মোঃ রিপন রেজা স্টাফ রিপোর্টার নারায়ণগঞ্জঃ
সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে ডিমের দাম প্রতি ডজনে প্রায় ১০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে গেছে।বাজারে ব্রয়লার মুরগির দাম কমেছে ১০/১৫ টাকা।এছাড়া বেশির ভাগ সবজির দামে ঊর্ধ্বগতি এখনো কাটেনি।তবে কিছু কিছু সবজি আগের চেয়ে তুলনামূলক কম দামে বিক্রি হচ্ছে।শুক্রবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ সোনারগাঁ উপজেলার বটতলা বাজার,হোসেনপুর বাজার,চৌরাস্তা সদর আলী বেপারী কাঁচাবাজার,মোগরাপাড়া বাজার,পানাম বাজার,বারদী বাজার,বৈদ্যের বাজার সরেজমিনে ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।দীর্ঘদিন বাজারে প্রোটিনের সস্তা উৎস হিসেবে পরিচিত ডিমের দাম ক্রেতাদের নাগালের মধ্যে ছিলো।এখন হঠাৎ করে ডিমের দাম বাড়ায় ক্রেতাদের মধ্যে কেউ কেউ উষ্মা প্রকাশ করছেন।ডিম বিক্রেতারা জানিয়েছেন,এতোদিন ডিম বিক্রি করে লোকসান করেছেন খামারিরা।এখন দাম কিছুটা বাড়লে সেটি খামারিদের জন্য ন্যায্য হবে।মোগরাপাড়া চৌরাস্তার সদর আলী বেপারী কাঁচা বাজারের পাইকারি ডিম বিক্রেতা ফরহাদ বলেন-বর্ষাকালে অন্যান্য বছর ডিমের দাম আরো বেশি থাকতো।এ বছর অনেকদিন ধরে ডিমের দাম কম,তাই খামারিদের লোকসানের কারণে মাথায় হাত এবং অনেক খামার বন্ধও হয়ে গেছে।বাজারগুলোতে ঘুরে দেখা গেছে-এখন ডিম বিক্রি হচ্ছে প্রতি ডজন ১৪০ টাকা হিসাবে।পাড়া-মহল্লায় খুচরা মুদিদোকানে প্রতি ডজন ডিম ১৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।যেখানে গত সপ্তাহে ডিমের দাম ছিলো ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকা।তবে সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগির দাম প্রতি কেজিতে ১০/১৫ টাকা পর্যন্ত কমেছে।বাজারে এখন ব্রয়লার ১৭০ থেকে ১৭৫ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে।অন্যদিকে কিছু কিছু দোকানে গরুর মাংস কিছুটা বাড়তি দামে বিক্রি করার প্রবণতা লক্ষ্য করা গেছে।আগে ৭৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও এখন ৮০০ টাকা দাম হাঁকাচ্ছেন অনেক বিক্রেতা।তবে দরদাম করে আগের দামে কেনা যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন ক্রেতারা।পুরোনো মিনিকেট চাল বাড়তি দামে বিক্রি হলেও কিছুটা কমেছে বাজারে নতুন আসা মিনিকেট।বাজার ঘুরে দেখা গেছে, পুরোনো মিনিকেট চাল যেখানে সর্বনিম্ন প্রতি কেজি ৭২ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে,সেখানে নতুন মিনিকেট প্রতি কেজি ৭০ টাকা।তবে ভালো মানের বিভিন্ন ব্র্যান্ডের পুরোনো মিনিকেট চাল এখনো সর্বোচ্চ ৮৫/৯০ টাকায় কিনতে হচ্ছে ক্রেতাদের।বাজারে এখন গ্রীষ্মের পটল-ঢেড়সের মতো সবজিগুলো অন্যসময়ের তুলনায় কম দামে কেনা যাচ্ছে।এসব সবজি বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ৪০-৬০ টাকা মধ্যে।এছাড়া ঝিঙে,চিচিঙ্গা,করলা,কাকরোল,উস্তা,বরবটি ও বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকায়।বাজারের সবজি বিক্রেতারা বলে-গ্রীষ্মকালীন সবজির সরবরাহ বেড়েছে,দামও কমছে।তবে বাজার এখনো ওঠানামা করছে।বৃষ্টিতে সবজি সরবরাহ কম থাকার কারণে,আবার দামও বাড়ছে।এছাড়া প্রতিদিনই দামে কিছুটা কমবেশি হয়।