খায়রুল বাশার, ময়মনসিংহ প্রতিনিধিঃ
সাংবাদিক রাজন লাল সরকার (রাজ) এর উপর হামলার ও মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে মোমেনশাহী প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
গত ০৯ অক্টোবর ২০২৩ ইং বিকেলে ময়মনসিংহ শহরের মাসকান্দা, মোমেনশাহী প্রেসক্লাবে সাংবাদিক রাজন লাল সরকার রাজ সাংবাদিকদের নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিক রাজন লাল সরকার রাজ বলেন।
সুমন লাল সরকার নামে এক ব্যক্তি সরকারি ছুটিতে এসে ০৭/০৩/২০২২ ইং তারিখে তার লোক জন নিয়ে রতিন্দ্র লাল সরকারের বাড়িতে প্রবেশ করে এবং অখ্যাত ভাষায় গালিগালাজ করে ও রতি মাষ্টারের পরিবার বর্গের উপর লাঠি দিয়ে আঘাত করে। শ্লীলতাহানি করে সুমন লাল সরকার ও অন্যান্য ব্যক্তি বর্গ সাতে নিয়ে, অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন, ৪ টি, গাছ কাটিয়া নিয়ে যায় এবং ক্ষেতের ফসল কেটে নিয়ে যায়, যার অনুমানিক মূল্য,১.৫০,০০০লক্ষ টাকা তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা হয়েছে। সিনিয়র চীফ জুডিসিয়াল ম্যেজিস্ট্রেট আদালতে মামলা নং-৭১১/২০২২ ইংরেজি সি আর মামলা দায়ের করেন। ২৪৪/২০২০,৪২৮/২০২০,৩৬/২০২১,০৪ ২০২২( রাজস্ব আদালত)সি আর ২৫১ /২০২২,সি আর, ৬৬১/২০২৩ উপরে মামলা গুলো তদন্তকালে সে তার ব্যক্তিগত প্রভাব বিস্তার করে। মামলার তদন্ত কাজকে বাধাগ্রস্ত করেছে, এবং মামলার দলিলাদি সাক্ষ্য প্রমাণাদিও সত্যতা বিদ্যমান থাকা সত্ত্বেও এই অসহায় পরিবারটি কোন ন্যায় বিচার পাচ্ছে না।
অভিযুক্ত সেনাবাহিনীর কর্পোরাল সুমন লাল সরকার ৭৯ ইস্টবেঙ্গল সাপোর্ট ব্যাটালিয়ন পোদে কর্মরত আছে রামু ক্যান্টমেন্টে কক্সবাজার।
সে বিভিন্ন সময় ছুটিতে এসে রথীন্দ্রলাল সরকার বয়স ৮০ এবং যয়ন্ত লাল সরকার কে দরবারের প্রতিশ্রুতি দিয়েও বার বার সময় পার করছে। কিন্তু বিষয়টি কোনক্রমে সমাধান করছে না। ০৪/০২/২০২৩ ইরেজি,২৫/০৩/২০২৩ ইংরেজি তারিখে দরবারের মাধ্যমে আপোষ নিষ্পত্তির কথা বলে তালবাহানা করছে। এবং মিথ্যা প্রতিশ্রতি দিয়েছে রথীন্দ্রলা সরকার এবং জয়ন্ত লাল সরকার কে বসিয়ে তার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ কে বলছে আমি মিমাংসা করেছি, এমনকি সেই এলাকায় এসে বিভিন্ন জায়গায় বলছে তার বিরুদ্ধে দশটি মামলা করলেও কেহ তার কিছুই করিতে পরাবে না।
শুধু তাই নয় এসিলেন্টের অর্ডার থাকা সত্ত্বেও, তহসিল দার শাহাব উদ্দিন কেউ প্রবাব বিস্তার করেছে,এবং বর্তমান তহসিলদার ৬ নং বিলডোরা ইউনিয়ন মোছাঃ নাসরীন সুলতানা সঠিক কাগজ পএ থাকা সত্তেও তাল বাহানা করছে ,খারিজ করছে না, এবং এটা নিয়ে মিছ আপিল চলমান রয়েছে এখনো কোন সূরা হচ্ছে না যার আপিল নাম্বার -(xlll)/২০১৯ নামজারি ও জমি খারিজের জন্য আবেদন করা হলে তৎকালীন সরকারি কমিশনার ভূমি জনাব তানভীর আহমেদ নামজারি করে সংশোধনের জন্য তৎকালীন ৬ নং ইউনিয়নের সহকারী ভূমিক কর্মকর্তা শাহাবুদ্দিন নির্দেশ দেন। সুমন লাল সরকারের কাছ থেকে প্রভাবিত হয়ে সে খারিজ দেয় নাই। এমনকি বর্তমান ৬ নং বিলডোরা ইউনিয়নের ভূমি সহকারী কর্মকর্তা নাসরিন সুলতানা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অর্ডার থাকা সত্ত্বেও সে খারিজ দিচ্ছে না, এবং বিগত ১০-০৮-২০২৩ ইরেজি সুমন লাল সরকার ছুটিতে এসে গ্রামের বাড়িতে অবস্থা কালীন সময়ে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে বাড়িতে অনাদিকার প্রবেশ করে। এবং জয়ন্ত লাল সরকারকে বাড়িতে এসে বাঁশের লাঠি আর রড দিয়ে এলোপাথাড়ি মার ধর করে, মারাত্মক আহত করে। জয়ন্ত লাল সরকার কে প্রথমে ময়মনসিংহে প্রাইভেট ক্লিনিকে ও পরবর্তীতে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা করানো হয়।সেখানকার চিকিৎসা বিষয়ক সনদপত্র থাকা সত্ত্বেও হালুয়াঘাট থানা অভিযোগ দায়ের করিলে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুমন চন্দ্র রায় গ্রহণ করেন। কিন্তু অজ্ঞাত কারণবশত মামলাটি এফায়ার করেননি। পরবর্তীতে সকল সাক্ষ্য প্রমাণ ও ডাক্তারি সনদপত্র সহ ময়মনসিংহ সুযোগ্য পুলিশ সুপার জনাব মাসুদ আহমেদ ভূঁইয়া সাহেবের সাথে দেখা করিলে। এ বিষয়ে হালুয়াঘাট উপজেলার চেয়ারম্যান সায়েম আহমেদ তার সরনা পন্ন হলে ওনি দরবারের প্রতিশ্রুতি দেন এবং অফিসে উভয় কেই ডাকেন, তারপর সাবেক ওয়ার্ড প্রেসিডেন্ট রথীন্দ্রলা সরকার উনাকে ডেকে বলেন যে, আপনি আমার দলীয় লোক সে ক্ষেত্রে আমরা যেভাবে বিচার করব আপনি যদি রাজি থাকেন তাহলে আমরা বিচার করতে পারি। রথীন্দ্রনাথ সরকার বলেন ঠিক আছে আমি রাজি আছি বিচার করেন, কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত উনি এমন কথাই বলেছেন যে রক্তের বদলে রক্ত দিতে হবে রক্ত কি দিতে পারবেন, রথীন্দ্র সরকার ভয়ে সে বলেছে আপনারা যেভাবে বিচার করবেন সেভাবেই হবে, রথীন্দ্রলা সরকারের সাফ কাওলা জমি থাকা সত্ত্বেও জমি অর্ধেক ভাগ করে দিয়ে দেওয়ার পর ও সে বলছে কেইস থাকবে। জমি দিয়ে দিতে হবে জমি অর্ধেক দিয়ে দেওয়ার পরও হেলিম শেখ, হৃদয় শেখ, সুমন লাল সরকার, বিমল লাল সরকার গং পুরো জমি দখল করে ফেলেছে এবং কি রতি মা স্টারের বাড়ি অর্ধেক নিয়ে যেতে চাচ্ছে। এবং তার পরিবারের উপর আক্রমণ করেছে বারবার,
সাংবাদিক রাজন লাল সংবাদ সম্মেলন করে সাংবাদিক দের জানান। ন্যায় বিচারের স্বার্থে ও সঠিক তদন্তের জন্য তিনি বাংলাদেশ সরকারের উদ্বোধন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেন। তিনি তার ওপর হামলার সুস্থ তদন্ত ও ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করেন।