বিপ্লব সাহা, খুলনা ব্যুরো:
চলমান লঘুচাপের কারনে গত ১৩ সেপ্টেম্বর শুক্রবার বিকাল থেকে দক্ষিণাঞ্চল জুড়ে ভারী বৃষ্টি শুরু হওয়ার ফলে আবহাওয়া অধিদপ্তর কর্তৃক উপকূলে সতর্ক সংকেত জারি করেছে । সাগর উত্তাল স্থানীয় নদীগুলোয় বিপদসীমার উপর দিয়ে পানি বইছে। নতুন করে প্লাবিত হচ্ছে ফসলি খেত ডুবে যাচ্ছে রবিশস্য। ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কায় আমনধান। পাশাপাশি প্রান্তিক মৎস্য চাষীরা কিছুতেই ধক্কল কাটিয়ে উঠতেই পারছে না। অঝোরে বিরামহীন ঝরছে মুষলধারা বৃষ্টি প্রভাব পড়েছে শহরের সমগ্র এলাকা জুড়ে। রাস্তাঘাট ড্রেন নর্দমা চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে পথচারীসহ যানবাহন চালকদের। কর্মহীন হয়ে পড়েছে দৈনন্দিন খেটে খাওয়া মানুষ। অপরদিকে লাগাতার বৃষ্টির অনেকটা প্রভাব পড়েছে কাঁচাবাজার মাছ বাজার ও দৈনন্দিন নিত্য প্রয়োজনীয় বাজারে অজুহাত দেখিয়ে অতিরিক্ত দাম হাঁকিয়েছে পণ্যের ওপরে ব্যবসায়ীরা ।
এরই মধ্যি আবার আবহাওয়া অধিদপ্তর দিয়েছে নতুন করে দুঃসংবাদ চলমান বৃষ্টি প্রবাহমান অবস্থা থাকবে আরো দুই থেকে তিন দিন অপরিবর্তিত থাকবে মেঘের প্রভাব। গতকাল গভীর রাত থেকে আজ দুপুর পর্যন্ত খুলনা জেলায় ৮৫ থেকে ৯০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর । এখনো আকাশে মেঘের ঘনঘটা থেকে থেকে দমকা হাওয়া বিরামহীন মুষলধারা বৃষ্টির পানিতে খুলনা শহরের সড়ক মহাসড়ক হাটু সমান তলিয়ে গেছে। একাকার হয়ে গেছে ড্রেন নর্দমা।
সড়কের খানাখন্দর চিহ্নিত করতে পারছে না গাড়ি চালকরা ফলে কোথাও না কোথাও ঘটছে দুর্ঘটনা। এদিকে বৃষ্টির কারণে স্তম্ভিত হয়ে পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষের জীবন। তলিয়ে গেছে নিম্ন শ্রেণীর বসতি ঘরবাড়ি পানি উঠেছে দোকানপাটে বন্ধ রয়েছে অধিকাংশ শপিংমল। আবহাওয়ার পূর্বাভাসে খুলনা বিভাগীয় আবহাওয়া অধিদপ্তর এর প্রধান কর্তা আমিরুল আজাদ বলেছেন গভীর নিম্নচাপের কারণে দেশের সব বিভাগে অধিকাংশ স্থানে বৃষ্টি চলমান রয়েছে তারমধ্যে গত শুক্রবার থেকে খুলনা জেলায় লাগাতার অতি ভারী বৃষ্টি হচ্ছে।বাংলাদেশের দক্ষিণ অঞ্চল সমুদ্র উপকূলীয় হওয়ার কারণে ঝড় বৃষ্টি মোকাবেলার ক্ষেত্রে সর্বক্ষণ অতি ঝুঁকির মুখে । প্রায় ভেঙে যায় ভেরিবাঁদ প্লাবিত হয় একের পর এক গ্রাম ক্ষতিগ্রস্ত হয় মৎস্য চাষি সহ আবাদি জমি। আবহাওয়াবিদরা আজকের আবহাওয়ার উপর বিশ্লেষণ করে বলেছেন বাংলাদেশের দক্ষিণ পূর্বাঞ্চল এবং তৎসকলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত নিম্নচাপ টি ঘনীভূত হয়ে স্থল গভির নিম্নচাপে পরিণত হয়ে যশোর ও তৎসমূহ এলাকায় অবস্থান করছে।একই সাথে এটি গাঙ্গেও পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থান করছে। এটি আরো পশ্চিম উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে মৌসুমী বায়ুর অক্ষে বর্ধিতাংশ পাঞ্জাব হরিয়ানা উত্তর প্রদেশ বিহার গভীর স্তর নিম্নচাপের কেন্দ্রস্থল বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের উপর সক্রিয় উত্তর বঙ্গোপসাগরে প্রবল অবস্থায় রয়েছে। যেটি আজ রোববার রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা ঝড়ো হওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। তার মধ্য অধিক বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে খুলনা বিভাগের দক্ষিণ অঞ্চল জুড়ে। তবে থেকে অধিক মরার ওপর খড়ার আঘাতে জীবন কাটাচ্ছে কয়রা বেদবুনিয়া চালনা দাকোপ সহ ১৩ টি গ্রামের ১৫ হাজার মানুষ। ঘরবাড়ি ছেড়ে খোলা আকাশের নিচে ভেরিবাঁধের উপর কোনরকম তাবুটা নিয়ে গবাদি পশু নিয়ে অতি দুর্বিষহ জীবন কাটাচ্ছে প্রাকৃতিক দুর্যোগের সাথে যুদ্ধ করে। জীবিকা নির্বাহ করছে বিভিন্ন আত্ম মানবিক সংগঠনের ত্রাণের সামগ্রীর পেয়ে। তারপরেও পানিবন্দী মানুষ নানান রোগে আক্রান্ত হচ্ছে পাতলা পায়খানা জ্বর সর্দি কাশি বিভিন্ন ধরনের উপসর্গ নিয়ে অনেক মানুষেরও জীবন অবসান ঘটছে।