ঢাকাThursday , 4 April 2024
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ
  3. অভিযোগ
  4. অর্থনীতি
  5. আইন আদালত
  6. আটক
  7. আন্তর্জাতিক
  8. আবহাওয়া
  9. ইতিহাস
  10. কবিতা
  11. কুষ্টিয়া
  12. কৃষি
  13. খুন
  14. খেলাধুলা
  15. চাকুরী
আজকের সর্বশেষ সবখবর
  • বিজ্ঞাপন

    বিজ্ঞাপন

  • বিচারক হওয়ার স্বপ্ন দেখছে মহেশপুরের সানজিতা

    দেশ চ্যানেল
    April 4, 2024 11:46 am
    Link Copied!

    জাহাঙ্গীর আলম, ঝিনাইদহ জেলা প্রতিনিধি:

    ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার মেধাবী ছাত্রী শানজিতা আক্তার নদীর ৪ বিশ্ববিদ্যালয়ে উত্তীর্ণ হয়েও তার লেখাপড়া থমকে যেতে পারে দারিদ্রতার কারণে।

     

    মহেশপুর পৌরসভার জলিলপুর গ্রামের হাজীপাড়ার দীনমুজুর সিরাজুল ইসলাম ও সাবিনা ইয়ামিনের এক ছেলে ও এক মেয়ে। ছেলেটি বড় এবার অর্নাস ৩য় বর্ষের ছাত্র। মেয়ে শানজিতা আক্তার নদী এবছর গোল্ডেন জিপিএ ৫+ পেয়ে মহেশপুর সরকারী ডিগ্রি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা দেয়। সেই ঢাকা, জাহাঙ্গীনগর, রাজশাহী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে কিন্তু ৪টি বিশ্বদ্যিালয়ে উত্তীর্ণ হয়েও থমকে যেতে পারে তার পড়ালেখা।

    এবিষয়ে নদী ও তার মায়ের সাথে কথা বলে জানা গেছে ৫ শতক জমির পরে তাদের বসবাস। সংসারে এক মাত্র উপার্জন অক্ষম সিরাজুল ইসলাম পরের জমিতে কামলা দিয়ে যা মুজুরী পায় তা দিয়ে ২টি ছেলে মেয়ের লেখাপাড়া ও সংসার চালানো বড়ই কষ্ট। নদীর মা সাবিনা ইয়ামিন জানান, ছাগল গরু হাঁস মুরগী পালন করে এপর্যন্ত সংসার চালিয়ে এসেছে। ২টি গরুছিলো বিক্রয় করে ২ রুমের একটি ঘর করেছে কিন্ত তারা এখন আর ছেলে মেয়ের পড়ালেখার ভার বহণ করতে পারছে না। শতপ্রতিকূলতা ও দারিদ্রতা পেরিয়ে শিক্ষা জীবনে সব ক্ষের্তে প্রথম হয়েছে নদী। পিএসসি থেকে এইচএসসি পর্য়ন্ত জিপিএ ৫+ ও ট্যালেনফুল বৃত্তি ও পেয়েছে। ২০২১ সালে এইচএসসি পরীক্ষায় উপজেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ট শিক্ষার্থী হিসেবে নির্বাচিত হয়। নজরুল সঙ্গীত, দেশাত্ববোধ গান সেরা ছাত্রীসহ বিভিন্ন বিয়য়ে ২০টিও বেশি পুরুষ্কার রয়েছে তার ঝুলিতে। শানজিতা আত্তার নদী এ প্রতিবেদককে বলেন, শিক্ষাঙ্গনে সব প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে আমি প্রথম হয়েছি। আমি বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিভাগের লেখাপড়া করে বিচার বিভাগে চাকরি করতে চাই। বিচার বিভাগে কেনো চাকরি করতে চায় এমন প্রশ্নের উত্তরে নদী জানায়, বিচার বিভাগে র্দীঘশত্রুতা হয়রাণি পেরেশাণির আমি আমার পরিবার থেকে দেখতে পেরেছি। যার অবসান দুর করার জন্য আমি এ চাকরি করতে চাই এবং আমার মেধা দেশে ও জাতির কল্যাণে উৎসর্গ করতে চায়। সাক্ষাতকারে নদী জানায় দৈনিক ৮ /৯ ঘন্টা লেখাপড়া করেছে। তার এই সফলতার পিছনে পিতা মাতা ও শিক্ষকরা দারুণ ভাবে সহযোগিতা করেছে। এজন্য তাদের প্রতি চিরকৃতজ্ঞ। নদীর মা বলেন ছেলে মেয়ে লেখাপড়া করাতে যেয়ে পাড়াপ্রতিবেশিদের কাছে হেনস্তা ও প্রতিবন্ধকতার শিকার হয়েছে। যে কারণে তার মেয়ে বিচার বিভাগে চাকরি করতে চায় কিন্ত দ্রারিদ্রতার কারণে তার সে আশা পুরণ হবে কি?

    সমাজের হৃদয়বান ব্যক্তি, কোম্পানি, ব্যাংক, বীমা, এবং জনপ্রতিনিধিরা যদি এগিয়ে আসে তাহ‌লে, বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপিটে আইন পেশায় লেখাপড়া শেষ করে, আইনি পেশায় নিজেকে নিয়োজিত করে দেশ ও জাতির কিছু দিতে পারবেন বলে মনে করেন ঝিনাইদহের মহেশপুর এলাকার সচেতন মহল।

    এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।
  • Design & Developed by: BD IT HOST