জেলা প্রতিনিধি নড়াইল
নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলা প্রানীসম্পদ ও ভেটেরিনারি হাসপাতালে পশু হাসপাতালে ২ ঘন্টা অপেক্ষা করার পর পাই নাই পশুর কোন চিকিৎসা। অবশেষে চিকিৎসা বিহীন মারা গেল ভ্যান চালকের ছাগলটি।
সোমবার ১৬ জুন সরোজমিন ঘুরে জানাগেছে লোহাগড়ার প্রাণকেন্দ্র লক্ষীপাশা চৌরাস্তায় ভেটেরিনারি হাসপাতাল অবস্থিত।বর্তমান দেশে পশু পাখি বানিজ্যিক প্রসার হওয়ায় পশু পাখি স্বাস্থ্যের দিকে খেয়াল রেখে চিকিৎসার দিকে ঝুকে পড়েছে খামারি সহ সাধারন মানুষ।
কিন্তু লোহাগড়া ভেটেরিনারি হাসপাতাল পশু চিকিৎসার ক্ষেত্রে যেন সম্পূর্ণ উদাসিন। আজ সোমবার সকাল ৮ টার দিকে পৌরসভার রাজুপুর গ্রামের ভ্যান চালক মনির হোসেন ও তার স্ত্রী তাদের ছাগল অসুস্থ হয়ে পড়লে দ্রুত পশু হাসপাতালে নিয়ে আসেন। পশু হাসপাতালে কর্মরত সাহাদত হোসেন কোন চিকিৎসা দেন নাই বরং পশু ডাক্তারের মোবাইল নং চাইলে সেটাও তিনি না দিয়ে কালক্ষেপণ করেন। দীর্ঘ ২ ঘন্টা অপেক্ষা করার পরও পাইনি কোন চিকিৎসা। অবশেষে ছাগলটি বিনা চিকিৎসায় হাসপাতালেই মারা যায়।
অপরদিকে এড়ে গরু ও ছাগল কে চাপানোর জন্য আনা হলে এড়ে প্রতি একশত টাকা ছাগল প্রতি ৫০ টাকা প্রদান করতে হয়, যা সম্পূর্ণ বিনামূল্যে করার নিয়ম।
সেবা বঞ্চিত ভ্যান চালক মনির ও মনিরের স্ত্রীর কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন প্রায় ২ ঘন্টা হাসপাতালে বসে থেকে কোন চিকিৎসা না পাওয়ায় আমাদের ছাগলটি মারা যায়। আমরা গরীব মানুষ আমাদের কোন মুল্য নেই।
এদিকে সকাল ৯ টা ৫৫ মিনিট অপেক্ষা করার পর ও হাসপাতালে আসে নাই কোন পশু চিকিৎসক।
এঘটনায় লোহাগড়া প্রানী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ শ্যামল চন্দ্র রায়ের সাথে মোবাইল ফোনে কথা তিনি বলেন বিষয়টি আমার জানা নাই তবে চিকিৎসা দেয় নাই তার ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।