মতিউর রহমান সরিষাবাড়ীঃ
দেশের বিভিন্ন গ্রাম মহল্লা অঞ্চল ইউনিয়ন থানা জেলার মতোই সরিষাবাড়ীতেও গবাদী প্রাণির জন্য ভয়াবহ রোগ লাম্পি স্কিন ডিজিজ। দীর্ঘদিন এ রোগের প্রভাবে মারা যাচ্ছে অনেক গবাদী। চরম ক্ষতির সম্মুখিন হচ্ছেন গবাদীর মালিকগণ। আতঙ্ক বিরাজ করছে সর্বত্র।
সরিষাবাড়ী উপজেলা প্রাণি সম্পদ অফিস সূত্রে জানা যায়, লাম্পি স্কিন ডিজিজ রোগে আক্রান্ত হয়ে ২ আগষ্ট পর্যন্ত ৫৬ গবাদীর মৃত্যু হয়েছে। লাম্পি স্কিন ডিজিজ প্রতিরোধে গবাদী মালিকদের সম্ভাব্য সব রকম সহযোগীতা দেয়া হচ্ছে। উপজেলা প্রাণি সম্পদের আওতায় ইতিমধ্যে দুই হাজার গবাদীকে এলএসডি টিকা প্রদান ও ১০৩৮ গবাদীকে চিকিৎসা প্রদান করা হয়েছে। আর চিকিৎসার মাধ্যমে সুস্থ্য করা হয়েছে ৮৬১ গবাদী। লাম্পি স্কিন ডিজিজ বিষয়ে সচেতনতা ও সতর্কতা বিষয়ে গবাদী মালিক বা খামারীদের নিয়ে ২৬ টি উঠান বৈঠক করা হয়েছে। পৌরসভায় ৪টিসহ উজেলার ৮টি ইউনিয়নে মোট ১৫টি ভেটেরিনারী মেডিকেল ক্যাম্প স্থাপন করে চিকিৎসা পরামর্শ বা চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। উপজেলায় লক্ষাধিক গবাদী রয়েছে। মোট ১৪৪৩টি খামারের মধ্যে গরু মোটাতাজা করণ খামার রয়েছে ৮৩৩ টি ও ৬১০টি দুগ্ধ খামার। এ বিষয়ে উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডেইরী ও পোট্টি কনসালটেন্ট ডাঃ পলাশ কান্তি দত্ত বলেন লাম্পি স্কিন ডিজিজের (LSD) জন্য সরকারী কোন ঔষধ বরাদ্ধ না থাকায় আমি ব্যক্তিগত উদ্যেগে Goat pox vaccin ক্রয় করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছি। প্রাণি সম্পদ বিভাগ থেকে বৎসরে একবার মাত্র ঔষধ বরাদ্ধ আসে। এ vaccin প্রতিটি গরুকে 1 cc করে প্রয়োগ করতে হয়।
গতকাল মঙ্গঁলবার রাতে পৌর সভার নাওগোলা গ্রামের প্রান্তিক কৃষক উজ্জল মিয়ার একমাত্র সম্বল একটি ষাঁড় গরু মারা যাওয়ায় ক্ষতির সম্মুখিন হয় দরিদ্র কৃষক উজ্জল মিয়া। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রশিষণপ্রাপ্ত গ্রাম্য চিকিৎসক জানান, লাম্পি স্কিন ডিজিজের প্রভাবে উপজেলায় গবাদী মৃতের সংখ্যা হাজারের নীচে নয়।
দীর্ঘদিন লাম্পি স্কিন ডিজিজের কারণে বেড়েছে গবাদী মৃতের হার। আতঙ্ক বিরাজ করছে খামারী বা গবাদী মালিকদের মধ্যে। যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসা সেবা আরও বৃদ্ধি করে গবাদী সম্পদকে রক্ষার দাবী তুলেছেন খামারী বা গবাদী মালিকগণ।