মোঃ মাসুম উদ্দিন খাগড়াছড়ি জেলা প্রতিনিধিঃ
৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে উপজেলা চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী জনাব হামিদ খুব অল্প সময়ে আলোচনাও সমালোচনার মধ্য দিয়ে সাধারণ জনতার মন কেড়ে নিয়েছেন।
মানিকছড়িতে চেয়ারম্যান পদে ত্রিমুখী লড়াইয়ে বর্তমান চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদিনের পাশাপাশি রফিকুল ইসলাম ও আব্দুল হামিদ থাকছেন।
২৬ বছরে তারুণ্যের প্রতীক নিয়ে মোঃ আব্দুল হামিদ বেড়ে উঠেছেন মানিকছড়ির গচ্ছাবিল এলাকায় । পড়াশোনাটা এখানেই শুরু, শেষ করেছেন খাগড়াছড়ি সরকারি কলেজ থেকে। উচ্চ শিক্ষিত মানুষ হিসেবে তার একটা গ্রহণ যোগ্যতা রয়ে গেছে। ছাত্র অবস্থায় কোন রাজনৈতিক দলের লেজুরবৃত্তি করেন নি। ছাত্রজীবন থেকে সবসময় মানুষের পাশেই ছিলেন। অতি সাধারণ পরিবার থেকে ওঠে এসেছেন তিনি।
ভবিষ্যতে মানুষের জন্য কাজ করার বেশ আগ্রহ প্রকাশ করছেন।
তিনি বলেন আমি উপজেলা নির্বাচনে জয়ী হলে এলাকার সকল উন্নয়ন কর্মকান্ড তথা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল কনসেপ্টকে বাস্তবায়ন করে স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মানে কাজ করার চেষ্টা করে যাবো আমার সীমাবদ্ধতার মধ্য থেকেই। পাশাপশি যুব সম্প্রদায়কে উদ্যোক্তা হিসেবে কাজ করার সুযোগ সৃষ্টি করবো মাননীয় এমপি মহোদয়ের দিক নির্দেশনায় এবং তার পৃষ্ঠপোষকতায় মধ্যে থেকে।
হামিদ বলেন, এখানকার উচ্চ শিক্ষিত ছেলে-মেয়েদের কর্মসংস্থানের বিষয়টি আমি সর্বপ্রথম মাথায় রাখবো। কেননা এখানকার ছেলেরা শিক্ষিত হওয়ার পরেও বেকারত্ব জীবনে জর্জরিত বাইক চালিয়ে রুটি রুজির বিষয়টা খুব কষ্টের এ বিষয়টাকে প্রাধন্য দিবো।
পাশাপাশি ভোকোশনাল ট্রেনিং ইনিষ্টিটিউট করে মানিকছড়িকে আরো এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করবো।
আব্দুল হামিদ আরো বলেন, ক্ষুদ্র শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ার অনেক সুযোগ আছে।সাধারণ মানুষের কর্মসংস্থান বৃদ্ধির লক্ষ্যে শিল্প বানিজ্য গড়ে তুলবো। এছাড়াও রয়েছে পর্যটন শিল্পের বিকাশ ঘটাবার সুগম পথ সে দিকে বেশ নজর রাখবো।
মানিকছড়িতে উপজেলায় ০৪টি ইউনিয়নে বর্তমান ভোটার সংখ্যা ৫৫হাজার ৭৪ জন তিনি বলেন যোগ্যতা মূল্যায় করে আমার প্রতিভা এবং সৎ সাহসের প্রতি আত্মবিশ্বাস রেখে ভোট প্রদান করলে সবোর্চ্চ ভোট পেয়ে জয় লাভ করবো সেই আশাবাদী।
পরিশেষে চেয়ারম্যান প্রার্থী মোহম্মদ আব্দুর হামিদ বলেন, পরিবর্তনের লক্ষ্যে টেকসই মাধ্যমে আধুনিক মানিকছড়ি উপজেলা পরিবর্তন আনতে চাই। এতে জনগনের সহযোগিতা কামনা করি এবং ভোটের দিন সুষ্ঠুভাবে ভোট প্রয়োগ করবেন বলে আমি বিশ্বাস করি। কেননা এবার জননেত্রী শেখ হাসিনা আগেই ঘোষণা দিয়েছেন, দলীয় প্রভাব ও মার্কা ছাড়া যার যার যোগ্যতায় উঠে আসবে জনগণের প্রতিনিধি হয়ে।