মশিউর মিলন, পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি:
পটুয়াখালীর বাউফলে রাবেয়া অক্তার রুমা(৩০) নামের এক গৃহবধুর দগ্ধ লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতের সন্তান দাবি করেন বাবা ও দাদা আগুন দিয়ে হত্যা করেছেন তার মাকে। সোমবার (০৪ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার বগা ইউনিয়নের বানাজোড়া গ্রামে ওই ঘটনা ঘটে। পুলিশ অগ্নি দগ্ধ লাশ উদ্ধার করে সোমবার সন্ধ্যায় বাউফল থানায় নিয়ে আসে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বগা ইউনিয়নের বানাজোড়া গ্রামের মো. বেল্লাল জোমাদ্দার(৪৫) সাথে ২০১৪সালে পাশের মদনপুরা ইউনিয়নের দ্বিপাশা গ্রামের ফজলুর রহমানের মেয়ে রাবেয়া আক্তার রুমার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের দাবী নিয়ে বেল্লালের পরিবারের সাথে দ্ব›দ্ব চলে আসছিলো। ঘটনার দিন (সোমবার) সকালে এসব নিয়ে বিল্লাল রুমাকে বেধরক মারধর করেন। এর কিছুক্ষণ পরেই স্থানীয়রা রুমার শরীরে অগুন দেখে ছুটে এসে নেভানোর চেষ্টা করে। ততক্ষণে ঘটনাস্থলেই মারা যান রুমা। রুমা বেল্লাল দম্পতির ১৮মাসের কন্যা সন্তানসহ ৩টি সন্তান রয়েছে।
নিহতের মা পারুল বেগম বলেন, বিয়ের পর থেকেই রুমাকে ওর শ্বশুর বাড়ির লোকজন যৌতুকের দাবীতে মারধর করতো। বিভিন্ন সময়ে জামাইকে টাকা-পয়সা দিয়ে সহযোগিতা করেছি। রুমার স্বামী আর শ্বশুর রুমাকে আগুন দিয়ে মেরে ফেলেছে।
নিহত রুমার বড় ছেলে মো. আসাদ(০৭) বলেন, ‘আব্বায় রাইতে মায়রে মারছে, হেরপর মায়রে সকালে আব্বায় আর দাদায় ফিরি (জলচৌকি) দিয়া মারছে। হেরপর আমার আব্বায় (বেল্লাল) আর দাদায় (আরমান জোমাদ্দার) দুইজনে মিল্ল্যা আমার মার গায় (শরীরে) আগুন জ্বালাইয়া দেছে।’
ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তরা পলাতক থাকায় তাদের কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এবিষয়ে বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এটিএম আরিচুল হক বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনা স্থল পরিদর্শন করে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আগামি কাল সকালে লাশ ময়না তদন্তের জন্য পটুয়াখালী মর্গে পাঠানো হবে। ময়না তদন্তের রিপোর্টের ভিত্তিতে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।