জাহাঙ্গীর আলম,
বৃহস্পতিবার (১৫ই ফেব্রুয়ারী) থেকে এসএসসি, দাখিল ও সমমান পরীক্ষা শুরু হচ্ছে।
শিক্ষা বোর্ডের রুটিন অনুযায়ী পরীক্ষা শেষ হবে ১৩ই মার্চ। আর ১৪ থেকে ২০ মার্চের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে ব্যবহারিক পরীক্ষা।
এবছর ১১টি শিক্ষাবোর্ডের অধীনে পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করবে ২০ লাখ ২৪ হাজার ১৯২ জন পরীক্ষার্থী। তবে গত বছর পরীক্ষা দিয়েছিল ২০ লাখ ৭২ হাজার ১৬৩ জন পরীক্ষার্থী। সে হিসাবে এবছর পরীক্ষার্থী কমেছে ৪৭ হাজার ৯৭১ জন। এর মধ্যে ছাত্র কমেছে ২৮ হাজার ৩১৯ জন এবং ছাত্রী কমেছে ১৯ হাজার ৬৫২ জন।
এবছর ২৯ হাজার ৭৩৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৩৭০০টি কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। গত বছরের তুলনায় এবার পরীক্ষা কেন্দ্র কমেছে ১৮০টি এবং পরীক্ষায় অংশ নেয়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা কমেছে ৬৩টি।
এদিকে পরীক্ষা সুষ্ঠু, সুন্দর ও প্রশ্ন ফাঁসের গুজবমুক্ত রাখার জন্য মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) থেকে দেশের সকল কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখা হয়েছে। ১৩ই মার্চ পর্যন্ত সকল কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে।
পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে কেন্দ্রের ২০০ গজের মধ্যে শিক্ষক, ছাত্র ও কর্মচারীদের মোবাইল, মোবাইল ফোনের সুবিধাসহ ঘড়ি, কলম এবং পরীক্ষা কেন্দ্রে ব্যবহারের অনুমতিবিহীন যে কোনো ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার নিষিদ্ধ থাকবে। নির্দেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক আইনিনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
পরীক্ষা চলাকালীন শুধু কেন্দ্রের সচিব মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবেন। তবে সেই মোবাইল ছবি তোলা ও ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধাবিহীন একটি সাধারণ (ফিচার) মোবাইল হতে হবে।
প্রশ্নপত্রের নিরাপত্তা ও ফাঁসরোধ করার জন্য পরীক্ষা শুরু হওয়ার ২৫ মিনিট আগে প্রশ্নের সেট কোড প্রকাশ করা হবে। সে অনুযায়ী কেন্দ্র সচিব, ট্যাগ অফিসার ও পুলিশ কর্মকর্তার স্বাক্ষর নিয়ে বিধি অনুযায়ী প্রশ্নপত্রের প্যাকেট খোলা হবে।