বিপ্লব সাহা, খুলনা ব্যুরো:
একদিকে যেমন ঈদুল ফিতর ও পহেলা বৈশাখের লম্বা ছুটি একাকার হয়ে আজকের দিন পর্যন্ত বেসামাল দেশের প্রতিটি ইমগ্রেসন স্থলবন্দর ভারত গমন নির্গমন যাত্রীদের চাপে দিশেহারা বন্দরের তৃতীয় শ্রেণী থেকে শুরু করে উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাগণ সরজমিনে লক্ষ্য করা গেছে ঈদের প্রথম দিন থেকে শেষ দিন পর্যন্ত বছরের অন্যান্য সময়ের সকল রেকর্ড ভঙ্গ করে রেকর্ড সংখ্যক বাংলাদেশী ভারত গমন ইচ্ছুক যাত্রী ভিড় করেছে বেনাপোলসহ দেশের অন্যান্য স্থলবন্দর গুলোতে।
তবে পবিত্র মাহে রমজান শুরুর মাত্র কয়েকদিন আগে থেকেই দেশের কট্টরপন্থী কিছুসংখ্যক মানুষেরা ঘটাকরে ভারতীয় পণ্য বর্জনের সুর তুললেও বর্জন করতে পারেনি প্রতিনিয়ত হুমড়ি খেয়ে ভারতে যাওয়া থেকে সাথে উন্নত চিকিৎসার লক্ষে ভাতীয় চিকিৎসকদের দ্বারস্থ্য হওয়া শুরু করে বিভিন্ন বৈষয়িক কাজের জন্য যেমন ভিড় করছে পাসপোর্ট অফিস থেকে ভিসা জমা দেওয়ার খেত্রে তেমন ভিড় করছে গভীর রাত থেকে ইমিগ্রেশন বন্ধ না-হওয়া পর্যন্ত লাখো লাখো মানুষ ভারত ভ্রমণে অথবা উন্নত চিকিৎসার জন্য লাইন দিচ্ছে দেশের প্রত্যকটি বর্ডারের ইমিগ্রেশন গুলোতে।
তার মধ্যে সবথেকে বেশি সংখ্যক যাত্রী ভারত গমন করছে বেনাপোল স্হল বন্দর থেকে তার মুল কারণ হিসেবে ভ্রমণকারীরা জানিয়েছে বেনাপোল বর্ডার পার হলে বনগাঁ ষ্টেশন হাতের নাগালে থাকায় অতি সহজে অল্প সময়ের মধ্যে ভারতের যে কোনো স্থানে পৌছানো যায় ফলে বেনাপোল অর্থাৎ হরিদাসপুরথেকে
ভারতে যেতে আমরা সাচ্ছন্দ্য বোধ করি। তবে এখানকার ইমিগ্রেশন এর কাস্টমস পুলিশ ও বিজিবি কর্তৃক যাত্রীদের হয়রানির ক্ষেত্র রয়েছে তুঙ্গে কারণ যাত্রীদের পাসপোর্টে সব কিছু কাগজপত্র ঠিকঠাক থাকলেও কোনো না কোনো অজুহাতে মাথাপিছু আদায় করছে ১শত দুই শত এমনকি ৫ শত টাকা পর্যন্ত আবার অনেক ক্ষেত্রে টাকা দিতে অপারগতা স্বীকার করলে পাসপোর্ট আটকিয়ে রেখে হেনস্তা করার অভিযোগ রয়েছে অসংখ্যক যাত্রীদের। পাশাপাশি বিভিন্ন দালাল চক্রের দৌরাত্ম রয়েছেই তবে এত কিছু অভিযোগ বাধা বিপত্তি অতিক্রম করে হলেও ভারতে যাওয়ার যাত্রীদের কোন অংশে কমতি নেই দেশের কোন ইমিগ্রেশন গুলোতে।
অথচ এ সকল যাত্রীদের অধিকাংশ দের মধ্যেই রয়েছে ভারত এর পণ্য বিরোধী নানান আলোচনা সমালোচনায় মুখর তবে তা সত্বেও এবার গেল ঈদের বাজারেও পোশাক কেনাকাটা করার খেত্রেও কট্টরপন্থী বেশকিছু ক্রেতারা প্রথম প্রথম ভারতীয় পোশাক গুরামী করে বর্জনের সুর তুললেও অতি অল্প সময়ের মধ্যে সে সুর কট্টরপন্থীদের ধামাচাপা দিতে হয়েছে কারণ ভারতীয় পোশাক ছাড়া নজর কারছেনা অন্যান্য ক্রেতাসহ ঐ সকল ক্রেতাদের ফলে মুখে রুমাল বেধে হলেও বাধ্য হয়ে কিনতে হয়েছে ভারতীয় সকল ধরনের পণ্য।
এখেত্রে পোশাকের কথাতো বাদই দিলাম সাধারণ মানুষের খেয়ে বেঁচে-থাকার তাগিদের বাজারের অধিকাংশ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য চাউল,চিনি,তেল,ডাউল,জিরা সহ বিভিন্ন প্রকারের মসলা সামগ্রী সাথে আলু পিয়াজতো রয়েছেই এমনকি ছোট্ট শিশুদের পেম পারস্ এবং বিভিন্ন প্রসাধনীর খেত্রও যায়গা দখলে ভারতীয় পণ্য তার সাথে একেবারে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে ওষুধ।আর এই ওষুধের খেত্রেও বাংলাদেশী রোগীদের রয়েছে একটি বিরুপ ধারণা কারণ বাংলাদেশের ডাক্তাররা নামি বেনামি ওষুধ কোম্পানীর লোকদের নিকট থেকে দামী দামী উপহার সামগ্রী এমনকি ফ্ল্যাট বাড়ি পর্যন্ত উপহার পেয়ে যতসব বেনামি কোম্পানীর অকার্যকারী ওষুধ হর হামেশা লিখছে প্রেসক্রিপশনে ফলে দিনের পর দিন ওষুধ সেবন করেও রোগ থেকে মুক্তি পাচ্ছে না ভুক্তভোগী রোগীরা কষ্টসাধ্য করে ওষুধের জন্য অর্থ ব্যয় করলেও ফায়দা লুটছে দেশের চিকিৎসকরা পাশাপাশি দেশে অসংখ্য নকল ওষুধের কারখানাতো রয়েছেই যা সরকারের ধরাছোঁয়ার নাগালের অন্তরালে।
এক কথায় বাংলাদেশের ডাক্তার বলেন খাদ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান বলেন সাধারণ ব্যাবসায়ী বলেন সকলেই অতিরিক্ত মুনাফার লোভে নকল ও ভেজাল পণ্যয় বাজার সয়লাব করে প্রতিনিয়ত মৃত্যুর মুখে এগিয়ে দিচ্ছে দেশের সকল শ্রেণির মানুষদের। যার কারণে বাংলাদেশের কিছু সংখ্যাক মানুষেরা মুখে ভারতীয় পণ্য বর্জনের কথা বললেও অনেক আগে থেকেই অন্তর থেকে আস্থা হারিয়েছে একমাত্র কৃষকদের উৎপাদিত সবুজ শাক সবজি ছাড়া অন্য সকল দেশীয় পণ্যের ওপর থেকে যার কারনে বাংলা প্রবাদ বাক্যের কথা আছে জোয়ারের নায় পাল তোলা মানুষেরা আজীবনই স্রোতের তালে সুরমিলিয়ে বৈঠা বাওয়া এদের একটি চিরচরিত অভ্যাস। তার পরেও সর্বক্ষেত্রে সবার আগে ভারতীয় পণ্য ব্যবহার করে এ ধরনের মানুষেরাই। সামগ্রিক বিষয়গুলি ব্যাখ্যা করে জানিয়েছেন বেনাপোল হরিদাসপুর এর ইমিগ্রেশনের হালহকিকত প্রত্যক্ষদর্শী বর্ডার নিকটস্থ বসবাসকারী সুশীল সমাজের ব্যক্তিরা ।