মোঃ মশিউর রহমান সুমন। মেহেন্দিগঞ্জ,বরিশাল,প্রতিনিধি।
বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলায় পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকার পরও সপ্তাহের ব্যবধানে সব ধরনের চালের দাম বেড়েছে। নিজস্ব গুদামে মজুত বাড়িয়ে চালবাজিতে মেতে উঠেছে সংঘবদ্ধ একটি চক্র। এরইমধ্যে বস্তা প্রতি (৫০কেজি) চালের দাম ১০০থেকে ৩০০টাকা পর্যন্ত বেড়েছে,যা কেজি প্রতি দাড়ায় ২ থেকে ৬ টাকা। মেহেন্দিগঞ্জের বাজারগুলোতে একসপ্তাহ আগেও এক কেজি মোটা পাইজাম চাল বিক্রি হয়েছে ৫০ টাকায়। কিন্তু এখন সেই চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৩ থেকে ৫৪ টাকায়।যে মিনিকেট চাল বিক্রি হয় ৬৮ থেকে ৭০ টাকায় তা এখন বিক্রি হচ্ছে ৭২ থেকে ৭৫ টাকায়।
কেজিতে ৮ থেকে ১০ টাকা বেড়েছে নাজিরশাইলের দাম।বর্তমানে প্রতি কেজি নাজিরশাইল বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকায়। মেহেন্দিগঞ্জ পাতারহাট বাজারের খুচরা বিক্রেতা শাহাবুদ্দিন বলেন,আমাদের হাতে কিছু নেই।চালের দাম প্রতি সপ্তাহেই কমবেশি বাড়ছে। তাই আমাদেরও বেশি দামেই বিক্রি করতে হয়। সব ধরনের চালের দামই বেড়েছে। আড়তদাররা দাবি করছেন চালের দাম বাড়িয়েছে মিলাররা। গুদামে মজুদ করে অল্প অল্প করে বাজারে ছাড়ছে তারা।সপ্তাহের ব্যবধানে মোটা চালের বস্তার দাম ৫০ টাকা বাড়িয়েছে।
আর চিকন চালে ৫০ কেজি বস্তুার দাম ৩০০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।তবে বিষয়টি অস্বীকার করে রাইচ এজেন্সি দেশ চ্যানেলকে জানান, মিলারদের বেশি দামেই কিনতে হচ্ছে চাল। তাই স্বাভাবিক ভাবেই উৎপাদন খরচ বেড়ে এর প্রভাব পড়েছে চালের বাজারে। আর এখন সব বস্তায় মূল্য উল্লেখ করা থাকে। তাই কারচুপির কোন সুযোগ নেই।সরকার প্রয়োজনে মিলারদের মিলে যাচাই -বাচাই করে দেখুক, এখানে খরচ কেমন হয়, আর কি পরিমানে লাভ হয়।দাম কেন বাড়ছে তা জানতে মিলগুলোতে ঘুরলেই বুঝতে পারবে।