হবিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি
শীতের জড়তা কাটিয়ে প্রকৃতিতে বইছে বসন্তের বাতাস। চারদিকে শোনা যাচ্ছে কোকিলের কুহুতান। প্রকৃতি যখন জীর্ণতা কাটিয়ে সবুজে সবুজে ভরে উঠেছে, সেই আনন্দকে নিজের করে নিয়েছেন মাধবপুর প্রেসক্লাবের সদস্য ও তাদের পরিবারের সদস্যগণ। আনন্দ ভ্রমণ ও বনভোজনের মধ্য দিয়ে হেসে-খেলে পরিবারের সাথে সময় কাটিয়েছেন ব্যস্ততম গণমাধ্যমকর্মীরা। আবারও এমন একটি বাধঁন হারা আনন্দময় দিনের জন্য অপেক্ষা করতে হবে একটি বৎসর। স্মৃতির এ্যালবামে গেঁথে থাকবে শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি)।
সকাল ৯টার দিকে মাধবপুর প্রেসক্লাবের সামনে থেকে ২টি মাইক্রোবাস, ২ কার এবং শাহজীবাজার থেকে আরও একটি মাইক্রোবাস রওয়ান হয়। গন্তব্য চুনারুঘাট উপজেলা সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান। প্রায় ১০টার দিকে জাতীয় উদ্যানের মিলনায়তনে জড়ো হতে থাকে সবাই। এরই মধ্যে প্রেসক্লাবের সহসভাপতি আবুল খায়ের, যুগ্ম সাধারনণসম্পাদক আলমগীর কবির, নিবার্হী সদস্য জামাল মোঃ আবু নাসের, হামিদুর রহমান র্যাফেল ড্রয়ের টিকিট বিক্রি শুরু করেন। ফাঁকে ফাঁকে চলে চায়ের আড্ডা।
এরই মধ্যে দল বেধে সবাই প্রকৃতিকে কাছে পেতে গভীন অরুণ্যে ঘুরতে বেড়িয়ে পড়েন। ওয়াচ টাওয়ার, তিপড়া বস্তি ও চা-বাগানে ঘুরাঘুরি করে সবাই যখন প্রায় ক্ষুধার্ত তখনই ডাক পড়ে দুপুরের খাবারের। খাবার ও সার্বিক বিষয়ে খোঁজ-খবর রাখেন সাবেক সভাপতি আলাউদ্দিন আল রনি, শংকর পাল সুমন ও সহসভাপতি কে.এম.সামসুল হক। খাবার খাওয়া শেষে শুরু হয় প্রেসক্লাবের সদস্যদের পরিবার ও অতিথিদের গে-শো। প্রেসক্লাবের সদস্য মাহমুদুল হাসান রনি, জুলহাসউদ্দিন রিংকু, নজরুল ইসলাম, লিটন পাঠানের তত্ত্বাবদানে ১১টি আইটেমে গে-শো অনুষ্ঠিত হয়।
এরই মধ্যে আমাদের অতিথি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃপঃ কর্মকর্তা ডাঃ ইমরুল হাসান, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আজিজ, পৌর জামায়াতের সভাপতি মোঃ সোহাগ, সাধারন সম্পাদক মোঃ মানিক মিয়া, বৈষ্যম বিরুদ্ধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক এমদাদুল হক মিলনসহ অন্যান্য অতিথিরা এসে উপস্থিত হয়। প্রেসক্লাবের সভাপতি মহিউদ্দিন আহম্মদের সভাপতিত্বে এবং সাধারন সম্পাদক সাব্বির হাসানের সঞ্চালনায় পুরুস্কার বিরতণী সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সবশেষে শুরু হয় ‘পাগলা নাচ’ মানে র্যাফেল ড্র। সকলকে টিকিট কাটতে জোরাজুরি করা হলেও, র্যাফেল ড্র শুরু হওয়া মাত্র তাদের কেনা কূপন গুলো সামনে নিয়ে সকলেই অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলেন কখন তাদের নাম্বারটি ডাকা হবে। আলাউদ্দিন আল রনি’র তত্ত্বাবধানে র্যাফেল ড্রয়ের প্রথম টিকিটটি তুলেন আলমগীর কবিরের মেয়ে আতিয়া কবির, আলাউদ্দিন আল রনি’র ছেলে মিনহাজউদ্দিন লাবিব, মহিউদ্দিনের ছেলে সুলতান। একে একে হলুদ, নীল, গোলাপী রঙের র্যাফেল ড্রয়ের কূপন তোলা হচ্ছিল। এ সময় আইয়ুব খাঁন, এক্ররামুল আলম লেবু, রাজাসহ অন্যান্যরা সহযোগিতা করেন।
নির্সক কমিটির সভাপতি আবুল হোসেন, বিট কর্মকর্তা মামুন ভাই ও মিজান ভাইয়ের সহযোগিতার কথা ভ’লা যাবে না। তাদের ধন্যবাদ দিয়ে ছোট করতে চাই না, কৃতজ্ঞতার পাশে আবদ্ধ রইল।
        
                    
                                    
                                    
                                    
                                    
                                    
                                    
                                    
                                    
                                    
                                    
                                    
                                    
                                    
                                    
                                    
                                
                                
                                
                                
                                