মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, ঝিনাইদহ জেলা প্রতিনিধি:
ঝিনাইদহ জেলার লিগাল এইড এর কার্যক্রমের সুফল ছড়িয়ে পড়েছে জেলাব্যাপী । বিশেষ করে জেলার কোটচাঁদপুর উপজেলার একত্রিত প্যানেল আইনজীবী অ্যাডভোকেট আশরাফুল আলম মালিতা লিগ্যাল এইডের আইনজীবী হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পর সরকারি খরচে অসহায় ও দরিদ্র মানুষের মামলা পরিচালনা করে জেলা লিগ্যাল এইডের অফিসের মাধ্যমে আপস মীমাংসায় উভয় পক্ষ ভুল বুঝতে পেরে পুনরায় সংসারে ফিরে এসেছেন, আবার অনেকে সংসার হবে না জেনে সাংসারিক যাবতীয় পণ্য ও দেনমোহর এবং সন্তানের খোরপোশ এককালীন গ্রহণ করে মামলা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। এদের মধ্যে অন্যতম কোটচাঁদপুর উপজেলার মোহনপুর গ্রামের আরিফা খাতুন, সাফদারপুরের রুমা আক্তার, তালসার গ্রামের মিনারা বেগম, কোটচাঁদপুর কলেজ বাসস্ট্যান্ডের নাজমা সহ আরো অনেকে।
এ বিষয়ে কথা হয় অ্যাডভোকেট আশরাফুল আলম মালিতার সাথে, তিনি জানান সাধারণত একটি মামলার ফলাফল বা নিষ্পত্তি হতে দুই থেকে তিন বছর সময় লেগে যায়। কিন্তু লিগ্যাল এইড এর মাধ্যমে বিজ্ঞ সিনিয়র সহকারী জজ জনাব বুলবুল আহমেদের সার্বিক ও আন্তরিক প্রচেষ্টায় দ্রততম সময়ের মধ্যে মামলা নিষ্পত্তি করা সম্ভব হচ্ছে। ফলে জেলা লিগ্যাল এইডের কার্যালয়ের মাধ্যমে সরকারি খরচে বিনামূল্যে সেবা নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। সুবিধাভোগী সাফদারপুরের রুমা আক্তার এর সাথে কথা বললে তিনি জানান আমি খুবই গরীব ঘরের মেয়ে বাবা ভ্যান চালিয়ে সংসার চালান, আমার পক্ষে টাকা খরচ করে স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা চালানো সম্ভব ছিল না। স্বামীর নির্যাতন থেকে পরিত্রান পেতে আমি ঝিনাইদহ জেলার লিগাল এইড এর মাধ্যমে বিনা খরচে মামলা পরিচালনা করে অবাধ্য স্বামীকে বিচারের মুখোমুখি করে আপোষের পর আবারও সংসারে ফিরে এসেছি। এখন আমি পারিবারিকভাবে অনেক ভালো ও সুখে আছি। উপজেলার মোহনপুর গ্রামের আরিফা খাতুন, তালসার গ্রামের মিনারা বেগম ও কোটচাঁদপুর কলেজ বাসস্ট্যান্ডের নাজমার সাথে কথা বললে তারাও জানান অ্যাডভোকেট আশরাফুল আলম মালিতার সাথে যোগযোগ করে ঝিনাইদহ জেলার লিগ্যাল এইড এর মাধ্যমে বিনা খরচে মামলা পরিচালনা করে দ্রততম সময়ের মধ্যে সুষ্ট সমাধান পেয়েছি।