মাদারীপুর প্রতিনিধিঃ
মাদারীপুরের কালকিনিতে স্কুল ছাত্রীকে মারধরের ঘটনায় দু গ্রুপের মধ্যে বোমা বিস্ফোণের ঘটনা ঘটেছে।এসময় দোকান সহ ১৫টি বসতঘর ভাংচুর করা হয়েছে। পুরো এলাকা জুড়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। গতকাল দিবাগত রাতে কালকিনি উপজেলার পূর্ব এনায়েতনগর ইউনিয়নের কাজী কান্দি এলাকায় এঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, কালকিনি উপজেলার পূর্ব এনায়েতনগর ইউনিয়নের কাজী কান্দি এলাকায় দীর্ঘদিন যাবত আধিপত্য নিয়ে মিরাজ হাওলাদার ও আপাং কাজীর মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। এঘটনায় ঘটনা স্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন রয়েছে দীর্ঘদিন। গতকাল কালাই সরদারে চর এলাকার হালিম শিকারীর স্কুল পড়ুয়া মেয়ে আফরিন আক্তার(১৩),মাসুদ হাওলাদারের মেয়ে সোনলী আক্তার(১১) জমিতে শাপলা তুলতে গেলে তাদের মারধর করে আহত করা হয়। পরে তাদের উদ্ধার করে কালকিনি হাসপাতালে ভর্তি করেন। আহত সোনালীকে করর্তব্য চিকিৎসক ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করেন। এরই জের ধরে গতকাল সোমবার দিবাগত রাতে দুগ্রুপের মধ্যে প্রায় শতাধীক হাত বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এসময় আপাং কাজীর গ্রুপের লোকমান কাজীর মুদি দোকান ভাংচুর ও লুটপাট এবং নাসির মৃধা,সাইদুল মৃধা.হিরন মৃধা,জাহাংগীর মৃধা,কালু মৃধা,ওবায়দুল মৃধা,ফিরুজ মৃধা,এসকেন মৃধা,ইউনুস মৃধা সহ ১৫টি বসতঘর ভাংচুর করা হয়।
খবর পেয়ে কালকিনি থানা পুলিশ ঘটনা স্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং ঘটনা স্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
এ ব্যাপারে আপাং কাজী বলেন মিরাজ হাওলাদার,জুয়েল হাওলাদারের লোকজন এলাকায় সন্ত্রাসীকর্মকান্ড পরিচালনা করে আসছে। গতকাল রাতে কোন কারন ছাড়াই হঠাৎ করে হাত বোমা বিস্ফোরণ করে আতঙ্ক ছড়িয়ে একটি দোকান সহ ১৫টি বসতঘর ভাংচুর করে। ওরা চায় না, আমরা এলাকায় বসবাস করি। আমরা এর সঠিক তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য জোর দাবি জানাচ্চি।
এ ব্যাপারে মিরাজ হাওলাদারের ভগ্নিপতি জুয়েল হাওলাদার বলেন, গতকাল আমাদের এলাকার দুটি ছোট মেয়ে জমিতে শাপলা তুলতে গেলে,আপাং কাজীর গ্রুপের লোকজন মারধর করে। তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহত সোনালীর অবস্থা ভাল না, ওকে ঢাকা হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। গতকাল রাতে ওরা মূহমূহ হাত বোমা বিস্ফোরণ করে এলাকায় শুধু শুধু আতঙ্ক ছড়িয়েছে। ওই ঘরগুলি আগের ভাংগা।
এ ব্যাপারে কালকিনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) সরকার আবদুল্লাহ মামুন বলেন, গতকাল গভীর রাতেও দু-গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। দোকান সহ কয়েকটি ঘর ভাংচুর করা হয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনা স্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে এবং এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন রয়েছে। এখনও এঘটনায় কোন অভিযোগ হয়নি,অভিযোগ হলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নিব।