মশিউর মিলন, পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ
হাসিনার সরকার দীর্ঘ ১৬বছর জগদ্দল পাথরের মতো মানুষের বুকের ওপর বসেছিল। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনে স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার সরকার ৫’ই আগস্ট ক্ষমতা ছেড়ে হেলিকপ্টারে ভারতে পালিয়ে যায়। বাংলাদেশ থেকে চিরবিদায় নিয়েছে ফ্যাসিস্ট হাসিনা। বাংলাদেশে এই ফ্যাসিস্ট হাসিনা এবং শেখ পরিবারের কোনো নেতা আর নেতৃত্ব দিতে পারবে না। বাংলাদেশের ফ্যাসিস্ট পতিত সরকারকে তারা (ছাত্র-জনতা) বিদায় করে দিয়েছে। তাদেরকে বাংলাদেশের মানুষ আর গ্রহণ করবে না।
শনিবার (০৭ ডিসেম্বর) বিকেলে পটুয়াখালীর বাউফলে বিএনপির এক জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-দপ্তর সম্পাদক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এসএম হল ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি মুহম্মদ মুনির হোসেন এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, পতিত ফ্যাসিস্ট সরকার আমাদের প্রিয় নেত্রী তিনবারের প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলা দিয়ে সাজা দিয়েছিল। আজকে প্রমাণ হয়েছে সমস্ত মামলা গুলো মিথ্যা ছিলো। আমাদের প্রিয় নেতা আমাদের তারুণ্যের অহংকার জননেতা তারেক রহমানের নামেও মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছিলো। এছাড়াও আমাদের সকল নেতা-কর্মীদের নামে শতশত মিথ্যা মামলা হয়েছিলো। আজকে হাইকোর্ট ধারাবাহিকভাবে সব মামলায় আমাদের খালাস দিয়ে দিচ্ছে। বিগত ১৬ বছর ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম করে বিএনপির ৬০ লক্ষ নেতা কর্মী মিথ্যা মামলা গুম খুনের শিকার হয়েছে। ফ্যাসিস্ট হাসিনার সরকারকে উৎখাত করতে আমাদের হাজার হাজার ছাত্রজনতা প্রাণ দিয়েছে।
মুহম্মদ মুনির বলেন, আমি আপনাদের ভাই, আপনাদের সন্তান, আপনাদের সাথে কাজ করতে চাই। বাউফলের উন্নয়ন উৎপাদনের জন্য কাজ করতে চাই। বাউফল বাসির সেবা করার সুযোগ চাই। আপনাদের জন্য এই ফ্যাসিস্ট হাসিনার বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রাম করে ৪২ টি মিথ্যা মামলার আসামি হয়েছি। বারবার জেল জুলুম ও নির্যাতনের স্বীকার হয়েছি। আপনারা আমাকে আপনাদের সেবা করার সুযোগ দিয়েন।
উপজেলার বগা মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে বগা ইউনিয়ন বিএনপির আয়োজনে এক বিশাল জনসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-দপ্তর সম্পাদক মুহম্মদ মুনির হোসেন এসব কথা বলেছেন। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির আহবায়ক জব্বার মৃধা, সদস্য সচিব আপেল মাহমুদ ফিরোজ, যুগ্ম আহবায়ক আবদুল গনি সিকদার, সদস্য আবুল কালাম মৃধা, জেলা সেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুইন আহমেদ, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক মিলন মিয়া, দাশপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আলী আজম প্রমুখ।
দুপুর থেকে বিভিন্ন ইউনিয়ন বিএনপির নেতা-কর্মীরা মিছিল নিয়ে জনসভায় যোগ দিতে শুরু করেন। একসময় এই জনসভা জনসমুদ্রে পরিনত হয়। এসময় একজন শিক্ষার্থী খালেদা জিয়ার সাজে মঞ্চে উপস্থিত হয়েছিলো। অন্য একজন বিএনপি ভক্ত ধানের শীষ দিয়ে পোশাক তৈরী করে সভাস্থলে উপস্থিত হন। জনসভা শেষে রাতে মনোজ্ঞা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।