রাশেদুল ইসলাম
নোয়াখালী জেলা প্রতিনিধি হিসেবে
নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলায় বৃদ্ধার জমি দখল করার অভিযোগ উঠেছে পালক মেয়ের জামাতা আওয়ামিলীগ নেতার বিরুদ্ধে, এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে অসহায় বৃদ্ধা রুহুল আমিন (৭০)।
ঘটনাটি ঘটে ০৫ জানুয়ারী (শুক্রবার) বিকেল ৪ টায় সুবর্ণচর উপজেলার ৩ নং চরক্লার্ক ইউনিয়নের দক্ষিণ চরক্লার্ক গ্রামে।
অসহায় বৃদ্ধা চরক্লার্ক ইউনিয়ন ৭নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ চরক্লার্ক গ্রামের মৃত শেখ আহমদের পুত্র মোঃ রুহুল আমিন (৭০) এবং তার স্ত্রী
বৃদ্ধা রুহুল আমিন বলেন, আমার পালক মেয়ে নাহিদা আক্তার ওরপে (নাজমা আক্তার) এর বাবা মা মারা গেলে ৩ বছর বয়স চলাকালিন সময়ে তাকে আমরা লালন পালন করে বড় করি বিবাহ যোগ্য হলে ১৮ বছর বয়সের আগে তাকে আমরা আওয়ামিলীগ নেতা দক্ষিণ চরক্লার্ক ইউনিয়নের মৃত ফকির আহাম্মদের পুত্র আব্দুর রহমান (৪২) কাছে ৪ ভরি স্বর্ণালংকার দিয়ে বিবাহ দিই। বিবাহের ৫ বছর পর চতুর আব্দুর রহমান আমার পালক মেয়ে নাজমা কে তালাক দিবে বলে মারধর করে এবং নানান অজুহাতে কেরানী বাজার একটি দোকানের ভিটি দখল করে নেয়।
বৃদ্ধা আরো বলেন-আমাকে ভরন পোষন করাবে মর্মে তাকে বাড়ী করার জন্য কিছু জায়গা দিতে বলে
নানা রকম টালবাহানা করে যেহেতু আমার কোন নিজ সন্তান নেই তাই আমি সরল বিশ্বাসে তাকে ৬০ ডিসিমেল জায়গা ওসিয়ত করে দিই, জায়গা পেয়ে সে আমাদের ভরন পোষনতো দূরের কথা উল্টো আমার সব জায়গা সম্পত্তি দখল করে নেয়ার পায়তারা করে পরে নিরোপায় হয়ে আমার দেয়া অসিয়ত নামা আমি ক্যান্সেল করে দিই। এর পরেই আমার ওপর শুরু হয় নানান নির্যাতন, মারধর হুমকি ধুমকিসহ নানান ধরনের হয়রানি করে।
ঘটনার দিন ৫ (জানুয়ারী) শুক্রবার বিকেল ৪ টায় সে আমার জায়গায় ভেকু মেশিন দিয়ে প্রজেক্ট কাটতে গেলে আমি বাঁধা দিই এতে আমার পালক মেয়ে নাজমা তার স্বামী আব্দুর রহমান সহ আমাকে মারধর সহ আমার স্ত্রীকে শারিরীক নির্যাতন করে।
এলাকাবাসী বলেন, আব্দুর রহমান দীর্ঘদিন ধরে বৃদ্ধা শুশ্বরের জায়গা জমি দখল করার পায়তারা করে আসছে, একাধিকবার শালিস বিচার করা হলেও তারা তা মানেনা।
প্রত্যক্ষদর্শী ভেকু মেশিন চালক বলেন, আব্দুর রহমান আমাকে মাটি কাটতে সেখানে পাঠায় মাটি কাটা শুরু হলে বৃদ্ধা বাঁধা দেয় পরে বৃদ্ধার পালক মেয়ে বৃদ্ধাকে আমার সামনে মারধর করে।
অভিযুক্ত পালক মেয়ে নাজমা এবং জামাতা আব্দুর রহমান বলেন, আমাদেরকে ৬০ ডিসিমেল জায়গা দেয় এখন সে জায়গায় কাজ করতে গেলে তিনি বাঁধা দিচ্ছেন, ওসিয়ত ক্যান্সেলের বিষয়ে আমরা কিছু জানিনা। তবে কিছু লোকের ইন্ধনে আমার বাবাকে নানা ভাবে কুপরামর্শে আমাদের মাঝে বিবেদ সৃষ্টি করছে বলে দাবী করেন অভিযুক্ত নাজমা এবং আব্দুর রহমান।
চরজব্বর থানার এই আই নুর ইসলাম বলেন, দখলের বিষয়ে খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে যাই, এবং বৃদ্ধার অভিযোগের ভিত্তিতে সেখানে কাজ বন্ধ করে দিয়ে আসি। এবং নির্বাচনের পর উভয় পক্ষকে কাগজপত্র নিয়ে উপস্থিত থাকার জন্য বলি।