বিপ্লব সাহা,খুলনা ব্যুরো :
খুলনায় নবাগত পুলিশ কমিশনার মোঃ মোজাম্মেল হক বিপিএম (বার) পিপিএম হাইওয়ে পুলিশের উচ্চপর্যায়ের রদবদলের মধ্যো দিয়ে কেএমপি কমিশনার পদে যোগদানের পর থেকে একের পর এক সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করে মাদক দুর্নীতি ইফটিজিং সমাজের কথিত কিশোর মাস্তান সহ চাঁদাবাজ ভূমি দস্যু প্রতারক চক্র দুর্নীতিবাজ চোর ডাকাত অস্ত্রবাজ বিভিন্ন ধরনের অসামাজিক কর্মকান্ডর বিরুদ্ধে সোচ্চার ভাবে কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখে সকল শ্রেণীর মানুষদের সাথে নিয়ে সকল কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন।
পুলিশ দেশ তথা জনগণের বন্ধু এবং সেবক।
অতএব দেশ ও জনগণের কল্যাণে সর্বদা কল্যাণকর কাজ করে যাবে।
তিনি সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নোত্তরে বলেছেন মাদক নির্মূল করার ক্ষেত্রে সরকারের প্রথম চ্যালেঞ্জ।
যা ক্ষমতা গ্রহণের মুহূর্তেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দৃড়তার সাথে বলেছিলেন মাদক সমাজের অবক্ষয় এবং যুব সমাজের বৃহৎ একটি অংশ পরিবারকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গিয়ে মাদকের কালো থাবায় সাজানো স্বপ্ন ভেঙ্গে চুরে তছনছ করে দিচ্ছে।
অতএব দেশ ও যুব সমাজকে সুন্দরভাবে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে মাদকের হাত থেকে জিরো টলারেন্স করার কোন বিকল্প নাই ।
সাথে তিনি সমাজে হঠাৎ বড়লোক বনে যাওয়া ব্যক্তিদের পিছনে তদারকি করার জন্য পুলিশ ও সাংবাদিকদের সজাগ দৃষ্টি রাখার কথা বলেছেন।
প্রশাসনের পাশাপাশি সুশীল সমাজের বিভিন্ন মাদক বিরোধী সংগঠনের কর্মকর্তা ব্যক্তিদের এগিয়ে এসে প্রশাসনকে সহযোগিতা করে মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে থেকে মাদক মুক্ত দেশ গড়ার বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখতে হবে ।
তাছাড়া বর্তমানে উঠতি বয়সী ছেলেরা দলবদ্ধ ভাবে রংবাজি মাস্তানি ছিনতাই ইভটিজিং বিভিন্ন অসামাজি অপকর্মের সাথে জড়িয়ে পড়ে নানা ধরনের অপরাধ সংঘটিত করছে।
এরা না মেনে চলছে পরিবারের স্বাশন না মানছে সমাজের মুরুব্বীদের কথা।
এরা প্রতিনিয়ত জড়িয়ে পড়ছে মাদকের সাথে। ঘটিয়ে যাচ্ছে নানাবিধ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড। ছিনতাই চাঁদাবাজি ইভটিজিং ধর্ষণ ও নারীগঠিত অপকর্ম ও মানুষ খুনের মতন জঘন্যতম কাজে।
যথা সময়ে এদের লাগাম টেনে ধরতে না পারলে এরা আগামী দিনে আরো দুর্ধর্ষ ভয়ংকর রূপ ধারণ করবে।
এরা আমাদেরই সন্তান এদের অন্ধকার জগত থেকে ফিরিয়ে আনার দায়িত্ব আমাদেরই।
তাই আমাদের সন্তানরা স্কুল-কলেজ শেষে কোথায় যাচ্ছে এবং তাদের গতিবিধি সহ তারা কাদের সঙ্গে আড্ডা দিচ্ছে এগুলো লক্ষ্য রাখার দায়িত্ব প্রত্যেক অভিভাবকদের।
পুলিশ কমিশনার সমাজের একশ্রেণীর প্রতারক দালাল চক্রদের কথা উল্লেখ করে বলেন দেশের জেলা ও বিভাগীয় শহর এমনকি মফস্বল শহরগুলোতে সাধারণ মানুষদের চাকরি দেওয়া ও এক টাকায় ৩টা মুনাফা সহ বিভিন্ন প্রতারণার ফাঁদে ফেলে প্রতারণা করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে সর্বস্বান্ত করছে অসহায় মানুষদের।
অতএব এ সকল প্রতারক চক্রের হাত রয়েছে অনেক ঊর্ধ্বে তা সত্বেও এদের বিরুদ্ধে তৎপরতা চালিয়ে এদের মূলউৎপাটন করার দায়িত্ব আমাদেরই ।
পাশাপাশি তিনি স্থানীয় ব্যবসায়ীদের কথা উল্লেখ করে বলেন ব্যবসায়ীরা লক্ষ লক্ষ টাকা পুঁজি খাটিয়ে স্বাচ্ছন্দে ব্যবসা করবে।
এক্ষেত্রে যদি কোন চাঁদাবাজ বা হুমকি দাতা হুমকি দিয়ে তাদের কাছ থেকে কোন সুবিধা আদায় করতে চায় সেক্ষেত্রে পুলিশ প্রশাসনের নিকট অভিযোগ করলে তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি।
এবং জনগণের সেবা সুবিধার্থে ভিন্ন ভিন্ন অভিযোগ মনিটরিং সেল গঠন করার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
এবং এই মনিটরিং সেল সার্বক্ষণিক সাধারণ মানুষদের সেবা দেওয়ার জন্য ২৪ ঘন্টা উন্মুক্ত থাকবে।
তিনি আরো বলেন প্রশাসনকে অভিযোগ করার পর সেবা পেতে বিলম্ব হলে সাথে সাথে মনিটরিং সেলে জানাতে বলা হয়েছে।