ঢাকাThursday , 9 November 2023
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ
  3. অভিযোগ
  4. অর্থনীতি
  5. আইন আদালত
  6. আটক
  7. আন্তর্জাতিক
  8. আবহাওয়া
  9. ইতিহাস
  10. কবিতা
  11. কুষ্টিয়া
  12. কৃষি
  13. খুন
  14. খেলাধুলা
  15. চাকুরী
আজকের সর্বশেষ সবখবর
  • বিজ্ঞাপন

    বিজ্ঞাপন

  • মাধবপুরে সামাজিক বনায়নে শত অভিযোগ

    দেশ চ্যানেল
    November 9, 2023 3:57 pm
    Link Copied!

    সাব্বির হাসান ,,হবিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি

    হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলায় সামাজিক বনায়ন কর্মসূচির সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে ভূমিহীন, গরিব, দুস্থ, অনগ্রসর গোষ্ঠী। সময় হলেও বনায়নকৃত গাছ বিক্রি করা হচ্ছে না। এর আগে থেকে এই বনায়নের জন্য প্লট বরাদ্দেও অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে।
    দরিদ্র, আদিবাসী ও অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের এসব প্লট বরাদ্দ দেওয়ার কথা থাকলেও সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী, স্থানীয় জনপ্রতিনিধির স্ত্রী, ছেলেমেয়েকে প্লট বরাদ্দ দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। উপজেলার রঘুনন্দন রেঞ্জ অফিস সূত্র জানায়, জগদীশপুর, শাহপুর, শাহজিবাজার, শালটিলা এই চার বিটের ১০ হাজার ৬৫০ একর বনভূমির মধ্যে ৮০২৩ একরে বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় ৯৫টি বাগান করা হয়েছে। ২০১০ সালের ১১ জানুয়ারি বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয় ২০০৪ সালে করা সামাজিক বনায়নের বিধিমালা সংশোধন করে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে। সেখানে বিধি ৬-এর (খ) উপ-বিধিতে বলা আছে, সাধারণভাবে কোনো সামাজিক বনায়ন এলাকার এক বর্গকিলোমিটারের মধ্যে বসবাসকারী স্থানীয় অধিবাসীদের মধ্য থেকে ওই এলাকার উপকারভোগী নির্বাচিত হবেন। যে শ্রেণির লোক নির্বাচিত হবেন তারা হলেনÑ ভূমিহীন, ৫০ শতাংশের কম ভূমির মালিক, দুস্থ মহিলা, অনগ্রসর গোষ্ঠী, দরিদ্র আদিবাসী, অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধা অথবা মুক্তিযোদ্ধার অসচ্ছল সন্তান। কিন্তু মাধবপুরে সে তালিকায় কিছুসংখ্যক প্লট ওই শ্রেণির লোক বরাদ্দ পেলেও বেশিরভাগই পেয়েছেন ধনী ও সচ্ছল ব্যক্তিরা।
    প্রতিদিনের বাংলাদেশ-এর অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে প্লট বরাদ্দের নানা অসংগতির চিত্র। জগদীশপুর বিটের ২০০৮-০৯ এবং ২০০৯-১০ অর্থবছরে সৃজন করা দুটি বিটের প্লট প্রাপ্তির মাত্র ৫০ জনের তালিকা ধরে চালানো অনুসন্ধানে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
    অনুসন্ধানে জানা যায়, তৎকালীন জগদীশপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আজিজুর রহমানের স্ত্রী হামিদা বেগম, দুই মেয়ে মরিয়ম বেগম ও তাছলিমা বেগমের নামও বাদ যায়নি। বেঙ্গাডোবা গ্রামের মিজান মিয়ার ছেলে শাহরীয়ার মাহবুবের বয়স এখনও ১৮ হয়নি; অথচ ১৩ বছর আগে তার বয়স দেওয়া হয়েছে ১৮ বছর। নারায়ণপুর গ্রামের মোজাহিদের স্ত্রী নাজমার নাম দেওয়া হয়েছে; যিনি সরকারি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে চাকরি করেন। কোটিপতিদের মধ্যে রয়েছেন জগদীশপুরের হাবিব উল্লা, নোয়াপাড়ার শফিকুল ইসলাম, নোয়াপাড়া বাজারের ডা. জালাল আহমেদ, লিটন বণিক, মিজানুর রহমানসহ আরও অনেকে।
    অন্যান্য অভিযোগ বিষয়ে উপকারভোগী শামসুল আলম বলেন, ‘আমাদের বাগানের মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও বন বিভাগ বাগান বিক্রি করছে না।’ ন্যাড়া পাহাড় বন বাগানের সভাপতি আব্দুর রশিদ বলেন, ‘অনেক বাগানের মেয়াদ শেষ হলেও বন বিভাগ অদৃশ্য কারণে নিলাম দিচ্ছে না। অনেক উপকারভোগী তাদের অংশ নামমাত্র মূল্যে বিক্রি করে দিয়েছে, যা সম্পূর্ণ বেআইনি।’
    নীতিমালা অনুসারে, প্লট বরাদ্দ পাওয়া লোকদের বলা হয় উপকারভোগী। বরাদ্দকৃত প্লট দেখভাল করে মেয়াদ শেষে নিলামে গাছ বিক্রির মোট টাকার ৫০ শতাংশ পাবে বন বিভাগ, ৪০ শতাংশ পাবে উপকারভোগী, আর ১০ শতাংশ পরবর্তী বাগান সৃজন করার জন্য রাখা হবে।
    স্থানীয় নোয়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সৈয়দ আতাউল মোস্তফা সোহেল বলেন, ‘বাগানে আসলে এসব নিয়া হরিলুট চলে। একটি চক্র আছে। তারাই বন বিভাগের অফিসারের সঙ্গে আঁতাত করে উপকারভোগীদের কাছ থেকে টাকা নিয়া নাম দেয় এবং সব বাগানেই এ চক্রের লোকজন উপকারভোগী হিসেবে থাকে। ফলে এদের জন্য প্রকৃত উপকারভোগীরা সুবিধা পাচ্ছে না।’ তিনি বলেন, ‘বেশিরভাগ উপকারভোগীর কোটি টাকার সম্পত্তি আছে।’
    তা ছাড়া বাগান করার সময় প্লট বরাদ্দ দিতে ঘুস নেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে জগদীশপুর বিট অফিসার সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘আমার আগে এ বাগানগুলো করা হয়েছিল। আমি উপকারভোগী নির্বাচন ও টাকা নেওয়ার বিষয়ে কিছুই জানি না।’ প্লট পেতে টাকা লাগে কি না এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘টাকার তো প্রশ্নই আসে না। কারণ বাগান করার সময় আমরা সরকারি টাকা দেই।’
    রঘুনন্দন রেঞ্জ কর্মকর্তা খলিলুর রহমান বলেন, ‘মেয়াদোত্তীর্ণ কিছু বাগান নিলাম দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। কিছু বাগান নিলাম দেওয়া হয়েছে। বাকিগুলো শিগগির নিলাম দেওয়া হবে।’ তবে প্রকৃত উপকারভোগী নির্বাচন হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি নতুন এসেছি। এ ব্যাপারে কিছু বলতে পারব না।’
    উপজেলা সামাজিক বনায়ন কমিটির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনজুর আহসান। তিনি বলেন, ‘আসলে ১০ বছর আগের ঘটনা এটি। তৎকালীন উপজেলা বন ও পরিবেশ কমিটি বলতে পারবে তারা কীভাবে উপকারভোগী নির্বাচন করেছিলেন। তবে আমি এ বিষয়টি দেখব। অনিয়ম হয়ে থাকলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

    এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।
  • Design & Developed by: BD IT HOST