথে ছোট বিষ্ণপুর সাকিনস্থ বাজার সংলগ এলাকায় পৌঁছালে তাওহীদ হাসান পলক ও তার লোকজন লামিয়া আক্তারকে তার ইছার বিরুদ্ধে জোর পূর্বক অপহরন করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। এ সময় লামিয়ার কাছে জমি ক্রয় বাবদ ৮ লক্ষ টাকা ও সাড়ে ১৩ ভর্তি স্বর্নালংকার ছিলো।
তিনি জানান, ঘটনার পর থেকেই তাওহীদ হাসান পলক ও তার পরিবারর সদস্য ও কিছু আত্মীয় গাঢাকা দিয়েছে। এ অপহরণের সাথে পলকের আত্মীয় ও পরিবারের সদস্যরা জড়িত রয়েছে।
তিনি জানান, তার জামাতা মোঃ অলিল দীর্ঘদিন ধরে মালয়েশিয়ায় ব্যবসা করে আসছেন। প্রতি ছয় মাস পর পর তিনি দেশে আসেন। তার জামাতার সাথে মেয়ে ও আমাদের পারিবারিক ভাবে সুসম্পর্ক রয়েছে। তিনি তার মেয়েকে উদ্ধারের জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
এ ঘটনায় এলাকাবাসী জানান, তাওহীদ হাসান পলক দীর্ঘদিন এলাকায় বন্ধুদের নিয়ে মাদক সেবন করে আসছে। সে মাদক বিক্রীর সাথেও সম্পৃক্ত। কিছু দিন পূর্বে মাদক বিক্রীর অপরাধে প্রায় এক মাস জেলে ছিলেন। তার বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করলেই হুমকি ধামকি ও প্রশাসনের ভয় দেখান এই পলক। এছাড়া তার বিরুদ্ধে এলাকায় ছাগল, টিউবয়েলসহ একাধিক চুরির অভিযোগ রয়েছে।
মনির খানের জামাতা মোঃ অলিল বলেন, আমি ৮ই সেপ্টেম্বর দেশে আসবো এ জন্য জমি ক্রয়ের জন্য আমার স্ত্রীকে স্বর্নালংকার ও নগদ টাকা নিয়ে ৪ঠা অক্টোবর আমার শ^শুর বাড়িতে পাঠিয়ে দেই। বিকালে জানতে পারি আমার স্ত্রী শশুর বাড়িতে পৌছায়নি তাকে পথ থেকে অপহরন করা হয়েছে। ৮ তারিখ দেশে এসেই শশুর বাড়িত যাই। জানতে পারি আমার স্ত্রীকে পলক ও তার লোকজন স্বর্নালংকার ও নগদ অর্থসহ অপহরন করছে। তাদের পরিবার, আত্মীয়- স্বজনদের কাছে একাধিক বার বুঝানোর পরও তারা আমার স্ত্রীকে ফেরত দেয়নি। আমি আমার স্ত্রীসহ স্বর্নালংকার ও নগদ অর্থ ফেরত চাই এবং এই অপহরণের সাথে যারা সর্ম্পক্ত তাদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি চাই।
এ ঘটনায় অপহরণের সাথে জড়িত তাওহীদ হাসান পলক ও তার পরিবারের সাথে যোগাযোগ করা হলে এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায় ঘটনার পর থেকেই তাদের বাড়িতে তালা দেওয়া। তাদের মোবাইল নম্বরও বন্ধ পাওয়া গেছে