মোঃ মশিউর রহমান সুমন। মেহেন্দীগঞ্জ, বরিশাল, প্রতিনিধি।
বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জে তরমুজের দাম অর্ধেকে নেমেছে, তবুও মিলছে না ক্রেতা। গত দুইদিন আগে বৃষ্টি ও মেঘলা আওহাওয়ায় তরমুজের ব্যবসায় ধস নেমেছে।তবুও ফল ব্যবসায়ীরা তরমুজের দাম বেশি হাঁকাচ্ছেন।
মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার পাতারহাট বন্দর ঘুরে দেখা গেছে, দুই তিন আগেও যেই তরমুজ বিক্রি হয়েছে ৪০০ টাকায় সেটি এখন বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকায়। রোজার শুরুতে প্রতি কেজি তরমুজ ৮০ টাকা হিসেবে মেপে বিক্রেতারা পিস বিক্রি করতেন।কিন্তু বর্তমানে হিসেব করলে কেজিতে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা পড়ছে। বরিশালের বিভিন্ন এলাকা ভোলা, পটুয়াখালী, রাঙ্গাবালীর মতো দূর -দূরান্ত থেকে ট্রলার ভরে তরমুজ আসায় বিক্রি কম হওয়ায় পচন ধরেছে।
আজ (২৪ মার্চ) রবিবার মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ছোট সাইজের তরমুজের জোড়া বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১৫০ টাকায়। যদিও একসপ্তাহ আগে ওই সাইজের একটি তরমুজ বিক্রি হতো ১০০ টাকায়।
মেহেন্দীগঞ্জে তরমুজ নিয়ে আসা ভোলার কৃষক সেকান্দর আলী বলেন, তরমুজের শতক বিক্রি হয় ১২ হাজার টাকা। ছয় -সাত কেজি ওজন হয়ে থাকে। তাতে প্রতি পিস তরমুজের দাম পড়ে ১২০ টাকা। তবে এই দাম অনুযায়ী ব্যবসায়ীদের গড়ে তরমুজের ক্রয়মূল্য হয় কেজি প্রতি ১৫ থেকে ২০ টাকা।
এদিকে তরমুজের দাম পাইকারি দাম পড়লেও ফলের দোকানে তরমুজের দাম বেশি হাঁকানো হচ্ছে। পাতারহাট বন্দরের ফল আঃ বর বলেন, তরমুজ আগে কিনে রাখায় বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।
এ ব্যপারে বরিশাল মার্কেটিং অফিসার মোঃ রাসেল খান বলেন, বাজার মনিটরিংয়ের লক্ষে আমাদের কয়েকটি টিম অভিযান পরিচালনা করছে। সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে তরমুজ রাখতে পিস হিসেবে বিক্রি করতে বাধ্য করা হয়েছে। অতিরিক্ত মুনাফার জন্য ভোক্তাদের জিম্মি করার কোন সুযোগ নেই।