নজরুল ইসলাম, জেলা প্রতিনিধি:
সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার শালুয়াভিটা সিনিয়র দাখিল মাদ্রাসায় তিনটি পদে নিয়োগ পরীক্ষার আগেই মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে প্রার্থী চুড়ান্ত করার অভিযোগে এলাকাবাসীর তোপের মুখে পড়ে মৌখিক পরীক্ষা স্থগিত করতে বাধ্য হলেন মাদ্রাসার সুপার আব্দুল মালেক ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি প্রফেসর নূরুল ইসলাম।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারী) মাদ্রাসায় সহ-সুপার, নৈশপ্রহরী ও পরিচ্ছন্নতাকর্মী এই তিনটি পদে পূর্ব নির্ধারিত নিয়োগ পরীক্ষা ছিল। কিন্তু ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নূরুল ইসলাম ও মাদ্রাসার সুপার আব্দুল মালেক জাকির যোগসাজস করে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে আগেই প্রার্থী চুড়ান্ত করে রেখেছেন বলে এলাকায় গুঞ্জন ওঠে। এতে অন্যান্য প্রার্থীদের মধ্যে হতাশা দেখা দেয়। এমনকি সুকৌশলে শুধু মাত্র প্রক্সি প্রার্থীদের ডেকে এনে নাম মাত্র পরীক্ষা নিয়ে মনোনীত প্রার্থীদের নিয়োগ দেওয়া হবে এমন অভিযোগে এলাকাবাসীর মধ্যে চাপা ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আয়া পদে একজন প্রার্থী বলেন, আমরা শুনেছি পরীক্ষার আগেই আলেয়া ও শামীম রেজার কাছে থেকে মোটা অঙ্কের অর্থ নিয়ে মনোনীত করেছেন এবং তাদেরকেই নিয়োগ দেবেন বলে আমরা শুনতে পাচ্ছি। তাই ওই পাতানো নিয়োগ বাতিলের দাবী জানান তারা। পরে পুলিশ পাহারায় ডিজির প্রতিনিধি, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও সাংবাদিকদের সরব উপস্থিতিতে নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হলেও এলাকাবাসীর তোপের মুখে মাদ্রাসার সুপার আব্দুল মালেক ও সভাপতি নূরুল ইসলাম মৌখিক পরীক্ষা স্থগিত করেন।
এ বিষয়ে শালুয়াভিটা দাখিল মাদ্রাসার সুপার আব্দুল মালেক জাকির বলেন, প্রার্থীদের লিখিত পরীক্ষা নেয়া হলেও এলাকার সমস্যার কারনে মৌখিক পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। তবে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. নূরুল ইসলাম বলেন, এ ব্যাপারে আমি কিছুই বলতে পারবো না।
মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি)’র প্রতিনিধি মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিদর্শক (চট্টগ্রাম বিভাগ) ড. আবুল কালাম আজাদ বলেন, স্বচ্ছতার ভিত্তিতে উপস্থিত প্রার্থীদের লিখিত পরীক্ষা নেয়া হয়েছে। তবে স্থানীয় সমস্যার কারনে মৌখিক পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।