জুলহাস উদ্দীন,তেঁতুলিয়া পঞ্চগড় প্রতিনিধি :
তেঁতুলিয়ায় সীমান্ত এলাকায় জনসাধারণের মাঝে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষে ১৮ ব্যাটালিয়নের বিজিবির মতবিনিময় ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (৭ নভেম্বর) বিকেলে জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের রনচন্ডী বাজারস্থ স্থানে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে বিজিবি।
১৮ বিজিবির সহকারি পরিচালক জামাল উদ্দিনের পরিচালনায় সভায় তেঁতুলিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান কাজী মাহমুদুর রহমান ডাবলুর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন পঞ্চগড় ১৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে.কর্ণেল মো.যুবায়েদ হাসান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভাইস চেয়ারম্যান ইউসুফ আলী, সদর ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদ করিম সিদ্দিকী ও ইউপি সদস্য ও গণমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকবৃন্দ। এ সময় সীমান্তে বসবাসরত বিভিন্ন শ্রেণি পেশার শতশত জনসাধারণ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে লে.কর্ণেল মো.যুবায়েদ হাসান বক্তব্যে বলেন, তেঁতুলিয়া উপজেলা দেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ এলাকা। টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া এ হিসেবে সবাই চিনে এ এলাকাটিকে। এটি সীমান্তবর্তী উপজেলা। এখানে সীমান্ত এলাকায় কোন হত্যাকান্ড সংঘটিত হলে সে ঘটনার খবরটি অতিদ্রæত সারাদেশের মানুষ ইন্টারনেটে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জেনে যায়। যারা দেশের বাইরে থাকেন তারাও তা জানেন।
তাই আমাদের বিজিবির অন্যতম দায়িত্ব সীমান্ত রক্ষা করা, চোরাচালান বন্ধ করা ও বিশেষত সীমান্তের ৫ মাইল তথা ৮ কিলোমিটার এর মধ্যে যেকোন আইনশৃঙ্খলা কাজ সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করা হচ্ছে কীনা তা দেখভাল করা। প্রয়োজনে বলপ্রয়োগ করা। সরকারের বিশেষ কিছু আইন রয়েছে এই আইনের মাধ্যমে আমাদেরকে বলপ্রয়োগের নির্দেশ দেয়া আছে। তারপরেও দেশের নাগরিক হিসেবে সবারই কতর্ব্য রয়েছে। সীমান্তে যেসব অপরাধ ঘটে তার জন্য কিন্তু আমাদের ও ওপারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কাছে জবাবদিহি করতে হয়। এ জন্য যারা সীমান্তের শুন্যলাইন অতিক্রম করে ভারতে গিয়ে গরু চোরাকারবারের সাথে জড়িত রয়েছেন, যারা মাদকের সাথে জড়িত রয়েছে তাদেরকে সতর্ক করা হচ্ছে । সীমান্তে এসব অপরাধ দমনে বিজিবি কঠোর অবস্থানে যাবে। প্রয়োজনে বলপ্রয়োগ করবে।
মহানন্দার পাথর উত্তোলন সম্পর্কে তিনি বলেন, সীমান্ত নদী মহানন্দায় পাথর উত্তোলনের কোন অনুমতি নেই। তারপরেও মানবিক কারণে যারা পাথর তুলছেন এটা সাময়িক। মূলত পাথর তোলার কোন রাষ্ট্রীয়ভাবে অনুমোদন নেই।
তিনি বলেন, সীমান্তে যারা চোরারকারবারি, মাদক কারবারী রয়েছে তাদেরকে সামাজিকভাবে প্রতিহত করতে হবে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে তাদের নাম ও পরিচয় দিয়ে সহযোগিতা করতে হবে। তাদের এই চোরাচালানের কাজকে সর্বত্রভাবে অসম্ভব বা কঠিন করে তুলতে হবে। এ ছাড়াও তিনির্ বক্তব্যে আরও গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেন।