মোঃরইস উদ্দীন রিপন স্টাফ রিপোর্টার নারায়ণগঞ্জ :
আমার নির্বাচনী এলাকায় কয়েকদিন পূর্বে প্রায় ৮০ বছরের এক বৃদ্ধ রাস্তায় যাওয়ার পথে আমাকে হাত নাড়ালেন,সাথে সাথে আমি গাড়ি থামিয়ে নেমে গেলাম।তিনি(বৃদ্ধ)আমার মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে বললেন-তোমার জন্যে আমি তাহাজ্জুদের নামাজ পড়ে দোয়া করি।ওনার সাথে আমার আত্মীয়তার কোন সম্পর্ক নেই।তাও তিনি(বৃদ্ধ)আমার জন্যে দোয়া করেছেন, এটাই আমার বড় পাওয়া।১০ বছর কতটা সোনারগাঁবাসি শান্তিতে ছিলেন সেটা এবার প্রমাণ করার সময় এসে গেছে।আমি যখন মা-বোনদের সামনে যাই,আমার বাবার বয়সীদের কাছে যাই,আমি আর কি ভোট চাইবো।তারাই বলে আলহামদুলিল্লাহ,ইনশা আল্লাহ।এটাই আমার সবচেয়ে বড় পাওয়া।উপজেলার চেঙ্গাকান্দি এলাকায় এক নির্বাচনী জনসভায় এই কথা বলেছেন নারায়ণগঞ্জ-৩(সোনারগাঁ)আসনের এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা।শুক্রবার(২৯ ডিসেম্বর)বিকালে এ সভার আয়োজন করা হয়।তিনি বলেন-আল্লাহ আমাকে জনগণের সেবা করার যোগ্যতা দিয়েছেন।সেজন্য শুকরিয়া আদায় করি।১০ বছর নিজের লোভ লালসা ত্যাগ করে,আমার নিজের ও পরিবারের সম্পদ বিক্রি করে করোনাকালীন সময় মানুষের সেবা করার চেষ্টা করেছি।আগামী-৫ বছর আপনারা কেমন থাকবেন,জীবন কেমন হবে সেটার সিদ্ধান্ত নেওয়ার মালিক আপনারা।আমি-১০ বছর দায়িত্বে ছিলাম।আমার যে প্রতিপক্ষ প্রার্থী তিনিও-৫ বছর ক্ষমতায় ছিলেন।আপনারা জানেন আপনারা ওনাকে কতটা কাছে পেয়েছেন,আর আমাকে কতটা কাছে পেয়েছেন।এগুলো বিচারের দায়-দায়িত্ব আপনাদের উপর ছেড়ে দিলাম।এই সোনারগাঁ আপনাদের সবার,আমার একার না।আপনারা পরিবার নিয়ে কিভাবে শান্তিতে ছিলেন-১০ বছর,তা আপনারা জানেন।আমি দায়িত্ব নেওয়ার আগে সোনারগাঁয়ে অনেক প্রয়োজন ছিলো-স্কুল,রাস্তাঘাট ও মসজিদের।এগুলো কিন্তু এখন দৃশ্যমান হয়েছে।আপনাদেরকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে।মাগরিবের ওয়াক্ত কাছে,মুসলমান হিসেবে একটা কথাই বলবো।আমি যদি আপনাদের সময় দিয়ে থাকি,সবাইকে বুকে জড়িয়ে আপনের মতো-১০ টি বছর থেকে থাকি, তাহলে আমাকে আপনার কিভাবে মূল্যায়ন করবেন সেটা আপনাদের বিবেকের উপর ছেড়ে দিলাম।সোনারগাঁকে সব সময় শান্তিতে রাখতে চেয়েছি।কোনও ঝগড়া বড় হতে দেইনি।গার্ডিয়ান হিসেবে চেয়েছি সবাই শান্তিতে থাকুক।তিনি আরও বলেন-করোনার তিন মাস আমি সোনারগাঁ‘র মাটিতে পড়ে ছিলাম। ৫৮ জন মানুষ মারা গেছেন করোনায়, আল্লাহ আমাকে তাদের দাফন কাফনের তৌফিক আল্লাহ দিয়েছেন। আমি সেজন্য আল্লাহ‘র কাছে কৃতজ্ঞ। আমার যে প্রতিপক্ষ, আমার জন্য জনগণের ভালবাসায় তারা অসন্তুষ্ট।তারা ভোট চাওয়া বাদ দিয়ে জনগণকে হুমকি দিচ্ছেন। আমার নেতাকর্মীদের হুমকি দিচ্ছেন, ভোটারদের হুমকি দিচ্ছেন সেন্টারে না যেতে।ভোট না কি হবে না।আমি সবার বাড়িতে গেলাম,তারা আমার কানে কানে বলছেন, ভোট কি সুষ্ঠ হবে,আমরা কি ভোট দিতে পারবো?তারা এবার ভোট দিতেই চায়।এই জনসভায় উপস্থিত ছিলেন ইউপি সদস্য আমীন,আউয়াল,ফারুক,রফিক,মোহাম্মদ আলী,ইবনে আলী,জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম ইকবাল,জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সদস্য লায়ন তোফাজ্জল,জাতীয় স্বেচ্ছাসেবক পার্টি ও নারায়ণগঞ্জ মহানগর জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল,জাতীয় পার্টির নেতা শহীদ,জাকির সরকার প্রমূখ।