জেলা প্রতিনিধি: নড়াইল
নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার দিঘলিয়া ইউনিয়নের কুমড়ি গ্রামে পূর্ব বিরোধের জের ধরে কুমড়ি মধ্যপাড়া বাজারে নৌকা প্রতীকের নির্বাচনী অফিস ভেঙে অন্যের ওপর দোষ চাপানোর চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওই এলাকায় দুই গ্রুপের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। প্রতিপক্ষের হুমকি ও হামলার ভয়ে বাড়ি ছেড়েছেন বেশ কয়েকজন গ্রামবাসী।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে কুমড়ি মধ্যপাড়ার মাসুদুজ্জামান পটু সমর্থিত লোকজনদের সাথে একই গ্রামের তাইবুর শেখ ও নাজমুল শেখ সমর্থিত লোকজনদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল।
এর জের ধরে শুক্রবার সন্ধ্যা সাতটার সময় তাইবুর শেখ ও নাজমুল শেখ সমর্থিত লোকজন কুমড়ি মধ্যপাড়া বাজারে অবস্থিত নৌকা প্রতীকের নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর করে। এ সময় দুর্বৃত্তরা মাসুদুজ্জামান পটুকে (৪৫) পিটিয়ে ও কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। গুরুতর আহত অবস্থায় এলাকাবাসী পটুকে উদ্ধার করে লোহাগড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
কুমড়ি মধ্যপাড়ার মিলন শেখ, লিটন খান, ও আখতার খান অভিযোগ করে বলেন, ‘পূর্বপরিকল্পনা মোতাবেক আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের কাছে আমাদেরকে হেয় করার জন্য তাইবুর শেখ ও নাজমুল শেখের লোকজন নৌকার অফিস ভাঙচুর করে আমাদের ওপর দায় চাপাচ্ছে’।
অভিযোগে তারা আরও বলেন, ‘আমরা এলাকার রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত না। মাশরাফিকে ভালোবেসে তাকে ভোট দেওয়ার জন্য এলাকায় এসেছি। আমরা শুধু মাশরাফিকে ভোট নয়, মাশরাফির নৌকা প্রতীকের পোস্টার ছাপিয়ে বিভিন্ন জায়গায় নৌকার নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা চালিয়েছি এ সংক্রান্ত একাধিক ছবি ও ভিডিও ফুটেজ আমাদের সংরক্ষণে রয়েছে’।
লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন পটু বলেন, ‘আমরা কেউই নৌকার বাইরে না। মাশরাফি ভাইকে ভালবেসেই এলাকায় এসেছি নৌকায় ভোট দিতে। এই সুযোগে প্রতিপক্ষ নৌকার অফিস ভেঙে আমিসহ আমাদের লোকজনের ওপর দোষারোপ করছে। আমি মাশরাফির কাছে এ ঘটনার বিচার চাই’।
লোহাগড়া থানার দিঘলিয়া ইউনিয়ন বিট অফিসার এসআই অমিত বিশ্বাস বলেন, আমরা ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেছি, কিছুব চেয়ার, টেবিল ভাঙ্গা ও নৌকা প্রতীকের পোস্টার ছেড়া পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।