বিপ্লব সাহা খুলনা ব্যুরো:
পালিয়ে থাকা আওয়ামী লীগের ডাকা ২৪ ঘন্টা লকডাউনের প্রভাব পড়েনি খুলনা শহরে।
জনজীবন রয়েছে স্বাভাবিক মার্কেট শপিংমল যথারীতি খুলেছে। সোনাডাঙ্গা অন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল থেকে সকল জেলার উদ্দেশ্যে বাস ছেড়ে গেছে, শহর জুড়ে চলছে যথারীতি রিক্সা ইজিবাইক ভ্যান সহ সকল ধরনের যানবাহন পাশাপাশি প্রশাসন রয়েছে কঠোর অবস্থানে।
অপরদিকে খুলনার সকল শ্রেণীর মানুষের অভিযোগ দেশে আসন্ন সংসদ নির্বাচনকে বানচাল করার লক্ষ্যে আওয়ামী লীগের এই বিশৃঙ্খলার নাশকতার পরিকল্পনা আর কোন ধরনের পরিকল্পনা করে যে তারা কার্যতো সফল হতে পারবে না, তা সত্ত্বেও তাদের নেত্রী ও দলীয় উচ্চপদস্থ কিছু পালিয়ে থাকা নেতাকর্মীরা দেশের উন্মুক্তভাবে মাঠ পর্যায়ের যে সকল তৃণমূল কর্মীরা স্বাচ্ছন্দে চলাফেরা করতে ছিল তাদেরকে উস্কানি দিয়ে রাজপথে নামিয়ে বিপদ মুখী করার চেষ্টা করছে,আর সেটা তারা বুঝতে পেরে আন্ডারগ্রাউন্ডে থাকা নেতাকর্মীদের কোন কথাতেই সাড়া দিচ্ছে না।
উল্লেখ্য ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানে গত বছর ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট খুনি হাসিনা দেশ থেকে পালিয়ে যেয়েও দেশকে অশান্ত করে তোলার নীল নকশার পরিকল্পনায় উন্মাদ তারই ধারাবাহিকতায় গত ১৩ নভেম্বর লক্ষ লক্ষ নেতাকর্মীর উপস্থিতিতে ঢাকা শহর অচল করে দেওয়ার হুমকি দিয়ে লকডাউন ঘোষণা করলেও সমগ্র ঢাকা শহর জুড়ে হাতেগোনা কয়েকজন কর্মী ব্যতীত কাউকেই দেখা যায়নি রাজপথে আর আওয়ামী লীগের ডাকা লকডাউনে জনগণ সাড়া দেয়নি উপরন্ত জনগণ ও প্রশাসন পলাতক হাসিনার বিপক্ষে কাজ করেছে। নিছিদ্র নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা ছিল শহর তারই মধ্যে কথিত আওয়ামী লীগের যে কয়জন নেতাকর্মী রাজপথে নেমেছে তাদের উপর্যুপরি মারধর ও প্রশাসন গ্রেপ্তার করে আইনের শ্রীঘরে নিয়ে নাশকতার বিভিন্ন মামলায় জেল হাজতে প্রেরণ করেছে, তার রেশ কাটতে না কাটতে আবারো ১৬ নভেম্বর থেকে টানা ২৪ ঘন্টা দেশজুড়ে লকডাউন ডেকেছে অথচ দেশের সাধারণ জনগণের কাছে লকডাউন কি জিনিস তা বোধগম্যই হচ্ছে না।
অপরদিকে লকডাউন বা অবরোধের কোন নাম গন্ধ নাই, সড়ক জুড়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে যানবাহন, স্বাভাবিক রয়েছে জনজীবন মার্কেট দোকানপাট শপিংমল সবকিছুই খুলেছে। রাজপথ বা ঘুপচি ঘাপচি কোথাও দেখা যায়নি আওয়ামী লীগের কোন নেতাকর্মীদের পিকেটিং করতে।
তবে বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা গেছে গোপালগঞ্জ জেলা জুড়ে লকডাউন এর কিছু প্রভাব পড়েছে স্থানীয় গোপালগঞ্জের আওয়ামী লীগ পন্থীরা গাছ কেটে সড়ক অবরোধ করেছে, টায়ার পুড়িয়ে আগুন জ্বালিয়েছে এবং চলন্ত কিছু গাড়ির উপর ইটপাটখেল নিক্ষেপ করেছে ফলে পদ্মা সেতু পার হওয়ার পর যানবাহন চলাচলের ক্ষেত্রে অনিরাপদ পরিস্থিতি মনে করছে পরিবহন মালিকরা।
কারণ গত ১৩ তারিখে লকডাউন চলাকালীন তিনটি পরিবহনসহ চিনিবাহী একটি ট্রাকে অগ্নিসংযোগ করেছিল আওয়ামী লীগের দুষ্কৃতকারীরা। তবে আজকের লকডাউনে প্রশাসন রয়েছে আরও কঠোর অবস্থানে কোথাও সঙ্ঘবদ্ধ পিকেটার দেখলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে প্রশাসন।
মাঠে রয়েছে র্যাব বি,জি,বি যৌথ বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তাগণ। লকডাউনের ব্যাপারে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা দুই দিন আগে প্রশাসনকে উদ্দেশ্য করে স্পষ্ট বলে দিয়েছিল দেশে কোন নাশকতা সৃষ্টি করার জন্য আওয়ামী লীগ কেন যে কোন দলের নেতাকর্মী যদি সোচ্চার থাকে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। দেশে অশান্তি সৃষ্টিকারীদের কোন ছাড় নাই সে যেই হোক আর যে দলেরই হোক।

