এম.আমির হোসেন,লালমোহন,ভোলা।
শিক্ষক হচ্ছে সমাজের দর্পন, মানুষ গড়ার কারিগর এবং একটি জাতির
মেরুদণ্ড ও বিবেক।একজন শিক্ষক সমাজ এবং দেশের সর্বোচ্চ শ্রদ্ধা,ভালোবাসার পাত্র। শিক্ষা গুরুর বিশেষ সম্মানার্থে , তাদের অধিকার ও কর্তব্য সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে প্রতি বছর বাংলাদেশ সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ১৯৯৫ সাল থেকে ৫ ই অক্টোবর ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে এই দিনটি উদযাপিত হয়।এরই অংশ হিসেবে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আলোচনা সভা, র্যালি সহ নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি পালিত হচ্ছে। বিশ্বের প্রায় ১৭০টি দেশ দিবসটি পালন করছে। এবারের শিক্ষক দিবসের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে ” কাঙ্খিত শিক্ষা পেতে যেমন শিক্ষক চাই : শিক্ষক সংকট ঠেকাতে বৈশ্বিক উদ্যোগ।”
ইউনেস্কোর মতে, “বিশ্ব শিক্ষক দিবস শিক্ষা ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে শিক্ষকদের অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ পালন করা হয়। এই দিবসটি শিক্ষকতা পেশার অবদানকেও স্মরণ করিয়ে দেয়
শিক্ষকতা একটি মহান পেষা। একজন শিক্ষকের ভালোবাসা, স্নেহ ও শাসনে শিক্ষার্থীরা শিক্ষার আলোয় আলোকিত হয়ে উজ্জ্বল জীবন ও ভবিষ্যত গরে তোলে। সুপ্ত প্রতিভা জাগ্রত করে। তাকে গড়ে তোলেন জাতির সু-নাগরিক হিসেবে।একজন আদর্শ শিক্ষক জাতির প্রয়োজনে আলোর দিশারী হয়ে পথ দেখান এবং সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করেন।
আমাদের দেশের ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বাধীন বাংলাদেশের সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে শিক্ষকদের ভূমিকা ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
তাই একটি সভ্য ও উন্নত রাষ্ট্র বিনির্মাণে শিক্ষকদের নিকট জাতির প্রত্যাশা সীমাহীন।
মেধাবী এবং নৈতিক গুণাবলী সম্পন্ন শিক্ষকগণকে এই পেশাতে আকৃষ্ট করতে হলে বেতন কাঠামোর বৈষম্য নিরশন একান্ত অপরিহার্য। কারণ সংসারে যদি অভাব অনটন লেগে থাকে
তাদেরকে আমরা যতই জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান,জাতি গড়ার কারিগর,জাতির বিবেক যত উপাধিতেই ভূষিত করি না কেন তাতে প্রত্যাশিত ফল আসবে না। প্রচলিত একটি প্রবাদ আছে “ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী গদ্যময়
পূর্ণিমার চাঁদ যেনো ঝলসানো রুটি”।
যে দেশে শিক্ষকের জীবন মান যত
উন্নত সে দেশ তত বেশি উন্নত। তাই এই মহান পেশার মানুষদের অর্থনৈতিক ও সামাজিক জীবন মান আরো উন্নত করতে সরকারকে সুদৃষ্টি দিতে হবে। পাশাপাশি শিক্ষকবৃন্দও তাদের প্রত্যাশিত সেবা দিয়ে সুখী সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলবে এমনটাই আমাদের প্রত্যাশা।