সুলাইমান পোদ্দার , তজুমদ্দিন।
২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর ঢাকার পল্টন চত্বরে সংঘটিত ভয়াবহ লগী-বৈঠা তাণ্ডবের প্রতিবাদে এবং সেই ঘটনায় নিহত শহীদদের স্মরণে ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলা জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) বিকাল এ কর্মসূচি পালিত হয়।
বিক্ষোভ মিছিলটি উপজেলা হাসপাতাল সামনে থেকে শুরু হয়ে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এ সময় মিছিলকারীরা দোষীদের শাস্তি ও দেশে গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে আনার দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেন। পরে মিছিলটি উপজেলা সদর রোডে এসে এক প্রতিবাদ সমাবেশে মিলিত হয়।
বক্তারা বলেন, ২০০৬ সালের এই দিনে দেশে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ধ্বংস করে লগী-বৈঠা দিয়ে নিরীহ মানুষের ওপর নির্মম হত্যাযজ্ঞ চালানো হয়। শহীদ জামায়াত ও ছাত্রশিবিরের ২৪ জন নেতাকর্মীকে পৈশাচিকভাবে হত্যা করে লাশের ওপর নৃত্য করা হয়েছিল, যা ইতিহাসের এক ভয়ংকর কালো অধ্যায়। এখনো সেই বর্বরোচিত ঘটনায় দায়ীদের বিচারের আওতায় আনা হয়নি। তারা প্রশ্ন তোলেন, মানবাধিকার ও বিচার প্রতিষ্ঠার কথা বলা হয়, কিন্তু পল্টনে লগী বৈঠা হত্যাকাণ্ডের বিচার কেন শেষ হচ্ছে না?
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী তজুমদ্দিন উপজেলা আমির অধ্যাপক মাওলানা আব্দুর রব বলেন, শহীদদের রক্ত বৃথা যেতে দেওয়া হবে না। যারা গণতন্ত্র ও মানবাধিকার হরণ করেছে, তাদের বিচার একদিন হবেই। জনগণের রায়কে সম্মান করতে হবে, দেশকে অন্ধকার থেকে আলোর পথে ফিরিয়ে আনতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে উপজেলা সেক্রেটারি মাস্টার মো. মহিউদ্দিন বলেন, জনগণের কথা বললেই নির্যাতন-নিপীড়ন করা হচ্ছে। লগী-বৈঠার আতঙ্ক আবার দেশে ফিরিয়ে আনার ষড়যন্ত্র চলছে। দেশের মানুষ আর ভয় পাবে না। জনগণের অধিকার রক্ষায় শান্তিপূর্ণ আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।
কর্মসূচিতে আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা জামায়াতের বিভিন্ন ইউনিয়নের আমির ও সেক্রেটারিগণ, ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীরা। সমাবেশে নিহত শহীদদের রূহের মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

