জেলা নড়াইল প্রতিনিধি
নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার চরমল্লিকপুর গ্রামে জোড়া হত্যাকান্ডের পর বাদী পক্ষের লোকজনের অন্তত ৫০টি বাড়িঘর ভাংচুর ও লুটপাট করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা যায়, ২০২৪ সালের ১১ সেপ্টেম্বর চরমল্লিকপুর গ্রামের মিরান ও জিয়ারুল নামে আপন দুই ভাইকে কুপিয়ে হত্যা করে গ্রামের প্রতিপক্ষরা। জোড়া খুনের পর লোহাগড়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। পুলিশ কয়েকজন আসামীকে গ্রেফতার করে,বাকী আসামিরা আদালতে আত্মসমর্পন করে।আসামীরা কিছু দিন জেল হাজতে থাকার পর জামিনে এসেই বাড়ি ভাংচুর, লুটপাটে মেতে উঠেছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে ও চরমল্লিকপুর গ্রামের মুরাদ শেখ সহ অন্যরা অভিযোগে জানান, চরমল্লিকপুর গ্রামের ওহাব শেখ, রইচ শেখ,সান্টু শেখ, খসরু শেখ, নজরুল শেখ, মুসা শেখ, ওহি মিয়ার পাকা বিল্ডিং এর জানালা, দরজা ভেঙ্গে নেয়া হয়েছে। লুটকরা হয়েছে আসবাবপত্র। আজাহের শেখ, সত্তার শেখ,আশরাফুল, বাবু শেখ,মিজু শেখ, হুমায়ন মোল্যা, পিন্টু বিশ্বাস,লেলিন বিশ্বাস, তুহিন বিশ্বাস, শাহিন বিশ্বাস, হক সাহেব এর টিনের ঘর(পাকা দেওয়াল)ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। লুটপাট করা হয়েছে মালামাল। বাদিপক্ষের লোকজনের কাছ থেকে অন্তত ৫০লাখ টাকা চাদাবাজী করবারও অভিযোগ রয়েছে আসামীদের বিরুদ্ধে।
প্রয়াত পুলিশ সদস্য নুর মোহাম্মদ ফুল মিয়ার ছেলে মিলন জানান, গত ২৯ জানুয়ারি রাতে প্রথমবার এবং গত ১৪ মার্চ রাতে দ্বিতীয় বার আমার ভাই নজরুল ইসলামের বিল্ডিংয়ে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর, লুটপাট করে। আমার ভাই নজরুল ইসলাম বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৫৫ পদাতিক ডিভিশনে সার্জেন্ট পদে কর্মরত। তিনি আরো জানান, গ্রামের ঝন্টু শেখ, ইমন শেখ, ইকবাল শেখ, কালাম শেখ, মামুন মৃধা, তানভীর মৃধা সহ ২৫/৩০ জন দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আমার ভাই সার্জেন্ট নজরুল ইসলামের এর বাড়িতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর ও লুটপাট চালিয়েছে। বর্তমানে আমরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
অভিযুক্তদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করে পাওয়া যায়নি।গ্রামে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য পুলিশ, সেনাবাহিনী, জনপ্রতিনিধি, গ্রামবাসী ও সূধীজন একাধীক সভা করলেও কোন ফল হয়নি।ভাংচুর, লুটপাট থামছে না। হুমকির মুখে রয়েছে বাদী পক্ষের লোকজন।
লোহাগড়া থানার ওসি মোঃ আশিকুর রহমান বলেন, আমরা শান্তি স্থাপনের চেষ্টা করেছি। আইন অমান্য করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।