ঢাকাSaturday , 18 January 2025
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ
  3. অভিযোগ
  4. অর্থনীতি
  5. আইন আদালত
  6. আটক
  7. আন্তর্জাতিক
  8. আবহাওয়া
  9. ইতিহাস
  10. কবিতা
  11. কুষ্টিয়া
  12. কৃষি
  13. খুন
  14. খেলাধুলা
  15. চাকুরী
আজকের সর্বশেষ সবখবর
  • বিজ্ঞাপন

    বিজ্ঞাপন

  • মাঠ সহকারীর ঋণের টাকা থেকে তিন লাখ টাকা হাতিয়ে নেবার অভিযোগ উঠেছে নড়াইল ও লোহাগড়ার দুজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।

    দেশ চ্যানেল
    January 18, 2025 11:59 am
    Link Copied!

    জেলা প্রতিনিধি নড়াইল

    পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলা শাখার ব্যবস্থাপক ও জেলা আঞ্চলিক দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মাঠ সহকারীর গৃহ নির্মাণ ঋণের টাকা থেকে কৌশলে তিন লাখ টাকা হাতিয়ে নেবার অভিযোগ উঠেছে।

    লোহাগড়া উপজেলার মাঠ সহকারী মোঃ আজিজুর রহমান খাঁন লিখিত অভিযোগে জানান, আমি দীর্ঘদিন যাবৎ সততার সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছি। আদায় বিতরণে গত ২০২০-২০২১ অর্থ বছরে প্রথম স্থান, ২০২১-২০২২ অর্থবছরে দ্বিতীয় স্থান, ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরে তৃতীয় স্থান, ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরে তৃতীয় স্থান অর্জন করেছি। গত অর্থ বছরে আমার আদায় ও বিতরণে শতভাগ সফলতা অর্জন হওয়ায় আমার গৃহ নির্মাণ ঋণ অগ্রিম মঞ্জুর হয়। গৃহ নির্মাণ ঋণের সকল কাগজপত্র সঠিক থাকলেও লোহাগড়া শাখা অফিস ও নড়াইল জেলা অফিস বিভিন্ন তালবাহানা করে আমাকে হয়রানি করতে থাকে। এক পর্যায়ে উপজেলা ও জেলা কর্মকর্তা আমার কাছে ৩ লাখ টাকা ধার হিসাবে দাবি করলে আমি দিতে রাজি হই। এরপর আমার নামে ঋণ মঞ্জুর হয়। গত বছর এপ্রিল মাসে আমি ১৪ লাখ টাকা গৃহ নির্মাণ ঋণ উত্তোলন করি। উত্তোলনের পর লোহাগড়া শাখা ব্যবস্থাপক সুশান্ত কুমার দাস এক লাখ টাকা ধার হিসাবে গ্রহণ করেন এবং জেলা আঞ্চলিক দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এস,এম তরিকুল ইসলাম নড়াইলে তার জমি রেজিস্ট্রি করবার সময় দুই লাখ টাকা ধার হিসাবে গ্রহণ করেন। পরবর্তীতে তাদের কাছে ধারের টাকা ফেরৎ চাইলে টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানান। এ নিয়ে ওই দুই কর্মকর্তার সাথে আমার মনমালিন্যের সৃষ্টি হয়। তখন ওই দুই কর্মকর্তা আমাকে অনেক দূরে বদলী করে দেবার হুমকি দেন। গত বছর ২১ নভেম্বর আমার গৃহ নির্মাণ ঋণের দ্বিতীয় কিস্তির ২১ লাখ টাকা অগ্রিম মঞ্জুর হয়। আমি এক মাস যাবৎ লোহাগড়া শাখা ব্যবস্থাপক সুশান্ত কুমার দাসের কাছে কাগজপত্র নিযে ঘুরাঘুরি করলেও তিনি স্বাক্ষর করতে অস্বীকৃতি জানান। তবে, শর্ত দেন আগের ধারের এক লাখ টাকা ফেরৎ চাওয়া যাবে না এবং আরো ৫ লাখ টাকা দিতে হবে। আমি নিরুপায় হয়ে রাজি হই এবং আমাকে অঙ্গীকার করতে বাধ্য করেন। তিনি গত বছর ২৩ ডিসেম্বর ফাইল স্বাক্ষর করে জেলা আঞ্চলিক কার্যালয়ে পাঠান। জেলা আঞ্চলিক কর্মকর্তা এস,এম তরিকুল ইসলাম উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের নামে এক লাখ টাকা দাবি করেন। এ নিয়ে আমার সাথে তার মনমালিন্যের সৃষ্টি হয়। আমাকে তিনিও বদলীর হুমকি দেন। এমনকি আমি সহ আমার দুজন সহকর্মীকেও বদলী করেন। জেলা আঞ্চলিক কর্মকর্তা এস,এম তরিকুল ইসলাম পূর্বে লোহাগড়া উপজেলার শাখা ব্যবস্থাপক ছিলেন। ওই সময়ে তিনি সমিতির ম্যানেজার/ সভাপতির সম্মানিভাতা নিয়ে অনিয়ম-দুর্নীতি করেছেন। এস,এম তরিকুল ইসলাম লাহুড়িয়া ইউনিয়নের অনেক সদস্যের নামে ৬ হাজার থেকে ১৫ হাজার, ১৫ হাজার থেকে ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত ঋণ করেছেন যেটা ওই ঋণী সদস্যরা জানেন না এমনকি ফাইলও অফিসে সংরক্ষিত নাই। ভূক্তভোগী মাঠ সহকারী মোঃ আজিজুর রহমান খান ওই দুই কর্মকর্তার নামে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক প্রধান কার্যালয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এর নিকট লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

    এ বিষয়ে লোহাগড়া শাখা ব্যবস্থাপক সুশান্ত কুমার দাসকে মোবাইল ফোনে (০১৯৩৮৮৭৯১৯৩) কল করলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নাই।

    এ বিষয়ে আঞ্চলিক দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (নড়াইল) এস,এম তরিকুল ইসলামকে ফোন করলে তার ফোন (০১৯৫৮৬০১৪৩২)নম্বর টি বন্ধ পাওয়া যায়।

    এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।
  • Design & Developed by: BD IT HOST